কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল দুই নারীর

আগের সংবাদ

শাড়িতেই এবার পকেট

পরের সংবাদ

অজ্ঞাত তরুণীর হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : শ্রীপুরে গলা কেটে অজ্ঞাত তরুণীকে হত্যা মামলার রহস্য দুই বছরেরও বেশি সময় পর উদ্ঘাটন করেছে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সুমন মিয়াকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের কপাটিয়াপাড়া গ্রামরে বাদশা মিয়ার ছেলে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে গাজীপুর পিবিআইর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ২০১৯ সালের ২১ জুন সকালে শ্রীপুর উপজেলার পশ্চিম কপাটিয়া গামের রফিকুল ইসলামের পুকুরে অজ্ঞাতনামা তরুণীর (২০) গলাকাটা মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। শ্রীপুর থানা পুলিশ মামলাটি প্রায় ৩ মাসের অধিক সময় তদন্ত করে। পরবর্তী মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয় গাজীপুরের পিবিআইকে। তদন্তকালে এ হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (২৫ আগস্ট) সুমন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
আসামি সুমন মিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে পেশায় অটোরিকশা চালক। তার স্ত্রী জর্ডানে থাকে। স্ত্রী বিদেশে থাকায় সে প্রায়ই খারাপ মেয়েদের এলাকায় নিয়ে ফুর্তি করত। ঘটনার দিন (২০১৯ সালের ২১ জুন) রাত ১টার দিকে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য এক হাজার টাকায় স্থানীয় নয়নপুর বাজার এলাকা থেকে রোজিনা নামের এক ভাসমান পতিতার সঙ্গে চুক্তি করে সুমন। সে ওই তরুণীকে কপাটিয়া পাড়ায় হৃদয়ের বাড়ির পাশের বাঁশবাগানের জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে ওই তরুণীর সঙ্গে দুই দফায় শারীরিক সম্পর্ক করে সুমন।

পরে রোজিনা চুক্তির টাকা চাইলে সুমন টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে ঘরে গিয়ে একটি বঁটি নিয়ে আসে। এরপর রোজিনাকে মাটিতে শুইয়ে নাকও মুখে চাপ দিয়ে ধরে বঁটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে সুমন। পরে হৃদয়কে ফাঁসানোর জন্য রোজিনার মরদেহ পুকুরে ফেলে দিয়ে বাড়ি চলে যায়। পরদিন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বঁটি ভেঙে এক ফেরিওয়ালার কাছে ২২ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করে দেয়। স্ত্রীর দেয়া টাকায় কেনা মোবাইল আত্মসাৎ করায় হৃদয়ের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল সুমন।
বুধবার (২৫ আগস্ট) গ্রেপ্তারকৃত সুমন মিয়াকে গাজীপুরের আদালতে হাজির করা হলে সে লোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক মো. আবদুল কাদের জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়