টুকরো খবর

আগের সংবাদ

জোড়াতালির বাঁধে উৎকণ্ঠা ** বর্ষার শুরুতেই নদীভাঙন ** দ্রুত বাঁধ মেরামতের দাবি ** সোচ্চার হচ্ছেন এমপিরা **

পরের সংবাদ

বিশ্লেষণ : মোহাম্মদ হাতেম > মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে নিয়ন্ত্রণ উচিত নয়

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিকেএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ওপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা উচিত। কারণ মূলত উদ্যোক্তারাই মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি করে থাকেন। দেশে যত মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি হবে, তত উৎপাদন বাড়বে। দেশের শিল্পায়নে গতি বাড়বে। এতে নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের কাগজকে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ তাড়াতাড়ি পণ্য খালাসের জন্য কাস্টমসের কাছে চিঠি দিয়েছে। আমরাও চাই, তাড়াতাড়ি পণ্য ডেলিভারি নিতে। কিন্তু কাস্টমসের মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তার জন্য পণ্য ডেলিভারি নেয়া যায় না। এক্ষেত্রে কন্টেইনারে ডেমারেজ দিতে হয়। অনেক সময় এসব কারণে শিপমেন্ট জটিলতা তৈরি হয়। তাই আমরা এনবিআরের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি বলেছি। সরকার ব্যবসাবান্ধব পলিসি তৈরি করলে অনেক সময় বাস্তবায়নের জন্য মহৎ উদ্যোগও পিছিয়ে যায়। আমরা বাস্তবায়নগত জটিলতার অবসান চাই।
তিনি বলেন, বাজেটে দেশীয় সুতা উৎপাদনের নগদ সহায়তার ওপর ১০ শতাংশ কর ধার্য করা হয়েছে। এতে দেশীয় উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। এ কারণে আমরা এই

কর প্রত্যাহার চাই। এছাড়া ক্যাপিটাল মেশিনারিজের কেমিক্যাল আমদানিতে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয়। এতে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়। এসব জটিলতা নিরসন করা প্রয়োজন। এজন্য এনবিআরের কাছে আমরা পলিসি সাপোর্ট চেয়েছি। রপ্তানির ক্ষেত্রে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ উৎসে কর নেয়া হয়। এটা শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ করার দাবি ছিল। কিন্তু তা করা হয়নি। এই কর আমরা দিচ্ছি এবং দিতে রাজি। কিন্তু এক্ষেত্রে এটাকে ফাইনাল সেটেলমেন্ট হিসেবে গণ্য করা হোক। কারণ দুই বছর আগেও এটা ফাইনাল সেটেলমেন্ট হিসেবে ছিল। ফাইনাল সেটেলমেন্ট না থাকায় এটা নিয়ে হয়রানির শিকার হন অনেকে। উপকর কমিশনাররা দু-তিন বছরের রিটার্নের কপি চান। এতে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হন ব্যবসায়ীরা। আমরা এসব হয়রানি থেকে মুক্তি চাই।
যারা বন্ডের অপব্যবহার করেন, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা চাই শিষ্টের লালন, দুষ্টের দমন। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর জন্য সবার বদনাম হয়, যা কখনো কাম্য নয়। আর যারা ভালো ব্যবসায়ী, তাদের বিষয়ে তো এনবিআরের সংশ্লিষ্ট দপ্তর জানে। তাই তাদের সহযোগিতা করা হোক। ব্যবসায়ীবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে এনবিআরের ভ‚মিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসা বাড়লে বা উদ্যোক্তা তৈরি হলে দেশে শিল্পায়ন বাড়বে।
তিনি বলেন, শিল্পায়নে বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ। গ্যাস সংযোগ এখন সোনার হরিণে রূপ নিয়েছে। উদ্যোক্তারা চাইলেই গ্যাস সংযোগ পান না। আর গ্যাস সংযোগ ছাড়া কীভাবে শিল্পায়ন হবে? এছাড়া কারখানার অন্যতম অনুষঙ্গ ফায়ার সেফটি ইকুইপমেন্ট আমদানিতে জটিলতা তৈরি করে রাখা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো ফায়ার সেফটি ইকুইপমেন্ট যদি নষ্ট হয়, সেক্ষেত্রে শর্ত সাপেক্ষে আমদানি করতে দেয়া হবে। ফায়ার ইকুইপমেন্ট আমদানিতে রেয়াত সুবিধা থাকার কারণে শর্তারোপ করা হয়েছে। এছাড়া ইটিপির কেমিক্যাল আমদানিতেও নানা ধরনের জটিলতা রয়েছে। পরিবেশ দূষণ রক্ষায় ইটিপি ব্যবহার করা হয়। এর থেকে সরকারের শুল্ক প্রত্যাহার করা উচিত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়