ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : ক্ষেতলালে ধানক্ষেত থেকে ৩২ বছর বয়সি এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার তুলসীগঙ্গা ইউপির দাশড়া মসন্দাইল গ্রামের মুনছুর রহমানের ছেলে গোলাম মওলা (৩২)। পরিবারের দাবি, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তিনি ক্ষেতলাল সরকারি এস এ কলেজ রোডে বিকাশ ও নগদের ব্যবসা করতেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত ২টায় ক্ষেতলাল উপজেলার পৌর সদরের মরাগাড়ি ও বাবরাব নামক দুই স্থানের মাঝামাঝি স্থানের একটি ধানক্ষেতে ওই যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে তার পরিবার ও এলাকাবাসী ক্ষেতলাল থানা পুলিশকে জানান। পরে শুক্রবার ভোরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
গোলাম মাওলার বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার ভাই খুব ভালো ও সৎ ছেলে। এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়- এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির চাই। নিহতের বাবা সত্তরোর্ধ্ব মুনছুর রহমান কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, আমার বাবাকে যারা হত্যা করল তাদের উপযুক্ত বিচার দেখে যেতে চাই।
ক্ষেতলাল বাইতুর রহমান আহলে হাদিস জামে মসজিদের ইমাম শাহাদাৎ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে এশার নামাজ শেষে তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল এবং সকালে তার মৃত্যুর খবর পেলাম। এটি খুব কষ্টদায়ক। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ঘটনাস্থল থেকে নিহত যুবকের ব্যবহৃত বাইসাইকেল ও ব্যাগ থেকে বিকাশের কাজে ব্যবহৃত ৩টি মোবাইল, ১টি ট্যাব এবং ম্যানিব্যাগসহ নগদ ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাসীর ধারণা, বৃহস্পতিবার রাতে দোকান বন্ধ করে ঝিম ঝিম বৃষ্টির মধ্যে বাড়িতে ফেরার পথে কে বা কারা তাকে পূর্ব শত্রæতার জেরে হত্যা করেছে।
ক্ষেতলাল থানার ওসি (তদন্ত) শাহ আলম জানান, তাকে হত্যা করা হয়েছে এটি নিশ্চিত। তবে এখনো হত্যার আসল কারণ জানা যায়নি। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি বলেও জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।