শিনজো আবের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা

আগের সংবাদ

ভোট ঘিরে তৎপর কূটনীতিকরা

পরের সংবাদ

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ : চ্যালেঞ্জের সামনে দেশের অর্থনীতি

প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, করোনা পরবর্তী অর্থনীতির সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতিও। আমি মনে করি দেশের অর্থনীতি এখন ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। মূল্যস্ফীতি, বাণিজ্য ঘাটতি এবং জ¦ালানি তেলের দুষ্প্রাপ্যতার জন্য আমাদের বিদ্যুতের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তিনটি আলাদা বিষয় হলেও একে অপরের পরিপূরক বা একই সুতোয় গাঁথা।
প্রতিনিয়ত মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। পাশাপাশি আমাদের আমদানি বেশি এবং সে অনুপাতে রপ্তানি কম হওয়ার ফলে বাণিজ্য ঘাটতি বেশি হচ্ছে। এতে টাকার অবমূল্যায়ন বেশি হচ্ছে। তৃতীয় চ্যালেঞ্জ হলো- জ¦ালানি তেলের দুষ্প্রাপ্যতার জন্য গ্যাস উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে। এতে করে বাড়ছে লোডশেডিং। নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিল্প উৎপাদনে।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির পারদ নিচের দিকে নামিয়ে আনতে হলে সরবরাহ বাড়াতে হবে। ডলারের সংকট মোকাবিলায় আমদানি ব্যয় কমাতে হবে। বিদ্যুতের সাশ্রয় করতে হবে। চুরি বা লিকেজ যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শিল্প কারখানাগুলোতে যথাসম্ভব বিদ্যুৎ, গ্যাসের সরবরাহ করতে হবে।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, একথা বলছি না- আমরা একেবারে সংকটের মধ্যে আছি। ৪০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি রিজার্ভ মানে হচ্ছে ছয় মাসের মতো রপ্তানি ব্যয় মেটানো যাবে। তবে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, অল্প সময়ের মধ্যে রিজার্ভ দ্রুত কমে গেছে। বিশ্ববাজার যে অস্থিতিশীল অবস্থায় আছে এবং আমদানি যেভাবে বাড়ছে, তাতে আগামী মাসগুলোতেও রিজার্ভ চাপের মধ্যে থাকার আশঙ্কাই বেশি। গত অর্থ বছরের জুলাই থেকে মে ১১ মাসে আমদানি হয়েছে ৭৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের। যা আগের তুলনায় ৩৯ শতাংশ বেশি। এ সময়ে রপ্তানিও বেড়েছে; কিন্তু আমদানির তুলনায় কম। ৪৪ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হয়েছে। বেড়েছে ৩৩ শতাংশ। অন্যদিকে, গত অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার। আর তার আগের অর্থবছরে রেমিট্যান্স আসে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার। আরো একটি সমস্যা হচ্ছে, টাকার অবমূল্যায়ন হওয়ায় পেমেন্ট রেট আরো বেড়ে যাবে।
তবে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা ইতিবাচক বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। তার মতে, এগুলোতে কঠোর তদারকি করতে হবে। আরো কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। সর্বোপরি কথা হচ্ছে, নিজ থেকে সমস্যাগুলোকে অনুধাবন করতে হবে, স্বীকার করতে হবে এবং সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে এসব চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়