দেয়াল চাপায় শিশুর মৃত্যু : কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিস

আগের সংবাদ

বিজয়ী বিদ্রোহীদের ভাগ্যে কী আছে : সিদ্ধান্ত অমান্যকারীরা সাময়িক বহিষ্কার > ১৯ নভেম্বর আ.লীগের সভায় আসতে পারে নতুন সিদ্ধান্ত

পরের সংবাদ

কপ-২৬ সমাপ্ত : চুক্তির আশা দুরাশা মাত্র!

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চেয়ে সর্বোচ্চ দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার যে লক্ষ্য, তা পূরণে ব্যবস্থা নিতে বিশ্বনেতাদের ব্যর্থ হওয়ার শঙ্কার মধ্যেই শেষ হলো গøাসগোর জলবায়ু সম্মেলন। এই সম্মেলনে এখন পর্যন্ত যে অগ্রগতি, তাতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ‘হতাশ’ বলে এক প্রতিবেদনে জানায় বিবিসি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বার্তা সংস্থাকে গুতেরেস বলেন, উষ্ণতা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্য এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’। সম্মেলনে কার্বন-ডাই অক্সাইড নিঃসরণ ‘যথেষ্ট পরিমাণ’ কমাতে সরকারগুলোর অঙ্গীকার দেখা যাবে না বলেও আশঙ্কা তার।
এর আগে কপ-২৬ এর প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা সম্মেলন শেষ হওয়ার আগে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর সময় শেষ হয়ে আসছে বলে সতর্ক করেছিলেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা গেলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপজ্জনক প্রভাব এড়ানো যাবে। ২০১৫ সালে প্যারিসে বিশ্বনেতারা গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ ব্যাপক মাত্রায় কমিয়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি (প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চেয়ে) দেড় থেকে দুই ডিগ্রির মধ্যে রাখার চেষ্টা করার প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সর্বশেষ হিসাব বলছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক-শিল্পায়ন আমলের চেয়েও ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশিতে পৌঁছানোর পথে রয়েছে।
গøাসগোতে এখন পর্যন্ত যেসব ঘোষণা এসেছে, তা ‘প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম’ হলেও ‘আশা ছাড়ছেন না’ বলেই জানান জাতিসংঘের মহাসচিব। বেশি কার্বন নিঃসরণকারী কয়েকটি দেশ কপ-২৬-এ উষ্ণতা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে উচ্চাকাক্সক্ষী কর্মপরিকল্পনা নেয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রাজনৈতিক নেতাদের একটি গোষ্ঠীর প্রধান মেরি রবিনসন। গøাসগোতে কোনো চুক্তি হলে তাতে যেন কয়লার ব্যবহার ধীরে ধীরে বন্ধ কিংবা জীবাশ্ম জ্বালানিতে সরকারি ভর্তুকি কমানোর বিষয় না থাকে, রাশিয়া ও সৌদি আরব তা নিশ্চিতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ আনেন তিনি। এর উল্টো দিকে অল্প কয়েকটি দেশ একটি জোট গঠনেরও ঘোষণা দেয়, যারা তেল ও গ্যাস উৎপাদন ধীরে ধীরে কমিয়ে আনবে।
শীর্ষ কার্বন নিঃসরণকারী দুই দেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্র গত বৃহস্পতিবার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর যে চুক্তির ঘোষণা দেয়, অনেকে তাকেও স্বাগত জানিয়েছেন। তবে পরিবেশকর্মীরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতাবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের আরো কাজ করার আছে। ঘানা, ইথিওপিয়া, বাংলাদেশ ও টুভালুর প্রতিনিধিরা এক সংবাদ সম্মেলনে কপ-২৬ এর সফলতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র দরিদ্র ও সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর উদ্বেগ আমলেই নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়