ডুপ্লেক্স বাসায় অগ্নিকাণ্ডে দুই গৃহকর্মীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

খোঁড়াখুঁড়িতে জনদুর্ভোগ : লকডাউনে কাজ করলে এখন ভোগান্তি হতো না > জমানো পানিতে বাড়ছে এডিস মশা

পরের সংবাদ

করোনা পরিস্থিতি : শনাক্তের সঙ্গে কমেছে মৃত্যুও

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আরো কমেছে। গত ২৯ জুনের পর সবচেয়ে কম সংখ্যক মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। ২৯ জুন ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর গত ২৪ ঘণ্টায় এ সংখ্যা ছিল ১১৪ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২৪৯ জন। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, সোমবার ১১৭ জনের মৃত্যু এবং ৫ হাজার ৭১৭ জন রোগী শনাক্ত হন। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। রবিবার মৃত্যু হয়েছিল ১৩৯ জনের। আর নতুন রোগী শনাক্ত হন ৪ হাজার ৮০৪ জন। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ১৬ শতাংশ। শনিবার ১২০ জনের মৃত্যু ও ৩ হাজার ৯৯১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। রোগী শনাক্তের হার ছিল ১৬ দশমিক ৭১ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৩৬টি পরীক্ষাগারে ৩৪ হাজার ৭০৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৯০৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৩ দশমিক শূন্য ৮১ শতাংশ এবং মৃত্যু হার ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশে এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ৫১৩ জনের। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৬৪৬ জন পুরুষ ও নারী ৮ হাজার ৮৬৭ জন।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ১১৪ জনের মধ্যে পুরুষ ৫৬ জন আর নারী ৫৮ জন। সরকারি হাসপাতালে ৮৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২৪ জন এবং বাড়িতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বয়স বিবেচনায় নব্বই ঊর্ধ্ব ১ জন, আশি ঊর্ধ্ব ৯ জন, সত্তরোর্ধ্ব ২১ জন, ষাটোর্ধ্ব ৩৬ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৬ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১১ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ৪ জন, বিশোর্ধ্ব ৪ জন দশোর্ধ্ব ১ জন এবং ১০ বছরের কম বয়সি ১ জন। বিভাগ বিবেচনায় ঢাকা বিভাগের ৪২ জন, চট্টগ্রামের ২৯ জন, রাজশাহীর ৬ জন, খুলনা বিভাগের ১৩ জন, বরিশাল বিভাগের ৫ জন, সিলেট বিভাগের ৯ জন, রংপুর বিভাগের ৬ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের ৪ জন।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনা সংক্রমণের পর রেকর্ডসংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন ২৮ জুলাই। ওই দিন ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হন। ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারিকালে সর্বোচ্চ সংখ্যা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়