গণপরিবহন চালু, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে শঙ্কা : লঞ্চ, বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি হটিয়ে খুলল সবই

পরের সংবাদ

আদালতে চিৎকার করে কাঁদলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি : ‘আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে’

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ‘আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। আর মিডিয়া তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। সাংবাদিক ভাইয়েরা তদন্ত করে দেখুন’। গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে রিমান্ড মঞ্জুরের পর বের হওয়ার সময় চিৎকার করে কান্না করতে করতে কথাগুলো বলেন আলোচিত সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। শুনানি চলাকালেও কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদেন তিনি। এ সময় বারবার তার আইনজীবীর দিকে তাকিয়ে শুনানি শুনছিলেন আর ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছিলেন। নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও, রাজধানীর বনানী থানায় দায়েরকৃত মাদক মামলায় পরীমনিকে আবারো ২ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। পরে তাকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান কার্যালয়ে নেয়া হয়।
৪ দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিএমএম আদালতে হাজির করে দ্বিতীয় দফায় ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস পরীমনিকে দুইদিনের রিমান্ডে নেয়ার নির্দেশ দেন। পরীমনির সঙ্গে গ্রেপ্তার তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকেও দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, হালের শীর্ষ চিত্রনায়িকা

পরীমনি পরিস্থিতির শিকার বলে দাবি করেছেন তার নানা শামসুল হক গাজী। বনানীর বাসায় পরীমনির সঙ্গেই থাকতেন শামসুল হক। গতকাল দুপুরে আদালত প্রাঙ্গণে পরীমনিকে দেখতে এসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, পরীমনি নিজের জন্য জীবনে কিছুই করেনি। সব মানুষের জন্য সে দান করেছে। আর এখন পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। পরীমনির মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, নিজে একটা ফ্ল্যাট করে নাই, কিছু করে নাই। এফডিসিতে প্রত্যেক বছরে গরিবদের জন্য গরু কুরবানি দেয়। আল্লাহ পাক যদি ওরে মাফ করে আর কি।
এদিকে, পরীমনির শুনানি উপলক্ষে আদালতের বাইরে ও ভেতরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে সিআইডি কার্যালয় থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে আদালতে আনা হয় পরীমনিকে। প্রথমে তাকে গারদখানায় নেয়া হয়। এরপর দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে গারদখানা থেকে তাকে শুনানির জন্য ৭ম তলার ১৫ নম্বর আদালতে নেয়া হয়। পরীমনি আদালতে প্রবেশের কিছুক্ষণ পরেই আদালতের কলাপসিবল গেটে আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মী ও দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। দুপুর ২টার পর শুনানি শুরু হয়। এ সময় পরীমনির সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না পেয়ে ৭ম তলায় ১৭ নম্বর আদালতের বাইরে একটি বেঞ্চে বসে থাকতে দেখা যায় পরীমনির নানাকে।
শুনানি শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী মজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আসামি পরীমনির বিরুদ্ধে শুধু মাদক রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে তাকে চার দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তারপরও আবার তাকে রিমান্ডে নেয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। কারণ এই মাদক মামলার সুযোগে অন্য কোনো স্বার্থ হাসিল হতে পারে না। পরীমনি এক দিনের চিত্রনায়িকা না। তার দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ার নষ্ট করা হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক। আদালতকে বলেছি, পরীমনির যেন ভারতের চন্দ্রাবতির মতো মেধা নষ্ট না হয়। তার প্রতি যেন ন্যায় বিচার করা হয়।
শুনানিতে তিনি বলেন, পরীমনি যে পোশাকে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন, ১২২ ঘণ্টা তাকে একই কাপড়ে রাখা হয়েছে। হতে পারেন তিনি অভিযুক্ত। তার তো একটা লাইফস্টাইল আছে। তার প্রতি আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে। এসময় তার আইনজীবী আদালতের কাছে কিছুটা সময় আবেদন করেন। কারণ পরীমনির সঙ্গে আইনজীবীদের কোনো কথা হয়নি।
মজিবুর রহমান বলেন, তিনি (পরীমনি) অসুস্থ, মেয়ে মানুষ। তাকে এই আইনে কেন রিমান্ডে নেবেন? যারা মাদক সেবন করেন তাদের শাস্তি দেয়ার জন্য এ আইন না। তিনি যদি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হন। তবে রিমান্ডের ব্যাপার আসত। পরে তিনি আদালতের কাছে পরীমনির জামিনের আবেদন করেন।
শুনানিতে অংশ নিয়ে পোশাকের বিষয়ে পরীমনির আইনজীবীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু বলেন, মামলার আসামি পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য ২ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকা। এই মাদক কোথা থেকে এলো? তার উৎস কী? সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে আবারো রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পরীমণির দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তাকে আদালত থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, গতকাল বিকাল ৪টায় রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, চিত্রনায়িকা পরীমনি, পিয়াসা ও মৌয়ের মামলার বিষয়ে আমরা বেশ কয়েকজনকে ডেকেছি, আরো বিভিন্নজনকে ডাকব। তবে মিডিয়াতে আগেই তাদের নাম নিশ্চিত না হয়ে প্রচার করা উচিত না। যাদের ডাকব না, আপনারা মনে করবেন এসব মামলার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, আমরা অভিযুক্ত সবার বাসায় অভিযান চালিয়েছি। আমরা ৩টা জিপ, একটা বিএমডব্লিউ, একটা মাজদা এবং একটা ফেরারি গাড়ি জব্দ করেছি। মোবাইল জব্দ করেছি। আমরা চেষ্টা করব নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সব মামলার তদন্ত শেষ করতে। তবে অনলাইন, পত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়াতে এসবের সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম এসেছে। এ রকম খণ্ডচিত্র এলে অনেকের সম্মানহানি হয়। আমরা তদন্ত করছি, আমাদের সময় দেন, আমরাই তদন্ত শেষে সব জানিয়ে দেব।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি রাজধানীর বেশ কিছু জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সেখান থেকে বেশ কিছু মালামাল জব্দসহ কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত মোট ১৫টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে ৮টি মামলা। এসব মামলায় মোট ১০ জন আসামি রয়েছেন। যার মধ্যে ৮ জন এখন আমাদের কাছে রয়েছে। দুইজন অন্য মামলায় রিমান্ডে আছেন। তাদের রিমান্ড শেষে আমাদের কাছে নিয়ে আসব।
সিআইডি প্রধান বলেন, আমরা জব্দ হওয়া ডিভাইসগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষা শুরু করেছি। যেসব লিকার (মদ) পাওয়া গেছে সেগুলোর রাসায়নিক পরীক্ষা চলছে। আমরা আশা করছি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে ফেলতে পারব।
মাদক সংক্রান্ত অভিযোগ ছাড়া পরীমনিসহ বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো অভিযোগ আছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে সিআইডিপ্রধান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমরা বুঝতে পারব মামলা কোন দিকে যাবে। তবে, আসামিদের সম্পত্তির বিষয়েও নানা রকম তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। জব্দকৃত ৬টি গাড়ির বিষয়েও খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি অভিযোগ করছেন স¤প্রতি ঘটে যাওয়া অভিযান কেন্দ্র করে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে, তাই তারা এ বিষয়ে পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের কাছে অভিযোগ করেছেন। এতে করে মামলার তদন্ত বাধাগ্রস্ত হবে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি কেউ মনে করে তাদের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে, তাহলে তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজন পড়লে কারো কারো বিদেশযাত্রার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত আমরা নিতে পারি। অফিসিয়ালি কারো বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। তবে কয়েকজনকে এ বিষয়ে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
এদিকে, পরীমনি ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক এডিসি গোলাম সাকলায়েনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, সাকলায়েন আইনগতভাবে কোনো অপরাধ করেননি। তিনি যদি তা করতেন, তবে তার বিরুদ্ধে মামলা হতো। তিনি সরকারি চাকরিবিধির শৃঙ্খলা ভেঙেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল নিজ কার্যালয়ে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের আরো বলেন, পরীমনির ওই মামলা বা অন্য মামলার তদারকির দায়িত্বে তিনি ছিলেন না। মামলা হয়েছিল ঢাকা জেলায়। এখানে ডিবির কোনো অফিসার তদারকিতে থাকার কথা নয়।
তিনি বলেন, নায়িকা পরীমনি ইস্যুতে ভিআইপিদের কোনো তালিকা হচ্ছে না। কাউকে আটক করারও কোনো অভিযান নেই। অনেক সম্মানিত ব্যক্তিদের ফোন দিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। তাদের কাছে চাঁদাও দাবি করা হচ্ছে। অনেকেই ভীত হয়ে পড়েছেন। সব বিষয়েই পুলিশ পদক্ষেপ নিতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অন্যদিকে, চিত্রনায়িকা পরীমনির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি আবেদন জানিয়েছেন প্রখ্যাত লেখক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী। গত সোমবার আবেদনটি তিনি গণমাধ্যমে পাঠান। আবেদনে হায়েনাদের কাছ থেকে পরীমনিকে বাঁচানোর আহ্বান জানিয়ে লণ্ডনপ্রবাসী প্রবীণ এই সাংবাদিক লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এটি তার একার আবেদন নয়। দেশে প্রশাসন, একটি বিত্তশালী গোষ্ঠী এবং মিডিয়া গোষ্ঠী মিলে ২৮ বছরের এক তরুণীকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার যে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে সে সম্পর্কে সচেতন নাগরিক সমাজের আবেদন।
পরীমনি ইস্যুতে সিটি ব্যাংকের জিডি : পরীমনি ইস্যুতে গণমাধ্যমে সিটি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাশরুর আরেফিনের নাম আসায় ক্ষতির আশঙ্কায় গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। কয়েকটি গণমাধ্যমে এসেছে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে সাড়ে ৩ কোটি টাকার বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দেন মাশরুর আরেফিন। এক ফেসবুক পোস্টে ‘পরীমনিকে কখনো দেখেননি’ বলে জানিয়েছেন মাশরুর আরেফিন। এরপর গতকাল জিডি করার খবর পাওয়া যায়।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, গত সোমবার করা জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য প্রচারের মাধ্যমে একটি চক্র সিটি ব্যাংক থেকে চাঁদাবাজির পাঁয়তারা করছে। এছাড়াও বর্তমানে এসব নিউজের কারণে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, মানসিক উদ্বিগ্নতায় ভুগছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মডেল মৌ ও প্রযোজক রাজ ফের রিমান্ডে : প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ ও মডেল মৌকে ফের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। চারদিনের রিমান্ড শেষে গতকাল মোহাম্মদপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় মডেল মরিয়ম আক্তার মৌয়ের আবারো দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান নোমান। আর মাদক ও পর্নোগ্রাফি মামলায় প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ ও সহযোগী সবুজ আলিকে ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর মধ্যে মাদক মামলায় দুইদিন, আর পর্নোগ্রাফি মামলায় চার দিন।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বিকালে ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা পরীমনির বনানীর বাসা চারদিক ঘিরে ফেলে প্রায় চার ঘণ্টা ভেতরে তল্লাশি শেষে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার বাসা থেকে বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিপুল পরিমাণ মদ, এলএসডি উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যে একই রাতে বনানীর ৭ নম্বর রোডে পরীমনির বন্ধু রাজের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব। এ সময় তার বাসা থেকেও বিদেশি মদ উদ্ধার হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়