আবহাওয়ার পূর্বাভাস : অপরিবর্তিত থাকতে পারে দিন-রাতের তাপমাত্রা

আগের সংবাদ

কুমিল্লায় ভালো ভোটের পর ফলাফল নিয়ে উত্তেজনা : রিফাতকে জয়ী ঘোষণা > অজ্ঞাত ফোনের পর হামলা > মনগড়া ফল : অভিযোগ সাক্কুর

পরের সংবাদ

নাটোরে বন্ধুকে খুন : ১৪ মামলার আসামি রাসেল ঢাকায় গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সম্প্রতি ডাকাতির মামলায় কারাগারে গিয়েছিলেন ১৪ মামলার দুর্ধর্ষ আসামি রাসেল হোসেন ওরফে কাটা রাসেল (৩১)। কারাগারে মাঝেমধ্যেই দেখতে যেতেন তার স্ত্রী লাবণ্য সিদ্দিকা সাথী। এতে সহায়তা করতেন রাসেলের বন্ধু রাকিব হোসেন। একপর্যায়ে সাথীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে বন্ধু রাকিবের। পরে রাসেলকে তালাক দিয়ে রাকিবকে বিয়েও করেন সাথী। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত রাসেল কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে রাকিবকে খুন করে পালিয়ে যান। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাসেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর আগে গত ১ জুন দুপুর ১২টার দিকে নাটোর রেলওয়ে স্টেশনের ৩নং ওভারব্রিজ এলাকায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করা হয় রাকিবকে। রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর বলেন, প্রায় ৭ বছর আগে নিজেদের পছন্দে নাটোর সদরের বৌদ্ধনাথপুর এলাকার লাবণ্য সিদ্দিকা সাথী নামে একক তরুণীকে বিয়ে করেন রাসেল। তাদের সংসারে পাঁচ বছর বয়সি একটি সন্তান রয়েছে। চলতি বছরের ২৩ মার্চ একটি ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার হন রাসেল। তাকে কারাগারে যেতে হয়। রাসেলকে কারাগারে দেখতে যেতে রাকিবের সহযোগিতা নিতেন সাথী। এতে তাদের মধ্যে সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে রাসেলকে ডিভোর্স দিয়ে রাকিবকে বিয়ে করে নতুন দাম্পত্য জীবন শুরু করেন সাথী। রাসেল কারাগারে বসে বিয়ের খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হন। পরম বন্ধু থেকে তারা চরম শত্রæতে পরিণত হন।
রাকিবের প্রতি প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ছক কষতে থাকেন রাসেল। গত ৩১ মে রাসেল জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় এসে খুঁজতে থাকেন রাকিবকে। পরে গত ১ জুন বেলা ১২টার দিকে কৌশলে রাকিবকে ডেকে নিয়ে আসেন নাটোর রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মের ৩নং ওভারব্রিজের উপর। সেখানে রাকিব তার স্ত্রীর সাবেক স্বামী এবং তার সাবেক বন্ধু রাসেল হোসেন ওরফে কাটা রাসেলকে দেখা মাত্রই দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে তার সঙ্গীয় লোকদের সহায়তায় হত্যার উদ্দেশ্যে তার পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যান রাসেল। গুরুতর আহত অবস্থায় উপস্থিত লোকজন তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে এ ঘটনায় রাকিবের বড় ভাই শাকিল হোসেন রাসেল ওরফে কাটা রাসেলকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
রাসেলের বিরুদ্ধে খুন, চুরি ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মোট ১৪টি মামলা রয়েছে যার ১২টি মামলা আদালতে বিচারাধীন বলে জানিয়েছে সিআইডি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়