পরীমনরি ঘনষ্ঠি কে এই কবীর

আগের সংবাদ

তালিকায় হাইপ্রোফাইলদের নাম

পরের সংবাদ

বাংলাওয়াশ এড়াল অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন উইকেটের জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এর মাধ্যমে বাংলাওয়াশ এড়াতে সক্ষম হয়েছে অজিরা। ৫ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ এখন ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে। গতকাল টাইগারদের হারানোর মাধ্যমে সিরিজে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে ম্যাথু ওয়েডবাহিনী। তবে এ ম্যাচটিতেও অজিদের ঘাম ছুটিয়েছে টাইগাররা। ম্যাচটিতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে অস্ট্রেলিয়া ১৯ ওভার খেলে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩ উইকেটে জয় তুলে নিতে সক্ষম হয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গতকাল হারের মাধ্যমে ২০১৯ সাল ও সাত ম্যাচ পর ঘরের মাটিতে টি-টোয়েন্টিতে হারের স্বাদ পেয়েছে টাইগাররা। আগামীকাল সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুদল।
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম তিন ম্যাচে হেরে সিরিজ হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ফলে যা হারানোর তা ইতোমধ্যেই হারিয়ে ফেলেছে তারা। সিরিজ হারলেও টাইগারদের বিপক্ষে একটি সান্ত¡নার জয়ের অপেক্ষায় ছিল অজিরা। অবশেষে গতকাল সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে পেয়েছে সে সান্ত¡নার জয়। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৩ রানে, দ্বিতীয় ম্যাচে পাঁচ উইকেটে ও তৃতীয় ম্যাচে ১০ রানে জয় পায় টাইগাররা। এর মাধ্যমে ক্যাঙ্গারুদের বিপক্ষে প্রথম কোনো সিরিজে জয় তুলে নেয় মাহমুদউল্লাহ বাহিনী।
ম্যাচটিতে বাংলাদেশের হয়ে ৩৬ বল খেলে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন নাঈম শেখ। ১৬ বলে দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন শেখ মাহাদি। অজিদের হয়ে ১২ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট তুলে নেন

মিচেল সুইপসন। বাংলাদেশকে অল্প রানে বেঁধে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন তিনি। ফলে তার হাতেই যায় ম্যাচসেরার পুরস্কার। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন ড্যান ক্রিস্টিয়ান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন অ্যাস্টন অ্যাগার। টাইগারদের হয়ে দুটি করে উইকেট পান মোস্তাফিজুর রহমান ও মাহাদী হাসান।
মিরপুরের স্পিনসহায়ক পিচে সিরিজের আগের তিন ম্যাচে রান পাওয়া যায়নি। গতকালও একই অবস্থা ছিল পিচের। কিন্তু সিরিজের আগের ম্যাচগুলোর মতো বাংলাদেশ লড়াই করার মতো পুঁজি পায়নি। টাইগার ব্যাটসম্যানরা বলতে গেলে ছিলেন নিষ্প্রাণ। তবুও এই অল্প রানের পুঁজিতেই অজিদের কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন টাইগার বোলাররা। তবে আগের তিন ম্যাচের অন্যতম নায়ক সাকিব আল হাসান ছিলেন খরুচে। তিনি চার ওভার বল করে ৫০ রান দিয়েছেন। এর মধ্যে তার একটি ওভারেই ড্যান ক্রিস্টিয়ান পাঁচটি ছক্কা হাঁকান। এই ওভারটিই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
ইনিংসে সাকিবের করা চতুর্থ ওভারে বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের পথে এগিয়ে দেন ড্যান ক্রিশ্চিয়ান। প্রথম চার ওভারে ১৯ রান করা অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ পাঁচ ওভার শেষে দাঁড়ায় ৪৯। তখন জয়ের জন্য অজিদের দরকার ছিল ৯০ বলে মাত্র ৫৬ রান। অবশ্য এর পরের ওভারে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ এসে আক্রমণাত্মক ক্রিশ্চিয়ানকে সাজঘরে ফেরান। শামীমের হাতে তালুবন্দি হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে এক চার ও পাঁচ ছয়ের সাহায্যে ১৫ বলে ৩৯ রানের ঝড় ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে বাংলার টাইগাররা। দলীয় অষ্টম ওভারে মিচেল মার্শের ব্যাটে হিট করা বলকে আলতো করে ছুঁয়ে নন-স্ট্রাইকে থাকা ময়সেস হেনরিকসকে রান আউটের ফাঁদে পেলেন বোলিংয়ে থাকা সাকিব। এরপর মোস্তাফিজ দশম ওভারে এসে তৃতীয় বলেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে পেলে অজি ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারিকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান। একাদশ ওভারে শেখ মাহাদি শেখ ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করা অজি ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শকে বোল্ড করলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে টাইগাররা। এদিন মিচেল মার্শ খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। ১৫ বল খেলে ১১ রান করে প্যাভিলিয়নের দিকে পা বাড়ান। এরপর অ্যাস্টন অ্যাগার ও অ্যাস্টন টুনার মিলে অজিদের জয়ের ভিত গড়ে দেন।
টাইগার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে নাঈম শেখ ৩৬ বলে ২৮, আফিফ হোসেন ১৭ বলে ২০ এবং সাকিব আল হাসান ২৬ বলে ১৫ রান করেন। অন্য ব্যাটসম্যানরা অজিদের বিপক্ষে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং উইকেট রক্ষক নুরুল হাসান সোহান রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়