ভিসি এয়ার মার্শাল নজরুল : ওবিই হচ্ছে জ্ঞানগর্ভ ও চিন্তা উদ্দীপক কর্মশালা

আগের সংবাদ

টানা ৪ জয়ে সেমিতে পাকিস্তান

পরের সংবাদ

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা : অস্বাভাবিক জলবায়ুই এখন নতুন স্বাভাবিক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : তীব্র দাবদাহ, প্রলয়ঙ্করী বন্যার মতো দুর্যোগের ঘটনাগুলোই যে এখনকার আবহাওয়ার ‘নতুন স্বাভাবিক’ হয়ে উঠেছে, জলবায়ু সম্মেলনের সূচনায় সেটাই জানালো বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও)। গতকাল সোমবার প্রকাশিত ২০২১ সালের ‘দ্য স্টেট অব দ্য ক্লাইমেট রিপোর্ট’-এ ডব্লিউএমও দেখিয়েছে, কেমন করে চোখের সামনে বদলে যাচ্ছে এই পৃথিবী।
এই রিপোর্ট প্রকাশের পর এবারের শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি, ব্রিটিশমন্ত্রী অলোক শর্মা বলেন, এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি হার দেড় ডিগ্রি বা তার নিচে সীমাবদ্ধ রাখতে হলে এখনি পদক্ষেপ নিতে হবে। ছয় বছর আগে প্যারিসে আমরা একটি যৌথ লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলাম। সেখানে বৈশ্বিক উষ্ণতা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনার চুক্তি হয়। এখন এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় নামিয়ে আনতে হলে কপ-২৬ হচ্ছে শেষ সুযোগ। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এই পরিকল্পনা যদি সফল না হয় তাহলে উষ্ণ তাপমাত্রায় পুরো পৃথিবী যেমন বিপর্যয়ের মুখে পড়বে, তেমনি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে অনেক দেশ পানির নিচে তলিয়ে যাবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এখন সঠিক পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে ক্ষতির শিকার হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। এর আগে ইতালির রোমে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে চূড়ান্ত আলোচনার আগে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি বলেন, বিশ্ব নেতাদের এখনই কাজ শুরু করতে হবে। না হলে পরে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে। তিনি একে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন। সিংহাসনের ব্রিটিশ উত্তরাধিকারী, প্রিন্স চার্লস এই সম্মেলনকে ‘শেষ ও চূড়ান্ত সুযোগ’ হিসেবে বর্ণনা করেন। এই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন তিনি। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এই পৃথিবীর জন্য, পৃথিবীর মানুষের জন্য এবারের জলবায়ু সম্মেলনকে অবশ্যই একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হতে হবে।
২০০২ সাল থেকে পরের ২০ বছরের গড় তাপমাত্রা হিসাব করে ডব্লিউএমওর প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, পৃথিবীর তাপমাত্রা এবারই প্রথম প্রাক শিল্পায়ন যুগের তুলনায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বেড়ে যাওয়ার পথে রয়েছে। আর সমুদ্রপৃষ্ঠ ২০২১ সালে পৌঁছেছে নতুন উচ্চতায়। প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের ঘনত্ব রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছানোয় ২০২১ সালসহ গত সাত বছরে পৃথিবীর তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এই বাড়তি তাপমাত্রা পৃথিবীকে এক নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে জানিয়ে ডব্লিউএমওর অধ্যাপক পেত্তেরি তালাস বলেন, আবহাওয়ার চরমভাবাপন্ন ঘটনাগুলোই এখন নতুন বাস্তবতা। মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণেই যে জলবায়ু বদলে যাচ্ছে, সে বিষয়ে বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমাণ বাড়ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়