মেয়র প্রার্থীদের সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ২১ লাখ টাকা : নাসিক নির্বাচন

আগের সংবাদ

নতুন কারিকুলাম নিয়ে তালগোল : কাজ চলছে এনজিওর প্রেসক্রিপশনে > কমিটি থেকে ৪ বিশেষজ্ঞের পদত্যাগ > বই ছাপা হয়নি তবু পাইলটিং

পরের সংবাদ

কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ : শৃঙ্খলা ফেরাতে দরকার ১১১ সুপারিশ বাস্তবায়ন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ‘সড়কে অব্যবস্থাপনা দূর করে শৃঙ্খলা ফেরাতে হলে রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন। এ পর্যন্ত আমরা অনেক ধরনের সুপারিশ করেছি। কিন্তু সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি একেবারেই সন্তোষজনক না হওয়ায় অব্যবস্থাপনা রয়েই গেছে। দুর্ঘটনা ঘটছে।’ বুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হলে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের করা ১১১টি সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রত্যেকটি সুপারিশ ধরে ধরে বাস্তবায়ন করতে হবে। সমস্যা সমাধানের জন্য গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা এবং অব্যবস্থাপনা দূর করে শৃঙ্খলা ফেরাতে হলে অবশ্যই রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন। এগুলো বাস্তবায়ন হলে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আসবে। সড়কের সব ধরনের বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। রাস্তার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে। রাস্তায় পুলিশ কাগজপত্র চেক করে। কিন্তু অন্য বিষয়গুলো পুলিশের আওতায় নয়। যেমন আমাদের দেশে রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে সমস্যা আছে। রাস্তা তৈরির পর ‘পরিদর্শন’ করা হয় না। এটা একটা বড় দুর্বলতা। ‘রাস্তাটি নিরাপদ কিনা’- তা রাস্তা তৈরির পর খতিয়ে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা যে হারে হ্রাস পাওয়া প্রয়োজন সেই হারে হচ্ছে না। সড়ক দুর্ঘটনা সাধারণতো একক কোনো কারণে ঘটে না। আধুনিক গবেষণা ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কিছু কিছু দুর্ঘটনা একেবারে শূন্যের কোটায় নামিয়ে ফেলা সম্ভব। আলোচনার ভিত্তিতেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে নৈরাজ্যের সুযোগ নেই। কিন্তু এটা বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে, মনিটরিং করতে হবে। যাত্রী ও পথচারীদের অসহিঞ্চুতা অনেক বেশি। হঠাৎ করেই নিজেদের উচ্ছেমতো চলাচল করছে। হাত তুলে রাস্তা পার হচ্ছে, চলন্ত গাড়ি থেকে নামছে। সব সড়কেই অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। এসব দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
আগামী বছর নিরাপদ সড়কের প্রত্যাশা করে কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, আমাদের দেশে দক্ষ চালকের অভাব রয়েছে। প্রশিক্ষিত চালক তৈরির দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। লাইসেন্স পেতে পরীক্ষা যেন সঠিকভাবে হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। চালক কত ঘণ্টা প্রশিক্ষণের পর লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষা দিতে এসেছে- এটা বাধ্যতামূলক করতে হবে। সড়কে লাইন, লেন মেনে গাড়ি চালাতে হবে। ব্যবহারজনিত সমস্যাও রয়েছে। অবৈধভাবে দোকান বসানো, নির্মাণসামগ্রী ইচ্ছেমতো ফেলে রাখার ফলে রাস্তা সরু হয়। একদিকে যানবাহনের গতি যেমন কমে যায়, অন্যদিকে পথচারীরাও মূল রাস্তায় নেমে আসলে দুর্ঘটনা ঘটে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়