জাসদের পাল্টা প্রশ্ন : ১৫ আগস্ট সেলিম মার্কিন দূতাবাসে কী করছিলেন

আগের সংবাদ

কারা এই আইএস-কে? আফগানিস্তানে সক্রিয় নৃশংসতম জঙ্গিগোষ্ঠীর কাবুলে হামলার দায় স্বীকার

পরের সংবাদ

১৮-১৯ মার্চ : জনতা-সৈন্য গুলি বিনিময়

প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পরাধীন ব্রিটিশ-ভারত থেকে পাকিস্তানের কালো অধ্যায় পেরিয়ে জন্ম হয় বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের। এই মহান অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের মোড় ঘোরানো নানা ঘটনা, যার কারিগর হিসেবে কেউ আখ্যায়িত হয়েছেন নায়কের অভিধায়; কেউবা আবির্ভূত হয়েছেন খলনায়কের চরিত্রে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে সেসব ঘটনা ও তার নায়ক-খলনায়কদের কার কি ভূমিকা, তাই নিয়েই অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গ্রন্থ ‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’। সম্প্রতি ভোরের কাগজ প্রকাশন থেকে বের হয়েছে বইটি। এ বই থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন কিছু অংশ তুলে ধরা হচ্ছে ভোরের কাগজের পাঠকদের জন্য।
ঢাকায় মতিঝিল কেন্দ্রীয় সরকারি হাই স্কুলের ওপর হামলা চালানো হয় এবং এসিড রাসায়নিক দ্রব্য লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। যশোর সেনাবাহিনীর একটি শিবিরে দুজন সামরিক কর্মচারীর ওপর এসিডের বোতল নিক্ষেপ করা হয়।
ঢাকায় একটি লেভেল ক্রসিংয়ের ওপর ময়মনসিংহ থেকে প্রত্যাবর্তনকারী একটি সামরিক যানের ওপর জনতা অতর্কিত আক্রমণ চালায়। আক্রমণকারীরা অস্ত্রশস্ত্রসহ ৬ জন লোককে নিয়ে পালিয়ে যায়। ঢাকা থেকে ২২ মাইল দূরে জয়দেবপুর বাজারে লেভেল ক্রসিংয়ের ওপর একটি ট্রেন রেখে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হলে জনতা ও সেনাবাহিনীর লোকজনের মধ্যে গোলাগুলি বিনিময় হয়। এরপর সেখানে সান্ধ্য আইন জারি করা হয়। সৈন্যরা ট্রেনটি একদিকে সরিয়ে দিয়ে তাদের যাওয়ার পথ করার চেষ্টা করলে জনতা তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে ৩ জন সৈন্য মারাত্মকভাবে জখম হয়। সৈন্যরা পাল্টা গুলি চালালে দুজন লোক নিহত এবং অন্য ৫ জন আহত হয়। জয়দেবপুর চৌমাথায় উন্মত্ত জনতা আবার সৈন্যদের ওপর গুলি চালায়। সৈন্যরা পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে একজন লোক নিহত হয়। ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে আরো আধাডজন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়।
২০ ও ২১ মার্চ : জয় স্বাধীন বাংলা : হিন্দুস্থান থেকে সাতক্ষীরা হয়ে বিপুল পরিমাণ হিন্দুস্থানী অস্ত্রশস্ত্র চোরাই পথে সীমান্তের এপারে আসে বলে খবর পাওয়া গেছে। চোরাই পথে আনীত অস্ত্রশস্ত্র চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা পাঠানো হয় বলে খবর পাওয়া যায়।

হংকংয়ের দি ফার ইস্টার্ন রিভিউ ২০ মার্চ ১৯৭১ সংখ্যায় লিখেছে, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান যখন পশ্চিম পাকিস্তানের তার পরবর্তী উদ্যোগের কথা ভাবছিলেন, তখন শেখ মুজিবুর রহমান তার ঢাকার বাড়িতে আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, ‘এটাই শেষ দফা’। শেখ মুজিবের বাসভবনে বাংলাদেশের পতাকা এবং বিভিন্ন প্রতীক দিয়ে সুসজ্জিত ছিল। এ কথার অর্থ কি তা জিজ্ঞেস করায় তিনি সেই সেøাগানটি দিয়ে তার জবাব দিয়েছিলেন যা তিনি হাজার হাজার বার জনতার সামনে উচ্চারণ করেছেন। জয় স্বাধীন বাংলা-স্বাধীন বাংলা দীর্ঘজীবী হোক।
আগামীকাল প্রকাশিত হবে
‘২২ মার্চ : ইয়াহিয়ার বুকে তীর’
‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’- বইটি পাওয়া যাচ্ছে ভোরের কাগজ প্রকাশনে (ভোরের কাগজ কার্যালয়, ৭০ শহীদ সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা)। এছাড়া সংগ্রহ করা যাবে নযড়ৎবৎশধমড়লঢ়ৎড়শধংযধহ.পড়স থেকেও।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়