গণপরিবহন চালু, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে শঙ্কা : লঞ্চ, বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি হটিয়ে খুলল সবই

পরের সংবাদ

উপমন্ত্রী এনামুল হক : রাজবাড়ী রক্ষা বাঁধে অবহেলা থাকলেই বিভাগীয় ব্যবস্থা

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ী ভাঙনকবলিত শহর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, এই কাজে কারো অবেহলা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গত সোমবার বিকালে মন্ত্রী রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গোদারবাজার এলাকার শহর রক্ষা বাঁধের স্থায়ীভাবে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ধসে যাওয়া অংশ পরিদর্শন করেন।
উপমন্ত্রী বলেন, ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কংক্রিট দিয়ে সিসি ব্লক ভেঙে যাওয়া দুঃখজনক। অভিযোগ উঠেছে, এখানে নির্মাণকাজে ত্রæটি ও দুর্নীতি থাকতে পারে। এসব ব্যাপারে ঢাকায় গিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। নির্মাণকাজে যদি কোনো গাফিলতি কিংবা ত্রæটি থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা দায়ের করে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো প্রকল্পে দুর্নীতি করার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের কর্মীর মতো কাজ করতে বলেছেন। আমরা তার কথা মতো কাজ করে যাচ্ছি।
এ সময় সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সালমা চৌধুরী রুমা, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি খোদেজা নাসরিন আক্তার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. ফজলুর রশিদ, জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম, পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হেকিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আহাদ, পৌরসভার মেয়র আলমগীর শেখ তিতুসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজবাড়ী শহর রক্ষায় সাড়ে সাত কিলোমিটার পদ্মা নদীর তীর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হয়। পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন প্যাকেজে যার কাজ চলতি বছরের মে মাসে শেষ হয়। কাজ শেষ হওয়ার পরপরই জুলাই মাস থেকে কয়েক দফা ভাঙনে ৩০০ মিটারের বেশি এলাকার সিসি ব্লক নদীতে বিলীন হয়। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি ও নানা স্থাপনা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়