ভিসি এয়ার মার্শাল নজরুল : ওবিই হচ্ছে জ্ঞানগর্ভ ও চিন্তা উদ্দীপক কর্মশালা

আগের সংবাদ

টানা ৪ জয়ে সেমিতে পাকিস্তান

পরের সংবাদ

সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দিতে সরানো হয় স্বাস্থ্যের ১৭ নথি! : ৬ কর্মী সিআইডি কব্জায়, মামলা না হওয়ায় তদন্তে ধীরগতি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি নথি গায়েব হওয়ার তদন্ত কাজ অনেকটা গুটিয়ে এনেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। শাহবাগ থানায় রেকর্ড করা সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে ছায়া তদন্ত করছে সিআইডি। মন্ত্রণালয়ের ৬ কর্মচারীকে টানা জিজ্ঞাসাবাদে নথির ব্যাপারে তথ্য পেয়েছে তারা। এমনকি দেড় মাস আগে গায়েব নথির ব্যাপারেও তথ্য মিলেছে। মন্ত্রণালয় থেকে তারা কার কাছে, কেন নথি দিয়েছে সে ব্যাপারেও ক্লু পেয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। এর সঙ্গে মন্ত্রণালয় ও ঠিকাদার সিন্ডিকেট জড়িত বলে জানতে পেরেছে সিআইডি। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটিকে অবগত করা হয়েছে। তারা সমন্বয় করে যৌথভাবে কাজ করছে। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সিআইডির পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুজ্জামান বলেছেন, সিআইডির টিম ছায়া তদন্তের অংশ হিসেবে আটক ৬ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান গতকাল সোমবার রাতে জানান, জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
জানা গেছে, নথির খোঁজে টানা দ্বিতীয় দিন গতকাল সোমবার মন্ত্রণালয়ের ৬ কর্মচারীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। মালিবাগ কার্যালয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেনের কক্ষে তাদের পৃথকভাবে ও মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নথি চুরির সঙ্গে তাদের যোগসূত্র মেলায় টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির বিশেষ সুপার কামরুজ্জামান। আলমারির তালার সঙ্গে এদের অনেকের আঙুলের ছাপ মিলে যাওয়ায় ছায়া তদন্তে গতি পেয়েছে বলে জানা গেছে। নথি গায়েবের ঘটনায় শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য স্বাস্থ্যের কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। এখন মামলা রুজু করলে ওই ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে সিআইডি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। যে ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তারা হলেন- জোসেফ সরদার, আয়শা সিদ্দিকা, বাদল, বারী, মিন্টু ও ফয়সাল।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে করে ৬ কর্মচারীকে নিয়ে সচিবালয় থেকে বের হন সিআইডির সদস্যরা। এর আগে সিআইডির সদস্যরা সকালে

সচিবালয়ে এসে ৩ নম্বর ভবনের নিচতলার ২৪ নম্বর কক্ষ (এ কক্ষ থেকে ফাইল চুরি হয়েছে) থেকে আলামত সংগ্রহ করেন এবং সেখানে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ ঘটনার তদন্তে মন্ত্রণালয়ের গঠিত চার সদস্যের টিম পৃথকভাবে কাজ করছে।
উল্লেখ্য, ফাইল গায়েবের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার বিকালে চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব (প্রকল্প বাস্তবায়ন-১ শাখা) এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব (ক্রয় ও সংগ্রহ-২) নাদিরা হায়দার রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন। জিডিতে বলা হয়, চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ক্রয়সংক্রান্ত শাখা-২ এর কম্পিউটার অপারেটর জোসেফ সরদার ও আয়েশা গত বুধবার কাজ শেষ করে ফাইলটি একটি কেবিনেটে রেখে যান। ওই ফাইলে ১৭টি নথি ছিল। পরদিন দুপুর ১২টার দিকে কাজ করতে গিয়ে দেখা যায়, ফাইলগুলো কেবিনেটে নেই। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ আরো কয়েকটি মেডিকেল কলেজের কেনাকাটাসংক্রান্ত নথি, ইলেকট্রনিক ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ু মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি, নিপোর্ট অধিদপ্তরের কেনাকাটা, ট্রেনিং স্কুলের যানবাহন বরাদ্দ ও ক্রয়সংক্রান্ত নথি রয়েছে গায়েব হওয়া ফাইলে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়