ঢামেকে আগুন আতঙ্ক, রোগীর স্বজনদের ছুটাছুটি

আগের সংবাদ

কড়া নির্দেশনা কার্যকরে ঢিলেমি

পরের সংবাদ

৫০ বছরেও অবমুক্ত হয়নি হিন্দু ধর্মশালার জায়গা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জিকরুল হক, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : সৈয়দপুর শহরের নয়াবাজার এলাকার বাণীচাঁদ স্ট্রিটে দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে আটকেপড়া পাকিস্তানিদের দখলে রয়েছে হিন্দুদের ধর্মশালার জায়গা। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে ঘরবাড়ি। জায়গাটি অবমুক্ত করতে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও সুরাহা হয়নি।
সৈয়দপুর হিন্দুকল্যাণ সমিতির সভাপতি সুমিত কুমার আগারওয়ালা নিক্কি জানান, শহরের দানবীর প্রয়াত সুশীল কুমার আগারওয়ালার দাদা উত্তরাঞ্চলের সুপরিচিত পাট ব্যবসায়ী দানবীর প্রয়াত বাণীচাঁদ আগরওয়ালা হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করতে ২০ শতকেরও বেশি জমি দান করে গেছেন। সেখানে পাকিস্তান আমলে পূজা-পার্বণ সম্পন্ন করতেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। কয়া মৌজার এসএ ৫৯২০ দাগভুক্ত জমি এটি। বিএস রেকর্ডে হিন্দুকল্যাণ সমিতির নামে ওই জমি রেকর্ডভুক্ত হয়েছে। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে ধর্মশালার জায়গাটি মুক্ত করে দিতে জেলা প্রশাসনসহ এমপি ও মেয়রের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো সুরাহা পাওয়া যায়নি। ভোটের সময় এলে নেতারা ধর্মশালার জমি উদ্ধার করে হিন্দুকল্যাণ সমিতিকে বুঝিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রæতি দেন। কিন্তু ভোটের পর আর কারো সহযোগিতা পাওয়া যায় না।
সুমিত কুমার বলেন, ৫০ বছরে জনসংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। কোথাও কোনো পতিত জায়গা মিলবে না শহরে। নির্দিষ্ট জায়গার অভাবে আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর একেক জায়গায় কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা করি। অন্যান্য পূজার অনুষ্ঠান করতেও জায়গা মেলে না। অথচ ধর্মশালার নামে শহরে বিশাল জায়গা রয়েছে। সেই জায়গা মুক্ত করা হলে এই জনপদের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ভালোভাবে কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা করতে পারবে। একই সঙ্গে ধর্মশালায় সারা বছর পূজা-অর্চনা করা যাবে।
তিনি ধর্মশালার জায়গাটি দ্রুত দখলমুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ বিষয়ে কথা হয় শহীদ সন্তান নিজু কুমার আগারওয়ালার সঙ্গে। তিনিও আক্ষেপ করে বলেন, অনেকের দুয়ারে ধরনা দিয়েও ধর্মশালার জায়গা মুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।
নীলফামারী জেলা বার কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি তুষার কান্তি রায় বলেন, স্বাধীনতা উত্তরকালে জেলা প্রশাসক আটকেপড়া পাকিস্তানিদের সাময়িকভাবে থাকার জন্য ধর্মশালার জায়গায় স্থান করে দিয়েছিলেন। হিন্দুরা সে সময় উদারভাবে প্রশাসনের কথা মেনে নিয়েছে। অথচ ধর্মশালার ওই জমি অবমুক্ত করতে প্রশাসনের কোনো দায়বদ্ধতা দেখছি না। জমি উদ্ধারে তিনি ফের প্রশাসনের শক্ত পদক্ষেপ দাবি করেছেন।
ধর্মশালার জায়গা অবমুক্ত করার বিষয়ে জানতে কথা হয় সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম হোসাইনের সঙ্গে। তিনি মুঠোফোনে ভোরের কাগজকে বলেন, এই মুহূর্তে আমি কিছু বলতে পারছি না, কাগজপত্র যাচাই করে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়