গাজীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

আগের সংবাদ

বাজার অস্থির দিশাহারা মানুষ : নিত্যপণ্যের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আরেক দফা বাড়বে

পরের সংবাদ

বিআইজিডি-পিপিআরসির জরিপ : দেশে নতুন দরিদ্র হয়েছে ১৯.০৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রীটা আহসান : বর্তমানে জাতীয় জনসংখ্যার ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী ‘নতুন দরিদ্র’, যা ২০২১ সালের মার্চে অনুমিত ধারণার চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি। ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এবং পাওয়ার এন্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) জরিপের চতুর্থ ধাপে উঠে এসেছে এমন তথ্য। গতকাল বৃহস্পতিবার এক ওয়েবিনারে জরিপের এ ফলাফল তুলে ধরা হয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে শহরের বস্তি এবং গ্রাম মিলিয়ে মোট ৪ হাজার ৮৭২ পরিবারের ওপর জরিপ কাজ পরিচালিত হয়।
এর আগের ধাপের জরিপগুলো যথাক্রমে ২০২০ সালের এপ্রিল, জুন এবং চলতি বছরের মার্চ মাসে করা হয়েছিল। জরিপে দেখা গেছে, এ বছরের মার্চের তুলনায় শহরের বস্তি এবং গ্রামবাসীর আয় যথাক্রমে ১৮ এবং ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে, যা পুনরুদ্ধারের ধারার বিপরীত। প্রথম লকডাউনে ৪৫ শতাংশ পরিবার সামান্য ত্রাণ পেলেও দ্বিতীয় লকডাউনে সেটি নেমে এসেছে ২৩ শতাংশে। আগস্টে মানুষের আয় করোনার আগের তুলনায় ২৩ শতাংশ কমেছে। এই আয় কমার হারটা শহরের বস্তির তুলনায় গ্রামে কিছুটা কম ছিল- কোভিড-পূর্ব সময়ের তুলনায় তা গ্রামে ১২ শতাংশ কম এবং শহরের বস্তিতে ৩০ শতাংশ কম। মহামারির আগে কাজে নিয়োজিত ছিলেন এমন ১০ শতাংশ মানুষ এখনো কোনো কাজ পাননি।
জরিপে অংশগ্রহণকারী পরিবারগুলোর দারিদ্র্যের হার মহামারি শুরুর আগের চেয়ে ১৭ শতাংশ উপরে অবস্থান করছে। শহরের বস্তিতে এই হার ২২ শতাংশ। দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে বর্তমানে বস্তির ৭৭ শতাংশ পরিবার দরিদ্র, যা উদ্বেগজনক। গ্রামের এবং শহরের বস্তির যেসব ঝুঁঁকিপূর্ণ পরিবার গড়ে কম আয় করলেও দারিদ্র্যসীমার উপরে ছিল, তারা লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন পরিবারের দুই-তৃতীয়াংশই আগস্টে দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে। এদের বাংলাদেশের ‘নতুন দরিদ্র’ জনগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আগস্টে জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, বর্তমানে জাতীয় জনসংখ্যার ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী ‘নতুন দরিদ্র’ হয়েছে, যা ২০২১ সালের মার্চে অনুমিত ধারণার চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি।
মহামারি আসার পর দারিদ্র্যসীমার উপরে অবস্থানরত অন্তত ২৯ শতাংশ পরিবার দরিদ্র হয়ে পড়ে। দীর্ঘমেয়াদি এই দারিদ্র্যের কারণে পরিবারগুলোর

স্বাভাবিক জীবিকা ব্যাহত হতে পারে এবং তারা দারিদ্র্যের দুষ্টুচক্রে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ওয়েবিনারে বক্তব্য দেন শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ ও ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিনসহ আরো অনেকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়