কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল দুই নারীর

আগের সংবাদ

শাড়িতেই এবার পকেট

পরের সংবাদ

রাস্তায় হাঁটু পানিতে দুর্ভোগ

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দৌলতখান (ভোলা) প্রতিনিধি : দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দিদারউল্লাহ গ্রামের শাহাজল হাওলাদার বাড়ির সামনের কাঁচা রাস্তাটি সামান্য বৃষ্টি হলে হাঁটু পানিতে পরিণত হয়। এতে রাস্তায় চলাচলকারীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। পানি ও কাদা মাড়িয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসীকে এ সড়কে চলাচল করতে হয়। এটি পাকা করার দাবি জানান স্থানীয়রা।
তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিন হাজার মানুষ প্রতিদিন এ কাঁচা মাটির রাস্তাটি ব্যবহার করে। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য দেড় কিলোমিটার। এখানে একটি কলেজ, মাদ্রাসা ও প্রাথমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ অন্তত ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রাথমিক-মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করতে গ্রামের ছেলেমেয়েরা ওই কাঁচা রাস্তা ব্যবহার করে দলিল উদ্দিন খায়েরহাট বাজার সংলগ্ন খাদিজা খানম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সেরাজল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলাকোপা আলিম মাদ্রাসা ও আলী আশরাফ মহাবিদ্যালয় যাতায়াত করে। যাতায়াতের সময়ে প্রায়ই শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এসব এলাকার অধিকাংশ মানুষ জেলে ও কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।
গ্রামের বাসিন্দা এবং ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সম্পাদক ষাটোর্ধ্ব শাহাজল হক বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলে কাঁচা রাস্তায় হাঁটু পানিতে পরিণত হয়। তখন রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে। রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে বাড়ি থেকে নামাজ পড়তে মসজিদে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে। প্রায় সময় নামাজ কাজা হচ্ছে। এলাকার সালাউদ্দিন বলেন, মাটির কাঁচা সড়কটি চার বছর ধরে বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে।
পাঁচ বছর আগে কর্মসূচির কাজের মাধ্যমে রাস্তাটি সংস্কার করা হলেও এক বছর পর রাস্তাটি আগের মতো হয়ে যায়। বর্তমানে রাস্তাটিতে হাঁটু পানি রয়েছে। এতে করে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। রাস্তাটি দ্রুত পাকা করার দাবি জানান তিনি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এইচ এম আনসার বলেন, রাস্তার বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রস্তাব পাঠালে আমরা অনুমোদন দেব। তখন দ্রুত কাজটি করা যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়