জাসদের পাল্টা প্রশ্ন : ১৫ আগস্ট সেলিম মার্কিন দূতাবাসে কী করছিলেন

আগের সংবাদ

কারা এই আইএস-কে? আফগানিস্তানে সক্রিয় নৃশংসতম জঙ্গিগোষ্ঠীর কাবুলে হামলার দায় স্বীকার

পরের সংবাদ

ড. সিতেশ চন্দ্র বাছার : কীটনাশক অকার্যকর, সচেতনতাই ভরসা

প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৭, ২০২১ , ১:৩৪ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সিতেশ চন্দ্র বাছার বলেছেন, বর্তমানে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা যে হারে বাড়ছে তাতে আগামীতে এর ভয়াবহতা নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে। এ কারণে ডেঙ্গুর লার্ভা ধ্বংস করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের কাছে যদি মশার লার্ভা ধ্বংসের প্রধান অস্ত্র কীটনাশকের মজুত যথেষ্ট পরিমাণে না থাকে তাহলে জনসচেতনতার ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের কাগজকে তিনি এসব কথা বলেন।
সিতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, ডেঙ্গুর লার্ভা যেহেতু বাসা-বাড়ির স্বচ্ছ পানিতে জন্মায়, তাই জমে থাকা জল ফেলে দিলেই ৬০ ভাগ ঝুঁকি কমে যাবে। ডেঙ্গু সচেতনতায় দুই সিটি করপোরেশন ব্যাপক ক্যাম্পেইন করছে। তবে এই মুহূর্তে তাদের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা আরো বাড়ানো জরুরি।
ডেঙ্গু নিধনের ওষুধের কার্যকারিতা নিশ্চিতের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডেঙ্গুর ভয়াবহতা রোধে এডিস মশার জীবনচক্র সমূলে ধ্বংস করতে হবে। এক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি কার্যকরী ওষুধ প্রয়োগ না করলে তা সমূলে ধ্বংস হবে না। এক্ষেত্রে যে সার্ভিসাইটগুলো মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ করা হয় তা আগে ল্যাবে পরীক্ষা করে এর কার্যকারিতা কতটুকু তা নির্ণয় করা দরকার।
তিনি বলেন, মশা নিধনে এবার মাঠ পর্যায়ে ফগার মেশিনের মাধ্যমে যে ওষুধ ব্যবহার করা হয় তা গত বছরগুলোর তুলনায় কম। ফলে মশকনিধন কার্যক্রমে সফলতা আসছে না। মশার উপদ্রবও কমছে না। ফগার মেশিন দিয়ে মশকনিধনে যে ওষুধ ছিটানো হয়, তার কার্যকারিতা মাত্র ২০ শতাংশ। যার ফলে ওষুধের উপর ভরসা হারিয়ে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এর আগে লার্ভার এডেলটিসাইটের কার্যকারিতা নিয়ে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় এর কার্যকারিতা খুব একটা পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়