সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক লীগের মানববন্ধন

আগের সংবাদ

ঝুঁকিতে উদারপন্থি ও নারীরা : শরিয়া আইনে দেশ চালানোর ঘোষণা তালেবান প্রশাসনের, তালেবানবিরোধী বিক্ষোভ বিভিন্ন শহরে

পরের সংবাদ

সম্ভাব্য পরবর্তী প্রেসিডেন্ট : কে এই মোল্লাহ গনি বরদার?

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আমেরিকান হামলার মুখে ২০০১ সালে তালেবানের অন্য নেতাদের সঙ্গে প্রথমে কাবুল, তারপর দেশে ছেড়ে পাকিস্তানে পালিয়ে যান বরদার। আট বছর পাকিস্তানের কারাগারে আটক থাকেন। গত মঙ্গলবার দেশে ফিরেছেন। হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা তালেবানের আমির বা শীর্ষ নেতা কাবুলে আসন্ন সরকারের প্রধান হতে চলেছেন; তার ডেপুটি মোল্লাহ বরদার। ধারণা করা হচ্ছে, বরদারই যে তাদের ইসলামি আমিরাতের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন, এ নিয়ে সংশয় নেই কোনো। মার্কিন অধ্যাপক ও আফগান-বিশ্লেষক ড. ইউসুফজাই মনে করেন, তালেবানের মধ্যে বরদারই এখন বাকি বিশ্বের কাছে অপেক্ষাকৃত গ্রহণযোগ্য। তালেবানের বিভিন্ন অংশের সঙ্গেও তার সম্পর্ক ভালো এবং বোঝাপড়া করে জটিলতার মীমাংসা করার ক্ষমতা তার রয়েছে। কাবুল দখলের পর অনেকের মনেই এই প্রশ্ন উঠেছে, কেমন মানুষ এই মোল্লাহ আবদুল গনি বরদার, কীভাবে তার এই উত্থান? আর ক্ষমতা হাতে পেলে কীভাবে তিনি আফগানিস্তান চালাবেন?
ইউসুফজাই বলেন, বরদার কঠোর হাতে দেশ শাসন করবেন। খুব শক্ত মনের মানুষ তিনি, খুবই শক্ত নেতা। দীর্ঘ আট বছর পাকিস্তানের কারাগারে ছিলেন তিনি, কিন্তু তাতে একটুও ভেঙে পড়েননি। তরুণ বয়স থেকে যুদ্ধ করছেন তিনি। প্রথমে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে, তারপর গৃহযুদ্ধে অন্য প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আপাতদৃষ্টিতে মানুষটি ঠাণ্ডা মাথার একজন কূটনীতিক, যিনি দোহায় বসে নানা দেশের সরকারের সঙ্গে আপস মীমাংসা করছেন, বিদেশ সফর করছেন। ইন্টারপোলের নথি অনুযায়ী, মোল্লাহ বরদারের জন্ম আফগানিস্তানের উরুযগান প্রদেশের উইটমাক গ্রামে। তবে বড় হয়েছেন কান্দাহারে। সেখানেই একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন। জাতিগত পশতুন বরদার ১৯৭০ ও ’৮০-র দশকে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সেনাদের তাড়াতে ১০ বছর যুদ্ধ করেন। এরপর মোল্লাহ মোহাম্মদ ওমরের নেতৃত্বে ১৯৯৪ সালে যে কয়েকজন পশতুন মুজাহিদীন তালেবান প্রতিষ্ঠা করেন, মোল্লাহ বরদার ছিলেন তাদের অন্যতম। ছিলেন ওমরের ডান হাত। ওমরের বোনকে বিয়েও করেন বরদার। ১৯৯৬ সালে যখন তালেবান কাবুল দখল করে, তখন সেই সরকারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন বরদার। ২০০১ সালে মার্কিন হামলায় তালেবান ক্ষমতা হারানোর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী।
ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রশ্নে কতটা নমনীয় হবেন বরদার? আমেরিকার সঙ্গে চুক্তিতে নানা পক্ষের ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রতিশ্রæতি দিয়েছে তালেবানরা। এখন সেই প্রতিশ্রæতি রক্ষার চাপ তৈরি হয়েছে তাদের ওপর। ইউসুফজাই মনে করেন, কাবুলে যে সরকার হবে তা মূলত তালেবানের সরকারই হবে। এতে থাকবে তালেবান এবং তাদের কড়া সমর্থকরা। তালেবান সবসময় আনুগত্যকে পুরস্কৃত করে। যারা ২০ বছর ধরে তাদের হয়ে যুদ্ধ করেছে, কারাভোগ করেছে, তারাই প্রধান পদগুলো পাবেন। তবে তারা সবসময় একটি শর্তজুড়ে দেয় শরিয়া বিধির। তাদের কথা, যা কিছু হবে তা শরিয়া আইনের মধ্যে থেকে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়