বনানীতে ট্রেনের চাকায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

নতুন ইসির বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ : সব দল ও ভোটারের আস্থা অর্জন > লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা > প্রশাসন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা

পরের সংবাদ

আউয়ালের নেতৃত্বে নতুন ইসি : চার নির্বাচন কমিশনার- রাশিদা সুলতানা, আহসান হাবীব খান, মোহম্মদ আলমগীর ও আনিছুর রহমান > শপথ আজ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এন রায় রাজা : দ্বাদশ নির্বাচন অনুষ্ঠানের গুরুদায়িত্ব পালন করবেন কারা- এই নিয়ে কৌতূহলের শেষ ছিল না। অবশেষে গতকাল শনিবার অবসান হলো সেই অপেক্ষার। নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করে দিলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ দিয়ে নতুন ইসি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তিনি আইন, ধর্ম ও সর্বশেষ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী সার্চ কমিটির সঙ্গে বৈঠকে হাবিবুল আউয়ালের নাম প্রস্তাব করেন বলে জানা গেছে। অন্য চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) হলেন- সাবেক জেলা ও দায়রা জজ রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, সাবেক সিনিয়র সচিব মোহম্মদ আলমগীর ও সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান। আজ রবিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য চার নির্বাচন কমিশনারকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন বলে জানা গেছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে গতকাল শনিবার জানানো হয়- সংবিধানের ১১৮(১) ধারামতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য চার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়েছেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর গত ২৭ জানুয়ারি সংসদে নির্বাচন কমিশন গঠনসংক্রান্ত আইন পাস করা হয়। সেই আইন অনুযায়ী দেশে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলো।
নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, শপথের পর তার কমিশনের প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়া। বড় দলগুলো যেন নির্বাচনে অংশ নেয় সেই চেষ্টা করা হবে। গতকাল শনিবার বিকালে নির্বাচন কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারির পর গণমাধ্যমকে এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।
সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, আইন ও বিধি অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করব। সংবিধান যেটুকু ক্ষমতা দিয়েছে তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব। শপথ নেয়ার পরে সবাই মিলে বসেই চ্যালেঞ্জগুলো এবং অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করব। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তো একক নয়, সবাই মিলেই আমরা শপথ নেব। এরপর আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমাদের সামনে কী আছে, কোন বিষয়গুলো আমরা অগ্রাধিকার দেব সেগুলো আমরা বিবেচনা করব।
সাবেক সিনিয়র সচিব মোহম্মদ আলমগীর তার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, সংবিধান মোতাবেক দেয়া ক্ষমতার সুষ্ঠু প্রয়োগ করে জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য চেষ্টা করব।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের লক্ষ্যে ১০ জনের নাম সুপারিশের জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে এর প্রধান করা হয়। যোগ্য ব্যক্তিদের নাম বাছাই করতে গত ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনটি বৈঠক করে সার্চ কমিটি। এসব বৈঠকে অংশ নেয়া বিশিষ্টজনরা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের কিছু নাম প্রস্তাব করেন। এর আগে সার্চ কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে এবং ব্যক্তিপর্যায়ে সবার কাছে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম চাওয়া হয়। আওয়ামী লীগসহ অনেক রাজনৈতিক দল নাম পাঠায়। অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও নাম পাঠান। তবে বিএনপি, সিপিবিসহ কয়েকটি দল এ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়নি।
সার্চ কমিটির কাছে সম্ভাব্য সিইসি ও ইসি হিসেবে মোট ৩২২ জনের নাম জমা পড়ে। এরপর কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে কয়েকটি বৈঠক করে ওই ৩২২ জন থেকে প্রথমে ৫০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা করেন, পরবর্তী বৈঠকে তা নেমে আসে ১২-১৩ জনে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি সার্চ কমিটি ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে। একদিন পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে ১০ জনের এ তালিকা জমা দেন সার্চ কমিটির সদস্যরা। এর দুদিন পর গতকাল বিকালে নতুন ইসি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়