জন্মদিন : প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যচিন্তা

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর চোখে বঙ্গমাতা

পরের সংবাদ

ইউনিয়ন পর্যায়ে গণটিকা শুরু আজ

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ইউনিয়ন পর্যায়ে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আজ শনিবার। আজ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশের ১৫ হাজারের বেশি টিকাদান কেন্দ্রে প্রায় ৩২ লাখ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হবে। কর্মসূচিতে তিন শ্রেণির জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তারা হলেন- ২৫ বছর বা তদুর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়স্ক জনগোষ্ঠী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠী।
গতকাল শুক্রবার করোনা ভাইরাসের টিকা কার্যক্রম নিয়ে মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স এন্ড সার্জনসের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, এমআইএস পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান, ইপিআই কর্মসূচির ব্যবস্থাপক ডা. মওলা বক্স চৌধুরী প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ৭ আগস্ট থেকে সাত দিনে প্রায় এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বলা হয়, চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ায় এই পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা কার্যক্রমকে একটি পাইলট প্রকল্প উল্লেখ করে অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে একদিনে কত পরিমাণে টিকা দিতে আমরা সক্ষম সেটি দেখতে চাই।
ছয় দিনব্যাপী কার্যক্রমের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানে জানানো হয়- ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন এলাকায় ছয় দিনের বিশেষ ‘ক্যাম্পেইনের’ টিকাদান আলাদাভাবে পরিচালিত হবে। ৭ আগস্ট দেশের সব ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। ৮ ও ৯ আগস্ট ইউনিয়নের যেসব ওয়ার্ডে ৭ তারিখ নিয়মিত টিকাদান চালু ছিল, সেসব ওয়ার্ডে এবং পৌরসভার বাদ পড়া ওয়ার্ডে টিকা দেয়া হবে। ৭ থেকে ৯ আগস্ট সিটি করপোরেশন এলাকায় টিকাদান চলবে। ৮ ও ৯ আগস্ট দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় টিকাদান হবে। ১০ থেকে ১২ আগস্ট ৫৫ বছরের বেশি বয়সি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মাঝে টিকাদান কার্যক্রম চলবে।
সারাদেশে চার হাজার ৬০০টি ইউনিয়ন, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভা, সিটি করপোশেন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে চলবে এই বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি। ১৫ হাজারের বেশি টিকাদান কেন্দ্রে ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকারী এবং ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবী এই কর্মসূচিতে যুক্ত থাকবেন।
আগে আঠারোর্ধ্বর টিকা নিতে পারবে বলা হলেও গতকাল মহাপরিচালক বলেন, ১৮ বছর বয়সিদের অনেকের ভোটার আইডি কার্ড নেই। এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। তাই টিকাদানের বয়স ১৮ না করে ২৫ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ওই বয়সসীমার ওপরে যারা আগেই সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন, তাদের নিবন্ধনের সময় উল্লেখ করা কেন্দ্রে গিয়েই এসএমএস পাবার ভিত্তিতে টিকা নিতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়