বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স

আগের সংবাদ

তালেবান আতঙ্কে বিশৃঙ্খলা > আফগানদের দেশ ছাড়ার হিড়িক : উড়ন্ত বিমান থেকে খসে পড়ল তিনজন

পরের সংবাদ

অসচ্ছল-বয়স্ক-বিধবা : কালাইয়ে সরকারি ভাতার আওতায় ১৩ হাজার মানুষ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : কালাইয়ে অসচ্ছল, বয়স্ক ও বিধবা শ্রেণির ১২ হাজার ৮২৪ জন সরকারি বিভিন্ন ভাতা পাচ্ছেন।
উপজেলা সমাজসেবা ও মহিলাবিষয়ক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সমাজের অসচ্ছল ও হতদরিদ্র মানুষের খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা দিতে সরকার বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসন কার্যক্রম, আবাসন প্রকল্প। তাছাড়া প্রতি মাসে বয়স্ক ও বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলা ভাতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, প্রতিবন্ধী ভাতা, প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি, হিজড়া, বয়স্ক, হিজড়া শিক্ষা উপবৃত্তি, বিশেষ ভাতা দলিত, হরিজন ও বেদে সম্প্রদায় ভুক্তদের বয়স্ক ও শিক্ষা উপবৃত্তি ভাতা চালু রয়েছে।
উপজেলার পুনট ইউপিতে বয়স্ক ৯১৫ জন, প্রতিবন্ধী ৪৫৯ জন, বিধবা ৪২৯ জন। আহম্মেদাবাদ ইউপিতে বয়স্ক ৭০৪ জন, প্রতিবন্ধী ৩৪৮ জন এবং বিধবা ৪২৮ জন। উদয়পুর ইউপিতে বয়স্ক ৮৪০ জন, প্রতিবন্ধী ৩৮৪ জন, বিধবা ৪৪২ জন। মাত্রাই ইউপিতে বয়স্ক ৯১৯ জন, প্রতিবন্ধী ৩৬৮ জন, বিধবা ৪২৮ জন। জিন্দারপুর ইউপিতে বয়স্ক ৯২০ জন, প্রতিবন্ধী ৩৮২ জন, বিধবা ৪৩১ জন এবং কালাই পৌরসভায় বয়স্ক ৫৯৮ জন, প্রতিবন্ধী ২৭৯ জন, বিধবা ৪৪২ জন ভাতাভোগী রয়েছেন।
বয়স্ক ও বিধবাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা হারে এবং প্রতিবন্ধীদের প্রতি মাসে ৭৫০ টাকা হারে ৩ মাস পর পর ব্যাংকের মাধ্যমে ভাতা দেয়া হয়। হরিজন ১৭ জন এবং মুক্তিযোদ্ধা ১২ জন প্রতি মাসে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা ব্যাংকের মাধ্যমে পান এবং হরিজনরা প্রত্যেকে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা হারে ৩ মাস বা ৬ মাস পর পর পান। তাছাড়া উপজেলায় ১ হাজার ৮৭৯ জন দুস্থ মহিলাকে ভিজিডি কার্ডের মাধ্যমে উপজেলার ৫টি ইউপিতে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। তারা একটানা ২ বছর এ সুবিধা পাবেন। উপজেলার ৫টি ইউপির ৭৫০ জন মহিলাকে মাতৃত্ব ভাতা ও পৌরসভার ৪৫০ জন মহিলাকে ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা ভাতা- উভয় ক্ষেত্রে প্রতি মাসে ৮০০ টাকা হারে দেয়া হচ্ছে। তারা একটানা ২ বছর এ সুবিধা পাবেন। উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামের প্রতিবন্ধীর যে সংখ্যা রয়েছে, তার মধ্যে ২ হাজার ২২০ জন প্রতিবন্ধী ভাতা পেলেও প্রতিবন্ধী ভাতার চাহিদা রয়েছে আরো অনেক।
উপজেলার জিন্দাপুর ইউপির হাজিপুর-ঘাটুরিয়া গ্রামের বয়স্ক ভাতাভোগী মোখলেছার রহমান, আতাহার গ্রামের মমতাজ আলী ফকির, ঘাটুরা গ্রামের তজিবর রহমান বলেন, আমরা কয়েক বছর ধরে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছি। এই টাকা দিয়ে ওষুধ কিনতে পারি। এতে আমাদের অনেক উপকার হয়। বিধবা ভাতাভোগী কুজাইল করিমপুর গ্রামের মুহিমা আকতার, বাদা উচ্চ গ্রামের জহুরা বেগম ও মর্জিনা বেগম এবং হজিপুর গ্রামের আলেয়া বেগমসহ অনেকেই জানান, অনেক দিন থেকে আমরা ভাতা পাচ্ছি।
সরকারের এ ধরনের কাজের জন্য এ বয়সে আমাদের অনেক উপকার হচ্ছে। উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মোসা. লায়লা নাসরীন জাহান ও সমাজসেবা অফিসারের চলতি দায়িত্বে থাকা প্রবেশন অফিসার মো. সদিকুর রহমান জানান, সরকারের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে আগামীতে সংখ্যা আরো বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে। এ মুহূর্তে প্রতিবন্ধী ভাতা বাড়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। নতুন বরাদ্দ এখনো আসেনি। এলে জানা যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়