জাসদের পাল্টা প্রশ্ন : ১৫ আগস্ট সেলিম মার্কিন দূতাবাসে কী করছিলেন

আগের সংবাদ

কারা এই আইএস-কে? আফগানিস্তানে সক্রিয় নৃশংসতম জঙ্গিগোষ্ঠীর কাবুলে হামলার দায় স্বীকার

পরের সংবাদ

ড. কবিরুল বাশার : মশা নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা জরুরি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেছেন, মশক নিয়ন্ত্রণে আমরা সব সময় সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কথা বলে থাকি। কারণ সমগ্র পৃথিবীতে সমন্বিতভাবে খুব সহজেই মশক নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে। আমাদের দেশে মশক নিয়ন্ত্রণের যে গুরুত্বপূর্ণ চারটি পন্থা রয়েছে তা হচ্ছে, পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা, জীবজ নিয়ন্ত্রণ, কীটনাশক দিয়ে নিয়ন্ত্রণ এবং জনগণকে মশক নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হিসেবে নেয়া।
তিনি বলেন, যে পাত্রের জমা পানিতে এডিসের লার্ভা হয়, সেই পাত্রটি ফেলে দিতে পারি অথবা কিছু পাত্র উল্টিয়ে রাখতে পারি। কিন্তু যে পাত্রটি ফেলে দেয়া বা উল্টিয়ে রাখা সম্ভব না, সেই পাত্রে অবশ্যই কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। নির্মাণাধীন ভবন, ছাদ, নিচতলার জমা পানিতে কীটনাশক দিতেই হবে। এক্ষেত্রে করপোরেশন যে জনগণকে সমন্বয় করে মশক নিয়ন্ত্রণ করছে, সেটা নিয়ন্ত্রণেরই একটি অংশ। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ অংশ না। এর সঙ্গে কীটনাশক এবং পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি। কিউলেক্স নিয়ন্ত্রণে এক্ষেত্রে গাপ্পিমাছ এবং এডিস নিয়ন্ত্রণে ব্যাসিলাস থুরিনজিয়েনসিস কীটনাশকটি প্রয়োগ জরুরি। পাশাপাশি লার্ভিসাইট ব্যবহারও জরুরি। এই চারটি পন্থার কোনোটাই বাদ দিয়ে মশক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না।
কবিরুল বাশার বলেন, প্রতিটি প্রজাতির মশা কীটনাশক ও প্রকৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে তাদের জিনগত পরিবর্তন করে থাকে। যে কীটনাশক এখন দেয়া হচ্ছে বা বিগত দুই থেকে তিন বছর ধরে দেয়া হচ্ছে, এখন এটার বিরুদ্ধে মশা সহনশীলতা তৈরি করে ফেলেছে। এটাকে ইনসেক্টিসাইড রেজিস্ট্যান্স বা কীটনাশক সহনশীলতা বলা হয়। একটা সময়ে এটা এদের জিনগত সহনশীলতায় পরিবর্তন নিয়ে আসে, যা পরবর্তী প্রজন্মেও চলে যায়। এ কারণে মশার ওষুধ আর কাজ করছে না।
তিনি বলেন, একেকটি ওয়ার্ডকে কয়েকটি ব্লকে ভাগ করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় যেসব জায়গায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ আছে, সেগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ কাজ করতে হবে সিটি করপোরেশনকেই। তা না হলে অবস্থা আরো ভয়াবহ হতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়