নাটোরে বন্ধুকে খুন : ১৪ মামলার আসামি রাসেল ঢাকায় গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

সাক্কুর পরাজয় পাঁচ কারণে

পরের সংবাদ

কুমিল্লায় ভালো ভোটের পর ফলাফল নিয়ে উত্তেজনা : রিফাতকে জয়ী ঘোষণা > অজ্ঞাত ফোনের পর হামলা > মনগড়া ফল : অভিযোগ সাক্কুর

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঝর্ণা মনি, কুমিল্লা থেকে : শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সারা দিন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ভোট অনুষ্ঠিত হলেও শেষটা প্রশ্নবিদ্ধ হলো। মারামারি, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এমনকি পুলিশকে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়েছে। দিনভর ভালো ভোটের পর ফলাফল নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে ঘোষণা করা হলো মেয়র পদে বিজয়ীর নাম। ১০৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০১টি কেন্দ্রের ফল ঘোষণার পরই প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর ওপর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা করে। হামলার মধ্যেই অজ্ঞাত ফোন পেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা আধাঘণ্টার জন্য ফল ঘোষণা স্থগিত রাখেন। এরপর নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতকে ৩৪৩ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এই ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। বিশ্লেষকরা বলছেন, শেষ মুহূর্তে প্রথম এসিড টেস্টে হেরে গেল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গতকাল সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। আষাঢ়ের প্রথম দিনের থমথমে আকাশ থেকে কখনো গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি; কখনো বা মুষলধারে। এরই মাঝে বিরতিহীন ভোট। ভোট চলাকালে কেন্দ্র দখল বা প্রভাব বিস্তারের মতো বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। মেয়র বা কাউন্সিলর প্রার্থীদের অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়াও হয়নি। নির্বাচনকেন্দ্রিক পরিচিত এসব পরিবেশের উল্টো চিত্র থাকলেও বৃষ্টির কারণে ভেস্তে গেছে উৎসবমুখরতা। পুরো সময়টায় দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। কুসিক নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ।
ভোটগ্রহণ শেষে বিকাল ৫টায় ভোট গণনা শুরু হয়। শুরু থেকেই কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলে ছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কখনো নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত এগিয়ে। কখনো স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু এগিয়ে ছিলেন। গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরপিতার ভোট গণনা তখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিএনপি ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া গত দুবারের মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্রে উপস্থিত হন। পৌনে ৯টার

দিকে নৌকার পক্ষে স্লোগান দিতে দিতে সেখানে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের শতাধিক সমর্থক। তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার সামনেই সাক্কুর ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে ফল ঘোষণা কেন্দ্রের ভেতরে অবস্থান নেয়া বিপুল সংখ্যক পুলিশ ধাওয়া দিয়ে বেশ কিছু নৌকার সমর্থককে বের করে দেয়। এরপর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাত ৯টার পর কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অতিরিক্ত পুলিশ প্রবেশ করে। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জও করে। স্থগিত করা হয় ফলাফল ঘোষণা। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ সময় সাক্কু বলেন, আমি রেজাল্ট না নিয়ে এখান থেকে যাব না। প্রয়োজনে লাশ যাবে। ফল ঘোষণায় দেরিতে ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, আর ৪টা কেন্দ্র বাকি আছে, দেন না কেন? প্রায় ঘণ্টাখানেক ভোট গণনা বন্ধ থাকার পর বুধবার রাত সাড়ে ৯টার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী ১০৫ কেন্দ্রের ফলাফলে নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক রিফাতকে বেসরকারিভাবে জয়ী ঘোষণা করেন। নৌকা প্রতীকে রিফাত পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু থেকে ৩৪৩ ভোট বেশি পেয়েছেন। সাক্কু টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। নির্বাচনে মেয়র পদে তৃতীয় হয়েছেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার। তিনি পেয়েছেন ২৯০৯৯ ভোট।
ফলাফল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মনিরুল হক সাক্কু উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমি পুরোপুরিভাবে এ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি। এ বিষয়ে আমি আইনিব্যবস্থা নেব। আমার হিসাবে ৯৮০ ভোটে এগিয়ে ছিলাম। শেষ মুহূর্তে ফলাফল পাল্টে দেয়া হয়েছে। ইভিএমে যেহেতু নির্বাচন হয়েছে, ফলাফল ঘোষণায় তাহলে এত দেরি কেন করল। এতেই প্রমাণিত হয় ফলাফল পাল্টে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, গতকাল সারাদেশের দৃষ্টি ছিল কুসিক নির্বাচনের দিকে। কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের অধীনে প্রথম নির্বাচন এটি। তাই নির্বাচনে কোনো ধরনের ফাঁক রাখেনি কমিশন। যে কোনো নির্বাচনের তুলনায় বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা ছিল। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাড়ে তিন হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিলেন। পুলিশের মোবাইল ফোর্স ছিল ২৭টি, প্রতি ওয়ার্ডে একটি। স্ট্রাইকিং ফোর্স ৯টি। রিজার্ভ ফোর্স দুটি। আর বিজিবি মোতায়েন ছিল ১২ প্লাটুন, র‌্যাবের ২৭টি টিম। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাচনী ম্যাজিস্ট্রেট ও নয়জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। ভোটগ্রহণ কাজে নিয়োজিত ছিলেন দুই হাজার ৫৬০ জন কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে প্রিসাইডিং অফিসার ৬৪০ জন, পোলিং অফিসার ১ হাজার ২৮০ জন এবং সহকারী পোলিং অফিসার ৬৪০ জন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব কিছুই করা হয়েছে। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। সুষ্ঠু পরিবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, পোলিং এজেন্টদের জিজ্ঞেস করেছি, তারাও আমাকে নিশ্চিত করেছেন সুষ্ঠুভাবে ভোট হয়েছে।
১১ ‘বহিরাগতকে’ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড : ভোটের আধাবেলায় জাল ভোট দেয়ার চেষ্টা, প্রভাব বিস্তার ও আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ১১ বহিরাগতকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কুমিল্লার জেলা প্রশাসক কামরুল ইসলাম বলেন, সার্বিক ভোটের পরিবেশ বেশ ভালো। উৎসবমুখর হচ্ছে। কয়েকটি অভিযোগ পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে, তারা ছিল বহিরাগত। এছাড়া একজন জাল ভোট দেয়ার চেষ্টা করায় তাকে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক জানান, এই ১১ জনের মধ্যে বজ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে দুই বহিরাগতকে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ফরিদা বিদ্যায়ন কেন্দ্রে তিন বহিরাগতকে তিন দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা মতিন এবং সোহেল রানা। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে দিদার হোসেন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভোট কার্যক্রমকে ‘প্রভাবিত’ করার অভিযোগে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শুভাশিস ঘোষ নির্বাচনী আচরণ নিশ্চিত করতে আরেক ব্যক্তিকে তিন দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন। নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পিটিআই স্কুল কেন্দ্রে নির্বাচনী আচরণ ভঙ্গের দায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল চন্দের কাছ থেকে তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ পেয়েছেন দুজন।
হেভিওয়েট প্রার্থীদের কেন্দ্র ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল : ভোট শুরুর পর থেকেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে নগরীর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্র। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রথমে ভোট দিতে আসেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার। এরপর ভোট দিতে আসেন নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক রিফাত। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে কেন্দ্র পরিদর্শন করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী। বেলা সোয়া ১১টার সময় একই কেন্দ্রে ভোট দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। অবশ্য স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু ভোট দেন হোচ্ছামিয়া বিদ্যালয় কেন্দ্রে। নির্বাচনে ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও ইভিএম পদ্ধতির ভোটগ্রহণে ধীরগতিসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে ‘গণ্ডগোল’ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সাক্কু।
ইভিএমের শব্দে ভয়ে বেরিয়ে গেলেন ভোটার : ইভিএম নিয়ে নানা মজার কাণ্ড ঘটেছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আলিয়া মাদ্রাসার একটি কেন্দ্রে ভোট দেয়া নিয়ে মজার ঘটনার কথা জানান প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. নাইমুর রহমান। তিনি বলেন, সকালে এক ভোটার গোপন কক্ষে গিয়ে ব্যালটে চাপ দেয়ার পর শব্দ শুনে ভয় পেয়ে বের হয়ে যান। তার ভোট অসম্পূর্ণ থাকায় অন্যদের ভোটও নেয়া যাচ্ছিল না। তাকে বুঝিয়ে ফের ভোট দিতে গোপন কক্ষে পাঠানো হয়। এছাড়া দুই ভোটার ইভিএমের ইলেকট্রিক ব্যালটে চাপ দিতে গিয়ে নিচে ফেলে দেন বলেও জানান প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।
নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো : সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল। সকাল ৯টার দিকে শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। তাতে এক দফা বিঘœ ঘটে ভোটের। ভোটকেন্দ্রের লাইনে দাঁড়ানো বা কেন্দ্রের আশপাশে অবস্থান নেয়া ভোটাররা তখন ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। তবে বৃষ্টির মধ্যেও নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ, কুমিল্লা হাইস্কুল, চৌয়ারা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, চৌয়ারা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, তারাপাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলিয়া মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, পুরুষদের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি অনেক বেশি। আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা মেহেরুন্নেসা বলেন, ভেতরে ভোটের পরিবেশ খুব ভালো। ইভিএমে ভোট দিতে কোনো সমস্যা হয়নি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন বিনা রানী সাহা। তিনি বলেন, ইভিএমে ভোট দিয়ে ভালো লাগছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল ছিল কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচন। ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ১৭ হাজার ৯২, পুরুষ ভোটার এক লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। আর দুজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার। নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন পাঁচজন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের দাবি সিইসির : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় বলা যায়, কুমিল্লা সিটিতে ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ভোটারদের কাছ থেকেও তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি বলে জানান তিনি।
গতকাল কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব এবং অতিরিক্ত সচিব উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, কুমিল্লা সিটি ভোট ছিল আমাদের প্রথম পরীক্ষা, প্রথম পরীক্ষায় ফার্স্ট ক্লাস না সেকেন্ড ক্লাস পেলাম সে মূল্যায়ন আপনারাই (সাংবাদিকরা) করবেন। এ সিটি নির্বাচনে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে। ইভিএমে ভোটের ধীরগতির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) স্লো ছিল না। যারা বয়স্ক ভোটার, তাদের আঙুলের ছাপ মেলাতে একটু সমস্যা হয়েছে। ফলে ভোটগ্রহণে কিছুটা ধীরগতি ছিল। সিইসি বলেন, সকাল থেকেই আমরা গণমাধ্যমের সংবাদ প্রত্যক্ষ করেছি। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে, সুষ্ঠুভাবে কোনো সংঘর্ষ ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়