সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক লীগের মানববন্ধন

আগের সংবাদ

ঝুঁকিতে উদারপন্থি ও নারীরা : শরিয়া আইনে দেশ চালানোর ঘোষণা তালেবান প্রশাসনের, তালেবানবিরোধী বিক্ষোভ বিভিন্ন শহরে

পরের সংবাদ

৬ মার্চ : জেল ভাঙার পালা

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পরাধীন ব্রিটিশ-ভারত থেকে পাকিস্তানের কালো অধ্যায় পেরিয়ে জন্ম হয় বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের। এই মহান অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের মোড় ঘোরানো নানা ঘটনা, যার কারিগর হিসেবে কেউ আখ্যায়িত হয়েছেন নায়কের অভিধায়; কেউবা আবির্ভূত হয়েছেন খলনায়কের চরিত্রে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে সেসব ঘটনা ও তার নায়ক-খলনায়কদের কার কি ভূমিকা, তাই নিয়েই অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গ্রন্থ ‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’। সম্প্রতি ভোরের কাগজ প্রকাশন থেকে বের হয়েছে বইটি। এ বই থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন কিছু অংশ তুলে ধরা হচ্ছে ভোরের কাগজের পাঠকদের জন্য।
১৯৭১ সালের ৫ ও ৬ মার্চ রাতে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ছাত্ররা ব্রিটিশ কাউন্সিল ভবনে ঢুকে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সময়মতো সেনাবাহিনী পৌঁছায় এবং গুলি ছুড়ে অবস্থা আয়ত্তে আনে। ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার ভেঙে ৩৪১ জন কয়েদি পালিয়ে যায়। পুলিশ গুলি ছোড়ার ফলে সাতজন কয়েদি নিহত হয়, ১ জন পুলিশ সার্জেট এবং ৬ জন ওয়ার্ডার আহত হয়। পরে পলায়নকারী কয়েদিরা আওয়ামী লীগ উগ্রপন্থি এবং ছাত্রদলের সহযোগিতায় মারাত্মক সেøাগান দিতে দিতে ঢাকার রাস্তাগুলো প্রদক্ষিণ করে।
আওয়ামী লীগ ও পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কর্মীরা এসিড এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ সংগ্রহ করার জন্য বিজ্ঞান গবেষণাগুলো লুট করা শুরু করে। ঢাকার সরকারি বিজ্ঞান গবেষণাগার থেকে সব বিস্ফোরক রাসায়নিক লুট করে নেয়া হয়। এই একই উদ্দেশ্যে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আক্রমণ করা হয়। যখন গুলি ছোড়া হয় তখন গুণ্ডারা পালিয়ে যায়। কুমিল্লা ও যশোরসহ পূর্ব পাকিস্তানের সব প্রধান শহর থেকে বোমা বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজ ট্রেনিং কোর-এর ১০টি রাইফেল এবং ১৫টি বেয়নেট চুরি হয়।
চট্টগ্রামে লুঠতরাজ, অগ্নিসংযোগ চলতেই থাকে। দুটো দালান এবং কিছু সংখ্যক কুঁড়েঘর পোড়ানো হয়। আড়াল থেকে অতর্কিতভাবে গুলি ছোড়ার ঘটনাও বেশ কয়েক জায়গায় ঘটে। রাজশাহীতে সদর ম্যাজিস্ট্রেটের অফিসে আগুন লাগানো হয়।
খুলনায় রাষ্ট্রবিরোধী সেøাগান দিয়ে বিক্ষুব্ধ মিছিলগুলো অস্ত্রের

দোকানগুলো লুট করার চেষ্টা করে। দোকানের মালিক গুলি ছোড়ার ফলে একজন নিহত ও ৭ জন আহত হয়।

আগামীকাল প্রকাশিত হবে
‘৭ মার্চ : ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো’
‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’- বইটি পাওয়া যাচ্ছে ভোরের কাগজ প্রকাশনে (ভোরের কাগজ কার্যালয়, ৭০ শহীদ সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা)। এছাড়া সংগ্রহ করা যাবে bhorerkagojprokashan.com থেকেও।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়