ডিএনসিসি মেয়র আতিক : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন করতে পারছি না

আগের সংবাদ

বেহাল রেলের মেগা প্রকল্প : খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের কাজ কবে শেষ হবে কেউ জানে না

পরের সংবাদ

বিধিনিষেধের প্রভাব কম রাজধানীর জনজীবনে : গণপরিবহন ছাড়া সড়কে সবই চলছে

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢিলেঢালা বিধিনিষেধে গতকাল মঙ্গলবার দ্বাদশতম দিনে রাজধানীর সড়কে ছিল মানুষের ভিড় ও ভোগান্তি। পুলিশ চেকপোস্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা না থাকায় অনেকটা স্বাধীনভাবেই যানবাহন চলেছে। গণপরিবহন না থাকায় সকালে অফিসগামী লোকজনকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। এদিকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গতকালও মানুষ রাজধানীর গাবতলী, আব্দুল্লাহপুর, সাইনবোর্ড ও বাবুবাজার ব্রিজ হয় ঢাকায় ফিরেছে। ভোগান্তি নিয়েই ফিরছেন, তবে অন্যান্য দিনের মতো চাপ ছিল না। সব মিলিয়ে বিধিনিষেধের মধ্যেই স্বাভাবিক হচ্ছে রাজধানীর জনজীবন।
গতকাল সকালে রাজধানীর সব সড়কে অফিসগামী ও জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। যাতায়াতের পথে যানবাহনের জন্য তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। সড়কে পুলিশের তৎপরতা কম থাকায় রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি অনেক সিএনজি অটোরিকশা যাত্রী পরিবহন করে। বিধিনিষেধের বিগত দিনগুলোতে সড়কে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ব্যাপক তৎপর থাকলেও গত ৩দিন ধরেই তৎপরতা একেবারেই কমে গেছে। গতকাল সাতরাস্তা থেকে মহাখালী যাওয়ার তেজগাঁও সড়কে বিধিনিষেধ কার্যকর করতে ইতিপূর্বে দুইটি চেকপোস্ট ছিল। কিন্ত গতকাল

চেকপোস্ট দেখা গেলেও পুলিশের সদস্যরা তৎপর ছিলেন না। এরকম নগরীর অনেক চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তারা তৎপরতা ছিলেন না। সকালে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় পুলিশের একটি চেকপোস্ট থাকলেও তারা অনেকটাই ঢিলেঢালাভাবে দায়িত্ব পালন করে। যানবাহন থামিয়ে লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের আগ্রহ ছিল না। ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কে আগে চেকপোস্ট থাকলেও গতকাল সেখানে চেকপোস্ট ও পুলিশের উপস্থিতি খুঁজে পাওয়া যায়নি। ব্যস্ততম মানিক মিয়া এভিনিউ চেকপোস্টে পুলিশ গল্প করেই সময় কাটায়। সড়কের বিভিন্নœ স্থানে সেনাবাহিনীর টহল দেখা যায়। কিন্তু বিধিনিষেধ কার্যকরে কাজ করতে দেখা যায়নি।
রাজধানীর গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকলেও বিমানবন্দর সড়ক, ফার্মগেট থেকে বাংলামোটর সড়কে ব্যক্তিগত যানবাহন এবং রিকশার চাপ ছিল। রাজধানীর অন্যান্য সব সড়কে মানুষ এবং যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ট্রাক এবং পিকআপ ভ্যানে মানুষের ঢাকায় ফেরা গতকালও অব্যাহত ছিল। উত্তরার আব্দুল্লাহপুর এলাকায় ঢাকায় ফেরা মানুষ এবং যানবাহনের সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়। যানবাহনগুলো অবাধে ঢাকা ছেড়েছে এবং ঢাকায় প্রবেশ করেছে। সকালের দিকে সড়কে শুধুই মানুষের ভিড় দেখা যায়। যানবাহনের চাপের কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা চেকপোস্টে উপস্থিত থাকলেও ঢিলেঢালাভাবে দায়িত্ব পালন করে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে ছিটেফোঁটাও সচেতনতা দেয়া যায়নি। রাজধানীর গাবতলী এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধের শুরু থেকেই ব্রিজের উপরে চেকপোস্টে পুলিশের কঠোর অবস্থান থাকলেও গত দুদিন যাবত যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় পুলিশ আনেকটা দায়সারাভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে। সব যানবাহন থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে পেছনে গাড়ির দীর্ঘ লাইন লেগে যায়। এ কারণে পুলিশ তৎপর ছিল না।
এদিকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে যাত্রীর চাপ একেবারেই কমে গেছে। গতকাল মানুষ বা যানবাহনের ভিড় ছিল না। তবে এখনো লোকজন এই ফেরিঘাট দিয়ে ঢাকায় ফিরছে। এই ঘাটে মাত্র চারটি ফেরি দিয়ে জরুরি পরিবহনগুলো পারাপারের কাজ চলছে। কিন্তু তারপরেও ঘাটে কোনো চাপ নেই। বৃষ্টির মধ্যেও একেবারেই স্বাভাবিক সময়ের মতো কিছু মানুষ এবং ব্যক্তিগত যানবাহন ঘাটে আসছে। একটি ফেরি পূর্ণ হতে অনেকক্ষণ সময় লেগেছে। মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাটেও যাত্রী এবং যানবাহনের কোনো চাপ গতকাল ছিল না। একেবারেই শান্ত পরিবেশ দেখা যায়। তবে এই ঘাট দিয়েও মানুষ গতকাল ঢাকায় ফিরেছে। ৬টি ফেরি চলাচল করে। সবগুলো ঘাট এলাকা একেবারে ফাঁকা ছিল। গত রবিবার মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও সোমবার ভোর থেকেই এই ফেরিঘাটে যানবাহনের চাপ একেবারেই কমে যায়। গতকাল মঙ্গলবার একই অবস্থা অব্যাহত থাকে বলে ঘাট সূত্রে জানা গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়