হেফাজতের সহিংসতা : এজাহারনামীয় এক আসামি গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

বোল্টের সিংহাসনে বসলেন জ্যাকবস

পরের সংবাদ

শিগগিরই প্রয়োগ শুরু : আরো ৭ লাখ ৮১ হাজার টিকা এলো জাপান থেকে

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জাপানের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় তৈরি করোনা প্রতিরোধী টিকা পাওয়ায় এই টিকার দ্বিতীয় ডোজের চিন্তা দূর হয়েছে। আগামী দুয়েক দিনের মধ্যেই এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল শনিবার কোভ্যাক্সের সুবিধার আওতায় জাপান থেকে দেশে আসা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকার দ্বিতীয় চালান গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহেদ মালেকে বলেন, এই টিকার গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ, আমাদের দেশে ১৫ থেকে ১৬ লাখ লোক অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় আছেন। আমি মনে করি সেই অপেক্ষা দূর হলো। আমরা কাল-পরশু থেকেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ যারা পায়নি তাদের দেয়া শুরু করব। এর আগে বিকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাপান থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় তৈরি ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ টিকা দেশে এসে পৌঁছায়। উপহারের এই টিকা গ্রহণকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, এ নিয়ে দুই দফায় বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাঠাল জাপান। এর আগে গত ২৪ জুলাই কোভ্যাক্সের আওতায় জাপান থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় তৈরি ২ লাখ ৪৫ হাজার ডোজ টিকা দেশে আসে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশকে জাপান সরকারের ৩০ লাখ টিকা দেয়ার কথা। আগামী ৩ আগস্ট ৬ লাখ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার আরেকটি চালান ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গেøাবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস এন্ড ইমিউনাইজেশনস বা ‘গ্যাভি’ এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের গড়া প্ল্যাটফর্ম হল ‘কোভ্যাক্স’। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আজকে ৭ লাখ ৮০ হাজার ডোজ পেয়েছি। কিছু দিন আগে ২ লাখের বেশি পেয়েছি। সব মিলিয়ে ১০ লাখের বেশি টিকা পেয়েছি জাপান সরকারের কাছ থেকে। আগস্ট মাসে আরো ৬ লাখের বেশি টিকা আসবে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ লাখের বেশি টিকা আমরা পাব। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। প্রতিটা ইউনিয়নে টিকা কেন্দ্র খুলেছি এবং টিকা দেয়া শুরু করব।
প্রতিটি কেন্দ্রে ৩টি করে বুথ থাকবে। প্রায় ১৩ হাজার ৮০০ বুথে টিকা দেয়া হবে। আশা করছি, আমরা যে টিকা দেব তা এক সপ্তাহব্যাপী একটা কার্যক্রম। এর মধ্যে এক কোটিরও বেশি টিকা আমরা দিতে সক্ষম হব। প্রথমেই বয়স্কদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, যারা বয়স্ক তারা আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি এবং মৃত্যুবরণও বেশি করছেন। সে কারণেই এই টিকা আমরা গ্রামে নিয়ে যাচ্ছি। বয়স্কদের আগে নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না। তারা যদি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে চলে আসেন, তাহলে আমরা তাদের টিকা দেব। যদি এনআইডি কার্ড নাও থাকে তাহলে বিশেষ ব্যবস্থায় আমরা তাদের টিকা দেয়ার কাজ হাতে নিয়েছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়