জন্মদিন : প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যচিন্তা

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর চোখে বঙ্গমাতা

পরের সংবাদ

রাতে মহাসড়কে চলে যাত্রীবাহী বাস

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর রাস্তাগুলো একেবারেই ফাঁকা। কোথাও মানুষ এবং যানবাহনের চাপ নেই। রাজধানীর ৪টি প্রবেশপথের কোথাও সকাল থেকে ভিড় নেই। গতকাল শুক্রবার সরকারি ছুটি হওয়ায় লোকজন রাস্তায় বের হয়নি। তবে রাজধানীর বাজারগুলোতে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। রাতের বেলায় বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই মহাসড়কে চলছে যাত্রীবাহী বাস। এ ধরনের ৪০টির বেশি বাস পুলিশ আটক করেছে। এদিকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে শুক্রবার সকাল থেকে আবার যানবাহনের ভিড় বেড়েছে। ৫ শতাধিক বিভিন্ন ধরনের যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, কঠোর বিধিনিষেধ চলমান থাকলেও মহাসড়কে যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করছে। টঙ্গি, গাজীপুর চৌরাস্তা, সাভারের আশুলিয়া, চন্দ্রা ও বাইপাইল এলাকা থেকে উত্তরাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার বাস চলাচল করছে। রাতের বেলায় মহাসড়কে পুলিশের উপস্থিতি না থাকার সুযোগে অনেক বাস কোম্পানি যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। বাসগুলো কাউন্টার থেকে একটু দূরে নিয়ে রাখা হয়। রাত ৮টার পর থেকে বাসের লোকজন তাদের কাউন্টারের আশপাশে সাধারণ পথচারীর মতো ঘোরাফেরা করে। যাত্রী দেখলেই দরদাম করার পর ভাড়া মিটিয়ে বাসের কাছে নিয়ে যায়। সুযোগ পেয়ে বাসের লোকজন যাত্রীদের কাছ থেকে চড়া ভাড়া আদায় করছে। প্রয়োজন থাকায় লোকজন বেশি ভাড়া দিয়েই যাতায়াত করছে। বাসগুলো সব আসন পূর্ণ করেই দূরপাল্লার গন্তব্যের দিকে রওনা হয়। গাজীপুর

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ গাজীপুরের ওপর দিয়ে যাওয়া বিভিন্ন মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে ৪০টির বেশি যাত্রীবাহী বাস আটক করেছে। এসব বাসের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে পুলিশ জানায়।
এদিকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরিঘাটে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে আবারো ঢাকামুখী যানবাহন এবং মানুষের ভিড় বেড়েছে। শিমুলিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, জরুরি পরিবহন পারাপারের জন্য এই ঘাটে ১৭টি ফেরির মধ্যে প্রতিদিন ৬টি ফেরি চলাচল করত। যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় এখন ১০টি ফেরি চলাচল করছে। গত ৪ দিন ঘাটে মানুষ এবং যানবাহনের চাপ ছিল না বললেই চলে। তবে গত বৃহস্পতিবার থেকে এই ফেরিঘাটে যানবাহনের মানুষের চাপ বেড়ে যায়। এরপর শুক্রবার সকাল থেকে আবারো গাড়ির চাপ বাড়ে এবং বিকাল পর্যন্ত শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরিঘাটে ২ শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি ও ৩ শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন উভয় ঘাটে আটকা পড়ে। তবে ঢাকামুখী যাত্রী ও গাড়ির চাপ বেশি রয়েছে। পাটুরিয়া ফেরিঘাটের যানবাহনের এবং মানুষের চাপ বেড়েছে। বাংলাবাজরে আটকে থাকা অনেক যানবাহন দৌলতদিয়া ঘাটের দিকে যায়।
এদিকে গতকাল শুক্রবার ঢাকার চিত্র আবার পাল্টে গেছে। ছুটির দিন হওয়ায় রাস্তায় মানুষের চলাচল কম, কোথাও ভিড় ছিল না। অফিসগামী মানুষের ছোটাছুটি ছিল না। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, জিগাতলা, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, শাহবাগ, সোনারগাঁও হোটেল মোড়, রামপুরা, মালিবাগ, মৌচাক, মগবাজার এলাকার রাস্তাগুলো বেশ ফাঁকা ছিল। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর সড়কগুলোতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হলেও গতকাল শুক্রবার ফাঁকা ছিল। গাবতলীর চেকপোস্টে পুলিশ তৎপর ছিল। ব্রিজ পার হয়ে সকাল থেকেই পায়ে হেঁটে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকায় ফিরে আসে। যানবাহনের চাপ কম থাকলেও পুলিশ যানবাহন থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য আসাদুর রহমান জানান, এখনো ঢাকামুখী মানুষের চাপ আবার বেড়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অনেক যাত্রী গাবতলী দিয়েই ঢাকায় ঢুকে। সব যানবাহন থামিয়ে প্রবেশের কারণ জানতে চাওয়া হয়। সুনির্দিষ্ট কারণ দেখাতে না পারলে জরিমানাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, যাত্রাবাড়ী এলাকা দিয়েও ঢাকায় ফেরা মানুষের চাপ কিছুটা বেড়েছে। পুলিশের চেকপোস্ট থাকলেও যানবাহন ঢাকায় ঢুকছে। নগরীর উত্তরার আব্দুল্লাহপুর এলাকায় মানুষের চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও সেখানেও ভিড় ছিল না। বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন টঙ্গিতে পৌঁছে এরপর পায়ে হেঁটে ব্রিজ পাড় হয়ে ঢাকায় ঢুকে।
রাজধানীর ভেতরে মানিকমিয়া এভিনিউতে পুলিশের তৎপরতা ছিল না। হাতিরঝিল, তেজগাঁও এবং রামপুরা চেকপোস্টে পুলিশ থাকলেও সব গাড়ি কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই চলে যায়। বিমানবন্দর সড়ক এবং বনানী এলাকার সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ না থাকায় একেবারেই ফাঁকা ছিল। ছুটির দিনে রাজধানীর সব এলাকার বাজারগুলোতে মানুষের বেশ ভিড় দেখা যায়। সকাল থেকেই কাঁচাবাজার, মাছবাজার, মুরগির আড়তগুলোতে ভিড় ছিল। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, সাদেক খান কৃষি মার্কেট, যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার এলাকার পাইকারি দোকানগুলোতে ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়