ডুপ্লেক্স বাসায় অগ্নিকাণ্ডে দুই গৃহকর্মীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

খোঁড়াখুঁড়িতে জনদুর্ভোগ : লকডাউনে কাজ করলে এখন ভোগান্তি হতো না > জমানো পানিতে বাড়ছে এডিস মশা

পরের সংবাদ

যাত্রীসেবা বাড়ানোর দাবি স্থানীয়দের : লক্কড়-ঝক্কড় বাস চলছে সুনামগঞ্জে

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে যাত্রী সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি রয়েছে বাস মালিক সমিতির উদ্যোগ। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ৩ বছর আগে এই সড়কে চালু হয়েছে বিআরটিসি বাস। যাত্রীদের সেবার মান বাড়াতে সরকারি বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মালিক সমিতিও চালু করেছে নিলাদ্রী নামে বাস সার্ভিস। তবে এই দুই রকমের বাসের সংখ্যা সীমিত হওয়ায় যাত্রীদের লক্কড়-ঝক্কড় বাসেই যাতায়াত করতে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুনামগঞ্জ সিলেট সড়কে বিআরটিসির ৩টি বাস চলছে। এই তিনটি বাস প্রতিদিন ৬ বার আসা-যাওয়া করে সিলেটে।
মালিক পক্ষ থেকে যাত্রীদের উন্নতর সার্ভিসের জন্য সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে আরামদায়ক ৪টি বাস নামিয়েছে। এ বাসগুলোর নাম দেয়া হয়েছে ‘নিলাদ্রী’। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টা পরপর সিলেটের উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায় নিলাদ্রী।
যাত্রীরা বলছেন, সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে চলাচল করা অন্য বাসগুলো আরামদায়ক নয়। ঢাকা থেকে পরিত্যক্ত বাসগুলো এই সড়কে নিয়ে এসে যাত্রী পরিবহনে লাগানো হয়।
তবে বিআরটিসির বাস ও মালিকপক্ষের নতুন দেয়া নিলাদ্রী বাস সার্ভিস খুবই আরামদায়ক। একটি সিটের থেকে আরেকটি সিটের নির্দিষ্ট দূরত্ব ও উন্নত এসি সুবিধা রয়েছে এই বাসগুলোতে। সমস্যা হলো চাইলেই এ বাসগুলোতে যাওয়া যায় না। কারণ এই বাসগুলো ১ ঘণ্টা থেকে ২ ঘণ্টা পরপর সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আর স্টেশনের পুরনো বাসগুলো ২০ মিনিট পরপর ছেড়ে যায়। তাই সময় নষ্ট না করে ভোগান্তি সহ্য করে পুরান বাস দিয়ে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এদিকে বিআরটিসি বাস কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা চাইলেও সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারছে না। তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদ প্রতিদিন সিলেটে ৬টি টিপ দেয়ার অনুমতি দিয়ে গেছেন। এই নির্দেশনা প্রত্যাহার হলে বাসের সংখ্যা বাড়াবে তারা।
জেলা বাস মালিক সমিতি বলছে, যাত্রীদের কথা চিন্তা করে এই সড়কে তারা ৪টি এসি বাস চালু করেছে। এই বাসগুলো প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টা পরপর সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। তবে এ রকম উন্নতর বাস আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
যাত্রী জাহানুর আহমেদ মনির বললেন, সিলেটে একটু আরামে যেতে চাই আমরা। নতুন বাস স্টেশনে যে বাসগুলো আছে, সেগুলোতে কষ্ট করে বসতে হয়। আর নিলাদ্রী ও বিআরটিসির বাসগুলো সময় মতো ছাড়ে না। নির্দিষ্ট সময় পরপর ছাড়ে। অথচ পুরনো বাসগুলো ২০ মিনিট পরপর ছেড়ে যায় সিলেটে। তাই আমাদের ভোগান্তি সহ্য করেই পুরনো বাস দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
বিআরটিসি বাসের সুনামগঞ্জ কাউন্টার ম্যানেজার সৈয়দ নুর উদ্দিন বলেন, আমরা চাই বাসের সংখ্যা বাড়াতে। কিন্তু জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ৬টি টিপ দেবার কথা বলা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কে বাসের সংখ্যা বাড়াব আমরা।
জেলা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মিয়া বলেন, আমাদের ৪টি বাস নিলাদ্রী ১ ঘণ্টা পরপর সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। তবে যাত্রীদের কথা চিন্তা করে এ রকম উন্নতর বাস বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে আরো ২টি এসি বাস সুনামগঞ্জ সিলেট সড়কে যুক্ত হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়