পরীমনরি ঘনষ্ঠি কে এই কবীর

আগের সংবাদ

তালিকায় হাইপ্রোফাইলদের নাম

পরের সংবাদ

রিমান্ডে তথ্য দিচ্ছেন পরীমনি রাজ, পিয়াসা, মৌ ও হেলেনা

প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিতর্কিত চিত্রনায়িকা পরীমনি, প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ, দুই মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হেফাজতে রয়েছেন। রিমান্ডে তাদের পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা মামলার তদন্তে সহায়ক তথ্য দিচ্ছেন। ডিবি হেফাজতে রিমান্ডে

আছেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীর। ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা পৃথক সাতটি মামলা শুক্রবার রাতে সিআইডিকে বুঝিয়ে দেয়ার পর তাদের হস্তান্তর করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান বলেছেন, শুক্রবার রাতেই আসামি ও মামলার নথিপত্র সিআইডি বুঝে পেয়েছে। রিমান্ডে থাকা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে অভিযান চলছে।
এ প্রসঙ্গে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক গতকাল শনিবার বলেছেন, পরীমনিসহ মডেল মৌ, পিয়াসা ও রাজের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্তভার ও মামলার ডকেট বুঝে পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরীমনিসহ আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। তিনি বলেন, পরীমনি, মডেল মৌ, পিয়াসা নজরুল ইসলাম রাজ বর্তমানে সিআইডির হেফাজতে রয়েছে। তবে হেলেনা জাহাঙ্গীর ও মিশু হাসান বর্তমানে আমাদের হেফাজতে নেই। তারা অন্য মামলার তদন্তে ডিএমপির কাছে রয়েছে। এই সিআইডি কর্মকর্তা আরো বলেন, সবেমাত্র আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তাই এই মুহূর্তে আমাদের সব বলা মুশকিল। কারণ সিআইডিতে যে কোনো তদন্তই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে করা হয়। আমাদের ফরেনসিক ল্যাব, কেমিক্যাল ল্যাব, ডিএনএ ল্যাব ও আইটি ফরেনসিক ল্যাব রয়েছে। আমরা মামলার তদন্ত সুষ্ঠুভাবে করতে চাই। এজন্য তদন্ত কার্যক্রমে আমাদের সময় লাগবে। পরীমনির এমন অপকর্মে প্রভাবশালীরা অনেকেই জড়িত রয়েছে তাদের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, যদি প্রভাবশালী কেউ জড়িত থাকে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
এদিকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ করিম জিমিকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উর রহমানের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় জিমিকে। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুক্রবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) বনানী থেকে জিমিকে আটক করে। এরপর বনানী থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
বনানী থানার ওসি নূরে আজম মিয়া বলেন, পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ করিম জিমির বিরুদ্ধেও মাদক আইনে মামলা হয়েছে। জিমি ডিবি হেফাজতে রয়েছেন।
এদিকে, সিআইডি ঢাকা মেট্রো (পশ্চিম) জোনের একটি টিম গতকাল সন্ধ্যার পর হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশানের বাসায় অভিযান চালায়। সেখানে তদন্ত সহায়ক সরঞ্জাম পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। অন্য একটি মামলায় তিনি ডিবি হেফাজতে আছেন।
প্রসঙ্গত, ৪ আগস্ট বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরীমনির বাসা থেকে মদ ও মাদক উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র?্যাব। একই দিন রাতে প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে আটক করা হয়। পরে বনানী থানায় পরীমনি ও নজরুল রাজের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা করে র?্যাব। পৃথক মামলায় তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রায় একই রকম অভিযোগসহ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্মানহানি করার অভিযোগে গত ২৯ জুলাই হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে হেলেনার বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হয়। রাজধানীর বারিধারা এলাকা থেকে মাদকদ্রব্যসহ ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসা এবং মোহাম্মদপুর থেকে ইয়াবাসহ মরিয়ম আক্তার মৌকে গত রবিববার মধ্যরাতে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা করে ডিবি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়