জাসদের পাল্টা প্রশ্ন : ১৫ আগস্ট সেলিম মার্কিন দূতাবাসে কী করছিলেন

আগের সংবাদ

কারা এই আইএস-কে? আফগানিস্তানে সক্রিয় নৃশংসতম জঙ্গিগোষ্ঠীর কাবুলে হামলার দায় স্বীকার

পরের সংবাদ

পাটের দাম পেয়ে নান্দাইলে কৃষকের মুখে সোনালি হাসি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : উপজেলায় পাটের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে ভাসছে সোনালি হাসি। পাটের আঁশ ছাড়ানো, ধোয়া ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে নান্দাইলের পাটচাষিরা। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পাটের বাম্পার ফলনের পাশাপাশি পাটের দামও বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা লাভের মুখ দেখছেন। বর্তমানে বাজারে পাটের ভালো দামও আছে, প্রতি মণ পাট ৩ হাজার ২০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করা হচ্ছে। তাই সঠিক সময়ে ন্যায্য দাম পাওয়ার লক্ষ্যে এলাকার কিষান-কিষানিরা রাস্তাঘাট, মাঠ, ক্ষেতের আইল, ডোবা, নদীর তীরে ও বাড়ির আঙিনায় পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ করছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাটের আঁশ ছাড়াচ্ছেন তারা। সোনালি আঁশের সোনালি রংয়ে ভরে গেছে কৃষকের ঘর।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে নান্দাইলের বিভিন্ন গ্রাম ও প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের জমিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ব্যাপকভাবে সোনালি আঁশের আবাদ হয়েছে। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বিভিন্ন গ্রাম ও চরাঞ্চলের সমতল ও অসমতল জমিতে এ বছর পাটের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৯৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে দেশীয়, তোষা, মেশতা ও অন্যান্য জাতের পাট রয়েছে।
স্থানীয় পাটচাষি সাইফুল ইসলাম ও শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশে সার, বীজ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ কম ও অনুকূল আবহাওয়া থাকায় সোনালি আঁশের ফলন অধিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাটের সোনালি আঁশের সুদিন ফিরে আসবে বলে মনে করছেন পাটচাষিরা। এছাড়া পাইকাররা বাড়ি বাড়ি গিয়েও পাট কেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাই ভালো ফলন ও আশানুরূপ দাম পেয়ে বিগত বছরগুলোতে লোকসানে পড়া কৃষকদের মুখে সন্তুষ্টির হাসি ফুটে উঠেছে। তবে এ কাজে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরই পাটের আঁশ ছাড়াতে দেখা যায়। তারা পাটের আঁশ ছাড়ালে পাটখড়ি পাবেন। তাই পাটের আঁটির আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এতে যেমন মালিকের লাভ, তেমনি তাদেরও লাভ রয়েছে বলে আঁশ ছাড়ানো কিষানিরা জানান।
এদিকে পাটচাষিরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে পাট চাষ, সেচ, রাসায়নিক সার প্রয়োগ, পাট কাটা, শুকানোসহ খরচ হবে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। গত বছর বিঘাপ্রতি ৭-৮ মণ পাট পাওয়া গেছে। কিন্তু এবার ফলন ভালো হওয়ায় বিঘাপ্রতি ১০-১২ মণ পাট পাওয়া যাবে। পাটের ভালো দাম থাকলে আগামীতেও পাটের চাষ আরো বাড়বে।
নান্দাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান জানান, আমরা কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও মাঠ পর্যায়ে দেখাশোনা করায় ফলন ভালো হয়েছে। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন প্রণোদনা ও ভর্তুকি কৃষকদের মাঝে পৌঁছে দেয়ায় তারা আরো বেশি উদ্বুদ্ধ হয়েছে। বর্তমানে বাজারে পাটের চাহিদা ও মূল্য বৃদ্ধির কারণে পাট চাষ দিন দিন বাড়ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়