করোনা পরিস্থিতি : শনাক্ত কমলেও প্রাণহানি কিছুটা বেড়েছে

আগের সংবাদ

আতঙ্কিত চট্টগ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা : বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর

পরের সংবাদ

সারাদেশে পূজামণ্ডপে হামলা : চাঁদপুরে সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ২:৪৬ পূর্বাহ্ণ

** কুমিল্লায় বিজিবি মোতায়েন ** ঘটনা খতিয়ে দেখার নির্দেশ **
কাগজ ডেস্ক : কুমিল্লা নগরীর নানুয়া দীঘির উত্তর পাড়ে রাস্তার পাশে নির্মিত একটি পূজামণ্ডপে হনুমানের মূর্তির পায়ের উপরে পবিত্র কুরআন রেখে অবমাননার খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশের বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটে। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে কয়েকটি মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পুলিশসহ কমপক্ষে ৩৫ জন। পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কুমিল্লা শহরে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আর সেখানে কী ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এই ঘটনায় জড়িতরা শাস্তি পাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গতকাল বুধবার রাতে চাঁদপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে। পরে শটগানের গুলি নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় শ্রমিকসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়। হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিউটি অফিসার ডা. সুলতান মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- হাজীগঞ্জের ৬ নং বড়কুল ইউনিয়নের রায়চোঁ গ্রামের চৌধূরী বাড়ির এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. আল আমিন রাজু (১৮), রান্ধুনিমুড়ার ইয়াসিন হোসেন হৃদয় (১৪), হাজীগঞ্জের বিজনেস পার্কের শ্রমিক চাপাইনবাবগঞ্জের বাবলু (২৮)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এস এম শোয়েব আহমেদ চিশতী বলেন, হাসপাতালে ৮-১০ জন গুরুতর আহত অবস্থায় এসেছেন। তাদের কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে।
নিহত আল আমিনের মা বলেন, আমার ছেলে পত্রিকা কিনতে বাজারে এসেছিল।
স্থানীয়রা জানান, রাজমিস্ত্রি বাবলু আন্দোলনকারীদের সাথে ছিল না। হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ বলেন, হাজীগঞ্জ বাজারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় ১৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তবে চতুর্দিক থেকে খবর আসছে। আমরা পরিস্থিতি সামাল দিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বলেন, এ পর্যন্ত কতটি মন্দির হামলা হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে আমাদের ১০-১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
হাজীগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রুহি দাস বণিক বলেন, রাত ৮টার পর উপজেলার মনিনাগ এলাকা থেকে একটি মিছিল এসে হাজীগঞ্জ বাজারে ল²ী নারায়ণ জিওর আখড়া মন্দিরে হামলা চালায়। হামলাকারীরা মন্দিরের ফটক ভাঙচুর করে। গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা থেকেও হামলার খবর পাচ্ছি। পরিস্থিতি খুবই খারাপ। অধিকাংশ মন্দির আক্রান্তের খবর পাচ্ছি।
এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএমসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা হাজীগঞ্জে এখন থমথমে বিরাজ করছে। পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে হাজীগঞ্জ উপজেলায়।
পুলিশ-প্রশাসনের কর্মকর্তারা কুমিল্লায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালান এবং একপর্যায়ে পুলিশ টিয়ারশেল ও গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশ ও ক্ষুব্ধ জনতার মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, গুলি, লাঠিচার্জ ও ইট-পাটকেলের আঘাতে পুলিশ-পথচারীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুপুরে সেখানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
জানা যায়, কুমিল্লার নানুয়া দীঘির পাড় এলাকায় গতকাল সকালে লোকজন প্রাতঃভ্রমণ করছিল। এ সময় তারা দীঘির উত্তর পাড়ে রাস্তার পাশের একটি পূজামণ্ডপে হনুমানের মূর্তির পায়ের উপর পবিত্র কুরআন দেখতে পান। বিষয়টি দেখে ৯৯৯-এ পুলিশকে মোবাইল ফোনে কল করেন। এমন খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে গিয়ে পবিত্র কুরআন শরিফ সরিয়ে আনে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
ধর্মগ্রন্থ অবমাননার এ বিষয়টি মুহূর্তের মধ্যে লোকজনের মুখে মুখে জানাজানি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়লে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সেখানে জড়ো হতে থাকেন এবং সেখানে ক্ষুব্ধ জনতার ঢল নামে।
একপর্যায়ে হাজার হাজার জনতা পবিত্র কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে স্লোগান শুরু করে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেখানে যান এবং ক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। কিন্তু এতেও পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হতে থাকলে পুলিশ টিয়ার শেল ও গুলি চালায়। এ সময় এলাকাটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চেষ্টা চালান। এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনওয়ারুল আজিম জানান, খবর পেয়ে পূজামণ্ডপে হনুমানের মূর্তির পায়ের উপর থেকে পবিত্র কুরআন উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বিজিবির কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফজলে রাব্বি বলেন, কুমিল্লায় যাতে কোনো ধরনের ‘আনরেস্ট’ পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেজন্য দুপুরে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
দুর্গাপূজার মধ্যে এমন ঘটনার পর বিকালে ধর্ম মন্ত্রণালয় এক জরুরি ঘোষণায় বলেছে, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কুমিল্লায় পবিত্র কুরআন অবমাননা সংক্রান্ত খবর আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। খবরটি খতিয়ে দেখার জন্য ইতোমধ্যে আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি।
ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে যে কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক, তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইন হাতে তুলে না নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধও জানানো হয়েছে।
দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি নিশ্চিতের দাবি : গতকাল বুধবার মহাষ্টমীর দিনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় নানুয়া দীঘির উত্তর পাড়ে দুর্গাপূজা মণ্ডপসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
গতকাল ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, শারদীয় দুর্গোৎসবকে বানচাল করে গোটা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িক হামলা চালিয়েছে প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক শক্তি। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ হামলা সরকারের সাম্প্রদায়িক হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্সের ঘোষণাকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়েছে।
পরিষদের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক ও নির্মল রোজারিও এবং সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রাণা দাশগুপ্তের পক্ষ থেকে পাঠানো ওই বিবৃতিতে কুমিল্লার ঘটনার সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের সবাইকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্ষতিকর কাজে লিপ্ত থাকার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় এনে দ্রুততম বিচারে তাদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়েছে।
নোয়াখালীতে আটক ৪ : কুমিল্লায় পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআন অবমাননার জের ধরে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় পূজামণ্ডপ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ চারজনকে আটক করে।
গতকাল বুধবার রাত ৯টা ১০ মিনিটের দিকে হাতিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বসবাসরত লোক শ্রী শ্রী প্রিতম সাদুর বাড়ির দুর্গাপূজা মণ্ডপে ও উপজেলার নলছিড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বাবা লোকনাথ পূজামণ্ডপে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতদের মধ্যে মো. সোহেল হাতিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কালামের ছেলে। তাৎক্ষণিকভাবে অন্য তিনজনের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল রাত ৯টার দিকে হাতিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের লোক শ্রী শ্রী প্রিতম সাদুর বাড়ির দুর্গাপূজা মণ্ডপে শতাধিক দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। একই সময়ে নলছিড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বাবা লোকনাথ পূজামণ্ডপে তিন শতাধিক দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা বাধা দিলে তাদেরকে মারধর করে। উক্ত ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।
অন্যদিকে, জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার ১১ নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সর্বজয়া পূজামণ্ডপ, শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউর মন্দির, ১১ নং দুর্গাপুর বণিকপাড়া পূজামণ্ডপে ৫০-৬০ জন দুর্বৃত্ত ভাঙচুরের চেষ্টা করে। এ সময় তারা পূজামণ্ডপের সামনের গেটে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে মন্দিরের গেট ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় পূজামণ্ডপে কর্তব্যরত পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
নোয়াখালী পুলিশ মহাপরিদর্শক (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বেগমগঞ্জের পূজামণ্ডপে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মন্দির ভাঙচুর : শারদীয় দুর্গোৎসবের মধ্যে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় পূজামণ্ডপে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল জেলে পাড়া এলাকার বুড়া কালী মন্দির মণ্ডপে এ হামলা হয় বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে।
উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ডা. আশীষ শীল বলেন, কুমিল্লায় কুরআন শরিফ অবমাননার কথিত অভিযোগের রেশ ধরে বাঁশখালীর চাম্বল এলাকায় হওয়া মিছিল থেকে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, পশ্চিম চাম্বল বুড়া কালী মন্দিরে একটি মিছিল থেকে হামলা হয়েছে। এ সময় দুর্গা প্রতিমা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশ মূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মণ্ডপের বেশ কয়েকজনও আহত হন বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী বলেন, মিছিল থেকে কয়েকটি পাথর মেরেছে। তবে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পশ্চিম চাম্বল এলাকায় একটি পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে কারা, কেন এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেন, কুমিল্লার ঘটনার জেরে এক দল লোক সন্ধ্যার পর মিছিল বের করে মণ্ডপটিতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। সাথে সাথে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পূজামণ্ডপ এবং আশেপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পূজার কাজ ‘স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে’ বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়