ডিএনসিসি মেয়র আতিক : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন করতে পারছি না

আগের সংবাদ

বেহাল রেলের মেগা প্রকল্প : খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের কাজ কবে শেষ হবে কেউ জানে না

পরের সংবাদ

অর্থনৈতিক বিকাশের নতুন সুযোগ এনেছে তথ্যপ্রযুক্তি

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

করোনা পৃথিবীর অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে দিলেও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন ব্যবসা সৃষ্টির সুযোগ করে দিয়েছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও বিভিন্ন খাতে নতুন নতুন স্টার্টআপ প্রযুক্তির মাধ্যমে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করছে অনেক সংস্থা। বাংলাদেশের যে তরুণ মেধাবী শক্তি রয়েছে, সহায়তা পেলে তারা এই নতুন বাস্তবতার সুযোগ নিয়ে দেশকে অর্থনীতির নতুন দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারবে।
গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা ক্লারা সিলিকন ভ্যালিতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র টেক ইনভেস্টমেন্ট সামিটে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আয়োজিত ‘রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার : পটেনশিয়াল অব ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট’ শীর্ষক রোড শো উপলক্ষে সিলিকন ভ্যালিতে এ সামিট অনুষ্ঠিত হয়। সান্তা ক্লারা সিলিকন ভ্যালির মেয়র টিনা গিলমোর এ ইনভেস্টমেন্ট সামিটের উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবসায়ীরা এতে অংশ নেন। বাংলাদেশ থেকে আসা প্রতিনিধি দলের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম এবং বিএসইসির কমিশনার ড. মিজানুর রহমান। বিএসইসি চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে, তার ওপর একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের একটি তরুণ মেধাশক্তি রয়েছে, যারা ডিজিটাল বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। স্টার্টআপ প্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। তিনি আরো বলেন, এরই মধ্যে হাইটেক পার্ক স্থাপনসহ যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, তাতে বিনিয়োগ করলে ১০ বছরের জন্য ট্যাক্স রেয়াত সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তির সম্ভাবনা ও বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে দুটি মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন স্টার্টআপ বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও টিনা জাবিন এবং পেগাসাস টেক ভেঞ্চার লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও আনিসুজ্জামান। এছাড়া বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের অভিজ্ঞতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন অ্যাংকরলেজ বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর

রাহাত আহমেদ।
বাংলাদেশের কম্পিউটার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বেসিসের প্রাক্তন সভাপতি ও পেগাসাস টেক ভেঞ্চারের পার্টনার এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও প্রাইভেট ইকুইটি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামীম আহসানের পরিচালনায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তব্য রাখেন গ্যারাজ টেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা বিল রিকার্দ, টাই-এর ফাউন্ডার বিজয় মেনন, সিলিকন ভ্যালি চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ডি ম্যালেজিক, মনটা ভিস্তা ভেঞ্চারের পার্টনার ভেঙ্কটেশ শুক্লা, ইনভেন্টাস ক্যাপিটালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কানওয়াল রেখি ও টেকনোহেভেন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান হাবিবুল্লা এন করিম।
সভায় বক্তারা বলেন, প্রযুক্তি খাতের বিকাশের জন্য বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকার এখানে সহায়তা শক্তি হিসেবে কাজ করবে। সরকার যদি ব্যবসা করতে চায়, তাহলে বেসরকারি উদ্যোক্তা সৃষ্টি বাধাগ্রস্ত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, বর্তমান সরকার বেসরকারি খাতকে প্রাধান্য দিয়েই বিনিয়োগ নীতি গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে বিদ্যুৎ, গণমাধ্যম, যোগাযোগ ও টেলিকম সেক্টরে বেসরকারি খাতকে বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। বিনিয়োগের এ সুবিধা গ্রহণ করে সিলিকন ভ্যালির স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় এই ক্ষেত্র ব্যবহার করার আহ্বান জানান তিনি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আয়োজনে গত এক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন এবং লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে বিনিয়োগ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়