‘ভীষণ এক্সাইটেড ও নার্ভাস’

আগের সংবাদ

নির্বাচন ঘিরে বারবার নির্যাতন : ইস্যু যাই হোক হামলার লক্ষ্যবস্তু ‘সংখ্যালঘু’, স্বার্থ উদ্ধারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘ধর্ম’

পরের সংবাদ

ইংল্যান্ডের সেমি নিশ্চিত : অস্ট্রেলিয়াকে হেসেখেলে হারাল মরগান বাহিনী

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩১, ২০২১ , ৬:২১ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : এবারের বিশ্বকাপের হট ফেবারিট ধরা হচ্ছে ইংল্যান্ডকে। কেন তাদের ফেবারিট ধরা হচ্ছে তার প্রমাণ গতকাল ইংলিশরা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটিতে। নিজেদের চির প্রতিদ্ব›দ্বী অস্ট্রেলিয়াকে পেয়ে ছেলে খেলা করে বড় জয় তুলে নিয়েছে তারা। অথচ অজি ও ইংলিশদের ম্যাচটিতে সমানে সমানে লড়াই হবে এমন চিন্তা করা হয়েছিল, কিন্তু সেই সুযোগই অ্যারন ফিঞ্চের দলকে দেয়নি মরগানের দল। গতকাল দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে থ্রি লায়ন্সরা। ১৭ রানে অস্ট্রেলিয়ার তিন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফিরিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেন ইংল্যান্ডের ক্রিস জর্ডান।
ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ১২৫ রান করে। জবাবে ইংল্যান্ড ৫০ বল বাকি থাকতেই দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। ইংল্যান্ডের হয়ে ৩২ বল খেলে ৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন জস বাটলার। ইংল্যান্ড পাওয়ার প্লে অর্থাৎ প্রথম ছয় ওভারে তোলে ৬৬ রান। এবারের বিশ্বকাপে যা পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ রান। তবে সপ্তম ওভারে ২০ বল খেলে ২২ রান করে আউট হন জেসন রয়। এরপর ক্রিজে আসেন ডেভিড মালান। এরপরও নিজের বিধ্বংসী ব্যাটিং চালাতে থাকেন জস বাটলার। তিনি মাত্র ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এই বিশ্বকাপে এটি দ্রæত গতিতে হাফসেঞ্চুরি করার রেকর্ড। দলীয় ৯৭ রানের সময় ৮ রান করে ডেভিড মালান সাজঘরে ফেরেন। এরপর ক্রিজে আসা জনি বেয়ারেস্টোও ঝড় তোলেন। তিনি ১১ বল খেলে ১৬ রান করেন।
বর্তমানে গ্রæপ-১ এ পয়েন্ট টেবিলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানে আছে ইংল্যান্ড। তারা নিজেদের শেষ দুটি ম্যাচে খেলবে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এ দুটি ম্যাচের মধ্যে একটিতে জয় পেলেই চলবে তাদের। অপরদিকে সমান চার পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয়স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিতে জায়গা করে নেয়ার ফাইটটা হবে মূলত এ দুই দলের মধ্যেই।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ধসে যাওয়ার উপক্রম হয় অস্ট্রেলিয়ার। তারা দলীয় মাত্র ২১ রানে নিজেদের প্রথম চারটি উইকেট হারায়। এর ফলে বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে কম রান করার লজ্জার রেকর্ড নতুন করার শঙ্কায় পড়ে তারা। তবে মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় এই যাত্রায় বেঁচে যায় জাস্টিন ল্যাঙ্গারের শিষ্যরা। তাছাড়া ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চও দলের বিপদের সময় মাটি আকড়ে ধরে খেলতে থাকেন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন তিনিই। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান আসে অ্যাস্টন আগারের ব্যাট থেকে। শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়ে অজিরা ১২৫

রান করতে সমর্থ হয়। ইংল্যান্ডের হয়ে ম্যাচটিতে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট তুলে নেন ক্রিস জর্ডান। তিনি ম্যাচের ১৯তম ওভারে ফিঞ্চ ও প্যাট কামিন্সকে পরপর দুই বলে ফেরান। ১৭ রানে তিনটি উইকেট নেয়ায় তার হাতেই তুলে দেয়া হয় ম্যাচসেরার পুরস্কার।
২০১৪ সালে বাংলাদেশে হওয়া বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে মাত্র ৮৬ রানে অলআউট হয়েছিল অজিরা। এরপর বিশ্বমঞ্চে আর কখনো ১০০ এর কম রান করেনি তারা। যদিও গতকাল ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথমে বড় রকমের ধাক্কা খেয়ে প্রায় ধসেই গিয়েছিল তারা। বিশ্বকাপে তাদের দ্বিতীয় সর্বনি¤œ রান হলো ১১৭। ২০১২ সালে কলম্বোতে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই রান করেছিল তারা। এখন ইংলিশদের বিপক্ষে এই রান তাদের বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বনি¤œ রান।
ইংল্যান্ড আগের দুই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের বিপক্ষে বোলারদের নৈপুণ্যেই জয় পায়। গতকালও শুরুতে ডেভিড ওয়ার্নারকে মাত্র ১ রানে ফেরান ক্রিস উকস। তখন দলের রান মাত্র ৭। এরপর ওয়ার্নারের মতো ১ রান করেই আউট হন অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে আস্থার ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথ। তিনি ৮ রানের সময় ক্রিস জর্ডানের বলে আউট হন। এরপর দলীয় ১৫ রানের সময় ৬ রান করে গø্যান ম্যাক্সওয়েল ক্রিস উকসের বলে এলবিডবিøউ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। দল যখন চরম বিপদে তখন দলীয় ২১ রানের সময় মার্কাস স্টোনিস কোন রান না করেই সাজঘরে ফিরে যান। এ সময় ক্রিজে আসেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ম্যাথু উয়েড। তিনি ফিঞ্চের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ার দিকে মনযোগ দেন। তবে ১৮ রান করে দলীয় ৫১ রানের সময় লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে ক্যাচ আউট হয়ে তিনিও সাজঘরের পথ ধরেন। কিন্তু একপাশ আগলে ধরে রাখেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। তাকে এরপর সঙ্গ দিতে থাকেন অ্যাস্টন আগার। ক্রিজে একটু থিতু হওয়ার পর হাত খুলে মারতে থাকেন তিনি। তাছাড়া ওভারও শেষ হয়ে আসছিল। ফলে চার ছক্কা মারা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। তবে দলীয় ৯৮ রানের সময় আগার ২০ রান করে টাইমাল মিলসের বলে ক্যাচ আউট হন। বাউন্ডারির কাছ থেকে তার ক্যাচটি লুফে নেন লিভিংস্টোন। এরপর বাউন্ডারি হাঁকানো শুরু করেন ফিঞ্চও। তবে অবশেষে তিনি দলীয় ১১০ রানের সময় ক্রিস জর্ডানের বলে ক্যাচ আউট হন। জর্ডানের পরের বলেই বোল্ড আউট হন প্যাট কামিন্স। তিনি ৩ বল খেলে ১২ রান করে। এরপর দলীয় ১১৯ রানে রান আউট হয়ে ফেরেন অ্যাডাম জাম্পা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়