দৈনিক ওঠানামার মধ্যেই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

আগের সংবাদ

জনগণের সাহসেই পদ্মা সেতু : বন্যার দুর্ভোগ ও ক্ষতি কমাতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার > বিএনপির নেতা কে? সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

ফিকার প্রথম নারী সভাপতি লিসা

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের বৈশ্বিক সংগঠন ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ফিকা) প্রথম নারী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক লিসা স্টালেকার। সুইজারল্যান্ডের নিয়নে ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষে জন্মসূত্রে ভারতীয় এ অফস্পিনারকে শীর্ষ পর্যায়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ইংল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান বিক্রম সোলাঙ্কির স্থলাভিষিক্ত হলেন স্টালেকার।
বিশ্বের সব জাতীয় ক্রিকেটারদের সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত পেশাদার খেলোয়াড়দের কার্যক্রম সমন্বয় সাধন করাই ফিকার প্রধান কাজ। গতকাল এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, এই সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের নিয়নে অনুষ্ঠিত ফিকা নির্বাহী কমিটির বৈঠকে ফিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে লিসা স্টালেকারকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। গঠনের পর থেকে ব্যারি রিচার্ডস, জিমি অ্যাডামস ও সর্বশেষ বিক্রম সোলাঙ্কি ছিলেন ফিকা প্রেসিডেন্টের সম্মানিত তালিকায়, এবার তাতে যুক্ত হচ্ছেন লিসা।
নতুন দায়িত্ব পেয়ে ৪২ বছর বয়সী স্টালেকার বলেছেন, ফিকার নতুন প্রেসিডেন্ট হতে পেরে আমি খুব আনন্দিত ও উত্তেজিত। আমরা ক্রিকেটের নতুন একটি ধাপে প্রবেশ করছি, যেখানে আগের চেয়েও অনেক বেশি নারী-পুরুষদের ক্রিকেট হচ্ছে। অনেক বেশি দেশ ক্রিকেট খেলছে, যাতে প্রমাণিত হয় যে ক্রিকেট নিশ্চিতভাবে একটি বৈশ্বিক খেলা হতে যাচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৮৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ভারতের পুনেতে জন্ম নেয়া স্থালেকার। ৮টি টেস্ট, ১২৫টি ওয়ানডে ও ৫৪টি টি-টোয়েন্টি খেলা এ অলরাউন্ডার প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১ হাজার রান ও ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ২০১০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে ফাইনালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
দল মাত্র ১০৬ রান করলেও মিতব্যয়ী বোলিং করেন, দেন ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান। এছাড়া ব্যাট হাতে করেন ১৮ রানের তৃতীয় সেরা ইনিংস। ২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়া দলে অভিষেক হয় আগ্রাসী ব্যাটার স্টালেকারের। ওয়ানডেতে ছিলেন তিনি দুর্দান্ত। এ সংস্করণে ১২৫ ম্যাচ খেলে দুই সেঞ্চুরি ও ১৬ ফিফটিতে রান করেন ২ হাজার ৭২৮। তার অফস্পিন ছিল বেশ কার্যকর। ১৪৬ উইকেট নিয়ে তিনি এখনো ওয়ানডেতে সেরা ১০ উইকেট শিকারির তালিকায় আছেন। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটারের খেতাব বেলিন্ডা ক্লার্ক পুরস্কার জিতেছেন তিনি। ২০১৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানেন স্টালেকার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফাইনালে ২০ রানে ২ উইকেট নিয়ে রাখেন বড় অবদান। ২০২১ সালে চতুর্থ নারী ক্রিকেটার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট হল অব ফেমে জায়গা করে নেন তিনি। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ধারাভাষ্যে ক্যারিয়ার গড়া স্টালেকারের অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গেও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়