বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স

আগের সংবাদ

তালেবান আতঙ্কে বিশৃঙ্খলা > আফগানদের দেশ ছাড়ার হিড়িক : উড়ন্ত বিমান থেকে খসে পড়ল তিনজন

পরের সংবাদ

ঝুঁকিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান : কুষ্টিয়া-হরিপুর সেতুরক্ষা বাঁধে ফের ধস

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নুর আলম দুলাল, কুষ্টিয়া থেকে : ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে মাত্র ৪ বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে নির্মিত ৫০৪ মিটার দৈর্ঘ্যরে শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতুর প্রতিরক্ষা বাঁধে ধসের ঘটনায় চরম ঝুঁকিতে পড়েছে সেতুসহ নিকটস্থ স্কুল, মাদ্রাসা, বসতভিটাসহ স্থানীয় জনপদ। গতকাল রবিবার ভোরে গড়াই নদীর বামতীরে সেতুটির ভাটিতে হঠাৎ করে ধসের ঘটনায় প্রায় ১০০ মিটার প্রতিরক্ষা বাঁধের ক্ষতি হয়। তবে এটি সমাধানে কোনো দপ্তরের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
বাস্তবায়নকারী সংস্থা এলজিইডি বলছে, নদী শাসনের কাজ তাদের নয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে উদ্যোগ নেয়ার জন্য ২০১৭ সালে সেতুটি উদ্বোধনের সময়ই পত্র পাঠিয়ে অনুরোধ করা হয়। অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আফছার উদ্দিন জানান, প্রকল্পের অথরিটি এলজিইডি। এর কোনো দায় পানি উন্নয়ন বোর্ড নেবে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, শুরু থেকেই ত্রæটিপূর্ণ নকশা এবং নির্মাণের কারণে সেতুর বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তা সমাধানে প্রয়োজনীয় কোনো উদ্যোগই নেয়নি সরকারের কোনো দপ্তর। অবিলম্বে তদন্ত করে প্রকৃত সমস্যার উদ্ঘাটন করে প্রয়োজনীয় সমাধানের জন্য সেতুসহ স্থানীয় জনপদকে ঝুঁকিমুক্ত করার দাবি এলাকাবাসীর।
এদিকে গড়াই নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনের শিকার দিনমজুর রহমত আলী, বৃদ্ধা রোমেজানসহ অনেকে অভিযোগে জানান, গত বছরও ব্রিজের পূর্ব পাশ সংস্কার বাবদ মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে এলজিইডি।
ভাঙন দেখতে পরিদর্শনে এসে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা বলেন, কুষ্টিয়া হরিপুরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন শেখ রাসেল সেতু। হঠাৎ সেতুর পূর্বপাশে ভাঙন দেখা দেয়ার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আসি। বিষয়টি এলজিইডি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। দ্রুত ভাঙনের হাত থেকে মানুষ, গাছ, গবাদিপশুকে যাতে রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার বিশ্বাস জানান, ভাঙনের খবর পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে তলব করেছি। বাঁধটি দেখার দায়িত্ব আসলে কার, সে বিষয়টি তদন্ত করে জেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এম. সম্পা মাহমুদ জানান, প্রতি বছর নদীতে পানি বৃদ্ধি হলে ভাঙন দেখা দেয়। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডিকে অবহিত করা হয়েছে। যে কোনো উপায়ে ভাঙন রোধে চেষ্টা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়