নলডাঙ্গা : আ.লীগ-বিএনপি নেতাসহ আটক ১১ জুয়াড়ি

আগের সংবাদ

উন্নয়নের ভোগান্তি আর কত : কোনো প্রকল্পই শেষ হয় না নির্ধারিত সময়ে, বছরজুড়েই চলে সেবা সংস্থাগুলোর খোঁড়াখুঁড়ি

পরের সংবাদ

টাকা ও গহনা নিয়ে বাড়ি ছেড়েছে তিন কলেজছাত্রী : পরিবারের অভিযোগ, বিদেশে নেয়ার প্রলোভনের শিকার

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কলেজ পড়–য়া তিন বান্ধুবীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রাজধানীর পল্লবী এলাকার নিজ বাসা থেকে গত বৃহস্পতিবার সকালে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি তারা। নিখোঁজ ছাত্রীরা হলো- কাজী দিলখুশ জান্নাত নিসা, কানিজ ফাতেমা দিনা ও স্নেহা আক্তার। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুজনকে আটক করেছে পল্লবী থানা পুলিশ।
নিখোঁজদের পরিবার জানিয়েছে, তারা প্রত্যেকে উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। এদের মধ্যে দিলখুশ জান্নাত নিসা মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট, স্নেহা পল্লবী ডিগ্রি কলেজ ও কানিজ ফাতেমা দুয়ারিপাড়া কলেজের ছাত্রী। পরিবারের কাউকে কিছু না বলে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে সবাই নিজ নিজ বাসা থেকে একসঙ্গে বের হয়। বের হওয়ার সময় প্রত্যেকে বাসা থেকে নগদ টাকা, গহনা, স্কুল সার্টিফিকেট ও দামি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। ধারণা করছেন বিদেশে নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এ কাজ করেছে একটি চক্র।
জিডিতে কাজী দিলখুশ জান্নাত নিসার মা মাহমুদা আক্তার তরিকুল, রকিবুল ও জিনিয়া নামে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, মেয়ে নিসা ও তার দুই বান্ধবী কানিজ ফাতেমা ও স্নেহাকে বিদেশে নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘর ছাড়া করেছে একটি নারী পাচারকারী চক্র। পরিবারের কাউকে কিছু না বলে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সবাই নিজ নিজ বাসা থেকে একসঙ্গে বের হয়। নিখোঁজ শিক্ষার্থী দিলখুশ জান্নাত নিসার বড় বোন এডভোকেট কাজী রওশন দিল আফরোজ ভোরের কাগজকে বলেন, আমার বোন ও তার বান্ধবীদের বিদেশে নেয়ার প্রলোভন দেখানো হয়েছে। এজন্য তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। বৃহস্পতিবার ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে সবাই ব্যাগ ও কলেজ পোশাকে বের হয়েছে। আমাদের মহল্লার প্রতিবেশী তরিকুল, রকিবুল ও জিনিয়া এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। আমার বোন ও তার বান্ধবীদের সঙ্গে স্থানীয় আব্বাস উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ত অভিযুক্ত তরিকুল। সে আমার বোনের সঙ্গে প্রায়ই কথা বলত। তরিকুল নিসাকে বলতেন, সে অনেক বড় হ্যাকার। আর অনেক বড় কোম্পানির মালিক। বিদেশে লোক পাঠায়। আমার বোন নিসা বাসায় এসে আমাকে বলেছে, আপু তরিকুল তোমাকে তার কোম্পানির লিগ্যাল এডভাইজার পদে চাকরি দেবে। নিসা ৬ লাখ টাকা, কানিজ ফাতেমা আড়াই ভরি স্বর্ণ ও স্নেহা ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, তরিকুলই জানে বোনসহ তার বান্ধবীদের খবর। বিষয়টি আমি র‌্যাব-৪ কে জানিয়েছি

তারাও তদন্ত করে দেখছে। পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম ভোরের কাগজকে বলেন, তারা নিজ ইচ্ছায় ঘর থেকে গেছে। জিডির পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করছি। প্রকৃত ঘটনা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়