পরীমনরি ঘনষ্ঠি কে এই কবীর

আগের সংবাদ

তালিকায় হাইপ্রোফাইলদের নাম

পরের সংবাদ

নাগার খাল পুনঃখনন : মেহেরপুরে ২০ হাজার কৃষকের স্বপ্ন পূরণ

প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মর্তুজা ফারুক রুপক, মেহেরপুর থেকে : মেহেরপুরের মুজিবনগরের নাগার খাল পুনঃখননের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ হলো এ এলাকার চাষিদের। যে মাঠের প্রায় ১৩শ হেক্টর জমিতে জলাবদ্ধতার কারণে বছরে মাত্র একবার ফসল উৎপাদন হতো; সেই মাঠে এখন বারো মাসই উৎপাদন হবে ফসল। সেই সঙ্গে লাভবান হবে এলাকার প্রায় ২০ হাজার কৃষক। মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নাগার মাঠের পানি নিষ্কাশনের জন্য বড়নাগা থেকে ভৈরব নদ পর্যন্ত ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪ কিলোমিটার খালের পুনঃখননের কাজ উদ্বোধন করা হয় চলতি বছরের ৩ এপ্রিল। ইতোমধ্যে খালটির পুনঃখননের কাজ শেষ হয়েছে। ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমেও এই মাঠের ১ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমিতে ৫ হাজার ৭০০ টন অতিরিক্ত ধান উৎপন্ন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ থেকে জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার রাধাকান্তপুর, মুজিবনগর উপজেলার বিদ্যাধরপুর, দারিয়াপুর, পুরন্দরপুর, গৌরিনগর, গোপালনগর ও নাজিরাকোনা গ্রামের প্রায় ২০ হাজার কৃষক এই মাঠে চাষাবাদ করে। বড় নাগার মাঠ থেকে গৌরিনগর গ্রামের ভেতর দিয়ে ভৈরব নদীতে পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি খাল থাকলেও কালের পরিক্রমায় সেটি ভরাট ও দখল হয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় মাঠের পানি নিষ্কাশন। প্রায় ১ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে শুষ্ক মৌসুমে বছরে একবার ফসল উৎপাদন করা যেত এই মাঠে। বছরের বেশিরভাগ সময় এ এলাকার জমি থাকত পানির নিচে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নাগার বিল থেকে গৌরিনগর গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রায় ৪ কিলোমিটার পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা করার জন্য খালটি পুনঃখনন করে। ফলে বর্ষা মৌসুমের অতিরিক্ত পানি নাগার খাল দিয়ে ভৈরব নদে প্রবেশ করতে পারবে।
নাগা মাঠের চাষি উপজেলার গৌরিনগর গ্রামের ইমদাদুল হক বলেন, নাগার মাঠে আমার ৭ বিঘা জমি আছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছি। বোরো মৌসুমে এ মাঠে ধান ভালো হলেও আমন মৌসুমে ধানের জমি পানির নিচে তলিয়ে যায়। তবে খালটি পুনঃখনন করায় এবার নিশ্চিন্তে আবাদ করতে পারব। নাগার মাঠের আরেক চাষি উপজেলার গোপাল নগর গ্রামের আব্দুর রশিদ যিনি নিজের ৫ বিঘাসহ আরো ৪ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে চাষ করে। তিনি বলেন, এক ফসলি জমি হওয়ায় এ মাঠের জমির দামও কম। নাগার খাল পুনঃখনন হওয়ায় এ মাঠের জমির দাম যেমন রাতারাতি বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি নিশ্চিন্তে বারো মাসই ফসল ফলাতে পারব।
মুজিবনগর উপজেলা কৃষি অফিসার আনিছুজ্জামান খান জানান, উপজেলার নাজিরাকোনা গ্রাম থেকে বিদ্যাধরপুর পর্যন্ত ১ হাজার ২৮৫ হেক্টর আবাদি জমি আছে। নাগা মাঠে এই জমি প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পানির তলে ডুবে যাওয়ার কারণে ফসল খুব বেশি হয় না। নাগার মাঠের পানি নিষ্কাশনের খাল পুনঃখননের ফলে এখন প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে নাগা মাঠে আরো প্রায় অতিরিক্ত ৫ হাজার ৭০০ টন ধান উৎপন্ন হবে বলে আশা করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়