শিগগিরই প্রয়োগ শুরু : আরো ৭ লাখ ৮১ হাজার টিকা এলো জাপান থেকে

আগের সংবাদ

বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিবিদ্ধ ২ : সশস্ত্র আরসা ও আরএসও আধিপত্যের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

পরের সংবাদ

আদালতে জবানবন্দি : দেড় লাখ টাকার চুক্তিতে জেলে যান নির্দোষ মিনু

প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : মাত্র দেড় লাখ টাকায় দফারফা করে নিরপরাধ মিনু আক্তারকে জেল খাটানোর ছক করে হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার ওরফে কুলসুমী ও তার সহযোগী মর্জিনা। তাদের এই মিশনে যুক্ত হন নুর আলম কাওয়াল (৪৮) ও শাহাদাত হোসেন নামে আরো দুই ব্যক্তি। তারা মিনু আক্তারকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। দুই দিনের রিমান্ড শেষে আসামি কুলসুমী ও সহযোগী মর্জিনা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আদালতে। গতকাল রবিবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিন আহমেদের আদালতে হাজির করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তারা। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এদিকে মিনু আক্তারকে টাকার প্রলোভন দেখানো দুই দালাল মো. নুর আলম কাওয়াল ও মো. শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, মোবাইল ফোন নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে ২০০৬ সালের ৯ জুলাই চট্টগ্রাম নগরের রহমতগঞ্জ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় পোশাককর্মী কোহিনুর বেগমকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় প্রকৃত আসামি কুলসুমা আক্তার ১ বছর ৪ মাস হাজতবাস শেষে জামিনে বের হয়ে দীর্ঘ ১০ বছর আদালতে হাজিরা দেন। মামলার বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর তৎকালীন অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ওই হত্যা মামলায় আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। এই আদেশ হওয়ার পর আসামি কুলসুমা আক্তার বিষয়টি আসামি মর্জিনা বেগমের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং সাজা থেকে বাঁচার জন্য মর্জিনাকে সহযোগিতা করতে বলেন।
পরে মর্জিনা তাকে শাহাদাত ও কাওয়াল নামে দুই দালালের সন্ধান দেয়। ওসি নেজাম আরও বলেন, এই দুই দালাল দেড় লাখ টাকায় চুক্তি করে নিরপরাধ মিনু আক্তারকে মর্জিনার সঙ্গে আদালতে পাঠায়। মিনু তাদের প্রতিবেশী হওয়ায় সরল বিশ্বাসে আসামিদের সঙ্গে আদালতে যেতে রাজি হয়। ওই সাজার পরোয়ানামূলে ২০১৮ সালের ১২ জুন কুলসুমা আক্তারের বদলি হয়ে মিনু আক্তার কারাগারে যান। মূল আসামি কুলসুমীর বদলে তিন বছর জেল খাটে। ঘটনার কথা স্বীকার করে কুলসুমী ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে আদালত কুলসুমা আক্তার কুলসুমী ও সহযোগী মার্জিনা আক্তারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আমরা দুই দালাল শাহাদাত ও কাওয়ালকে সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের মধ্যে শাহাদাতকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে হাজির করা হলে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ও নূর আলম কাওয়ালকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়