গণপরিবহন চালু, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে শঙ্কা : লঞ্চ, বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি হটিয়ে খুলল সবই

পরের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে বিএনপি ও জিয়াউর রহমানের দায়

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রুমানা জামান : ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির কালো অধ্যায়ের আরেক নাম। ওইদিন সপরিবারে হত্যা করা হয় স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের শিকার বঙ্গবন্ধু হত্যায় সরাসরি জড়িত ছিল সেনাবাহিনীর বিপদগামী কিছু সদস্য। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতা নেন তারই মন্ত্রিসভার সদস্য খন্দকার মোশতাক আহমেদ। ওই মন্ত্রিসভায় যোগ দেন আওয়ামী লীগের অনেক বর্ষীয়ান নেতা। অন্যদিকে তৎকালীন সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ এবং উপসেনাপ্রধান মেজর জিয়াউর রহমান ছিলেন নির্বিকার। তবে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান সুবিধাভোগী মেজর জিয়াউর রহমান। এজন্য প্রশ্ন উঠেছে, বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়াউর রহমানের দায় নিয়ে। বিতর্ক দেখা দিয়েছে, জিয়া প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বিএনপির দায় নিয়েও। ঘাতকদের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার ৪৬তম বার্ষিকীতেও একই প্রশ্ন উঠেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং যুদ্ধপরবর্তী ইতিহাস বিশ্লেষণে সহজেই বলা যায়, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড একক কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর পক্ষে সম্ভব হয়নি। এর সঙ্গে জড়িত ছিল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি। অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি ছাড়াও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাসদের নেতারা জড়িত। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম শোক দিবসের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, জাসদই ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করেছিল।
বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার ১০ দিনের মাথায় সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পাওয়া জিয়াউর রহমান ওই হত্যাকাণ্ডে ‘পুরোপুরি’ জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আর সেজন্য জিয়ার ‘মরণোত্তর বিচারের’ দাবিও বিভিন্ন সময় তুলেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সেনাবাহিনীতে চলছিল অভ্যুত্থান, পাল্টা অভ্যুত্থানের পালা। জাতির পিতার খুনিদের রক্ষায় সে সময় ‘ইনডেমনটি’ অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন ‘স্বঘোষিত’ রাষ্ট্রপতি খোন্দকার মোশতাক আহমেদ।

ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রক্ষমতা পান তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান। তিনি ক্ষমতা নিয়ে সংবিধান সংশোধন করেন। কিন্তু খুনিদের বিচারের ব্যবস্থা করেননি। বরং তিনি হত্যাকারীদের নানা পদ দিয়ে পুরস্কৃত করেন।
পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। চারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি বিএনপি। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর ইতিহাসের কালো ওই অধ্যাদেশ বাতিল করা হয়। এতে জাতির পিতার খুনের বিচারের পথ খোলে। দীর্ঘ পথপরিক্রমায় খুনিদের বিচারও হয়েছে।
তবে বিএনপির আমলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় ‘রাজনৈতিক কারণে’ আপিল বিভাগে আটকে ছিল। বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির মধ্যেই লুকিয়ে ছিল স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। এজন্য আক্ষেপ করে বিএনপি সরকারের আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ লিখেছেন, শত চেষ্টা করেও তিনি আপিল বিভাগে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার শুনানি করাতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যার সঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ না থাকলেও তিনি যে বিষয়টি জানতেন এবং এর প্রতি তার প্রচ্ছন্ন সহানুভূতি ছিল সে ব্যাপারেও সন্দেহ প্রকাশের সুযোগ নেই।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ‘বীরউত্তম’ খেতাব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জিয়াও বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করতেন। তবে বর্তমান সময়ে এসে যখন কথা উঠেছে বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়াউর রহমান জড়িত, তখন বিএনপি কেন এর বিপক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করছে না। এ ঘটনায় যদি তাদের কোনো যোগসাজশ না থাকে, তাহলে কেন তারা ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের প্রকাশ্য নিন্দা করছে না? তখন তো বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়নি, তাহলে কেন তারা ক্ষমতায় থাকতে ১৫ আগস্টের হত্যাকারীদের রক্ষা করতে নানা রকম অপপ্রয়াস চালাল? এসব প্রশ্নের জবাব বিএনপি যতদিন না দিতে পারবে, ততদিন দলটি এ হত্যার দায় এড়াতে পারবে না।
২০১০ সালে বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে লেফট্যানেন্ট কর্নেল আমিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা না থাকলেও এ ঘটনায় তার নির্লিপ্ততা প্রমাণ করে, খুনিদের প্রতি তার প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছিল। তিনি জানান, ১৫ আগস্ট ভোর ৫টার দিকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মেজর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা তার বাড়ি ঘিরে ফেলে। আমিন আহমেদ চৌধুরী তখনো জানতেন না, শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। মেজর রশিদের নেতৃত্বে সৈন্যরা আমিন আহমেদ চৌধুরী এবং তৎকালীন কর্নেল শাফায়াত জামিলকে নিয়ে যায় মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের বাড়িতে। জেনারেল জিয়া তখন সেনাবাহিনীর উপপ্রধান। জিয়াউর রহমানের বাড়িতে ঢোকার সময় রেডিওর মাধ্যমে আমিন আহমেদ চৌধুরী জানতে পারেন যে, রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে।
আমিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, জেনারেল জিয়া একদিকে শেভ করছেন, একদিকে শেভ করেন নাই। স্লিপিং স্যুটে দৌড়ে আসলেন। শাফায়াতকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘শাফায়াত কী হয়েছে?’ শাফায়াত বললেন, রেডিওতে অ্যানাউন্সমেন্ট শুনতেছি, প্রেসিডেন্ট মারা গেছেন।’ তখন জেনারেল জিয়া বললেন, সো হোয়াট? লেট ভাইস প্রেসিডেন্ট টেক ওভার। ‘উই হ্যাভ নাথিং টু ডু উইথ পলিটিকস’।
তবে সাংবাদিক বিভভুরঞ্জন সরকার লিখেছেন, বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যার সঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ না থাকলেও তিনি যে বিষয়টি জানতেন, সে ব্যাপারেও সন্দেহ প্রকাশের সুযোগ নেই। তাছাড়া এটাও ঠিক যে, বঙ্গবন্ধু নিহত না হলে জিয়াউর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হওয়ার সামান্যতম সুযোগ-সম্ভাবনাও ঘটত না। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান বেনিফিশিয়ারি।
বিএনপির দাবি, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানকে জড়ানো হচ্ছে। এ বিষয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের ভাষ্য- কোথাও প্রমাণ করতে পারেনি, কেউ না। আজ পর্যন্ত কেউ এই কথা বলে নাই যে, জিয়াউর রহমান সম্পৃক্ত ছিলেন। জিয়াউর রহমান তো তখন ডেপুটি চিফ মার্শাল অ্যাডমিনিস্টারও ছিলেন না। তিনি সেনাবাহিনীর উপপ্রধান ছিলেন। আওয়ামী লীগের লোকজনই ওই ঘটনায় জড়িত ছিল বলে জোরালো দাবি করেন তিনি।
বিএনপির চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠ একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রমতে, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা অর্জনের জনমত গঠনে বঙ্গবন্ধুর অতুলনীয় রাজনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল খালেদা জিয়া। ১৯৯১ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি জিয়ারত করেছেন তিনি। এরপর ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও বঙ্গবন্ধুর সমাধি জিয়ারত করেন।
দলটির দপ্তরের দায়িত্বশীল নেতারা জানান, দুই দলের মধ্যে বিরাজমান সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য দূরত্ব তৈরি হয় ১৯৯৫ সালে। ওই বছর ১৫ আগস্ট প্রথমবারের মতো খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করা হয়। ওই জন্মদিন পালনের নেপথ্যে দৈনিক বাংলা পত্রিকায় কর্মরত কয়েকজন সাংবাদিকের ইন্ধন ছিল। পরবর্তী সময়ে গুলশানে কার্যালয় নেয়ার পর ১৫ আগস্ট প্রথম প্রহরে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করে আড়ম্বরপূর্ণভাবে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করা হয়। জন্মদিন পালনকে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তীব্র সমালোচনা করা হয়। এটাকে সহজভাবে নেয়নি নাগরিক সমাজও। এমনকি জাতীয়তাবাদী ঘরানার কয়েকজন বুদ্ধিজীবীও বিষয়টি বিএনপিপ্রধানকে জানিয়েছেন।
তবে ২০১৫ সাল থেকে ১৫ আগস্টের প্রথম প্রহরে আর কেক কাটেননি খালেদা জিয়া। ওই বছর সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসন নেতাকর্মীদের নিয়ে কেক কেটেছিলেন। গত পাঁচ বছরে তার দুটি জন্মদিন (২০১৮ ও ২০১৯) কেটেছে কারাগারে। ২০১৭ সালে খালেদা জিয়া ছিলেন লন্ডনে। গত বছর তার জন্মদিনে দোয়া মাহফিল করে বিএনপি।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিগত দিনে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। ঈদে ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে একে অন্যকে চিঠি দিয়েছেন, শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, নিজ দলের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এমনকি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যাতায়াত ছিল দুই নেত্রীর। ২০০৭ সালে ১৬ জুলাই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের পর ১৮ জুলাই তার মুক্তির দাবিতে বিবৃতি দেন খালেদা জিয়া।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিরোধ সৃষ্টির বড় কারণ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনাটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই বলেছেন, ওই হামলায় তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের হাত ছিল। জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের ওপর গ্রেনেড হামলা বাংলাদেশের সবচেয়ে নিন্দনীয় ঘটনা। কিন্তু সরকারপ্রধান এ নিয়ে যা বলছেন, তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
সূত্র জানায়, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকে নিন্দনীয় বলার পর ১৫ আগস্ট সম্পর্কেও সত্যের মুখোমুখি হতে চায় বিএনপি। এ নিয়ে অভ্যন্তরীণ বিরোধও দেখা দিয়েছে। দলটির একাংশ মনে করে, ১৫ আগস্ট বাঙালির সবচেয়ে বড় শোকের দিন। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। এই দিনটিকে দলমতনির্বিশেষে সবারই শোক দিবস হিসেবে পালন করা উচিত। সেই ধারায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েক জন ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করতে চায় এবং এ নিয়ে বিএনপির তরুণদের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব হয়েছে। বিশেষ করে বিএনপি নেতাদের মধ্যে হাবিবুর রহমান হাবিব, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ বেশ কয়েকজন নেতা মনে করেন, ১৫ আগস্টে ছোট করে হলেও শোক দিবস পালন করা উচিত এবং বিএনপির এ দায় থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াসহ বেশ কয়েক জন প্রবীণ নেতা ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনের বিরুদ্ধে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়