টুকরো খবর

আগের সংবাদ

জোড়াতালির বাঁধে উৎকণ্ঠা ** বর্ষার শুরুতেই নদীভাঙন ** দ্রুত বাঁধ মেরামতের দাবি ** সোচ্চার হচ্ছেন এমপিরা **

পরের সংবাদ

জয় পেল শেখ জামাল গাজী গ্রুপ

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। তাই এবার শিরোপার খেতাব ধরে রাখতে জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার নিয়ে দল গড়েছে দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। কিন্তু সুপার লিগে লড়াই জমিয়ে তুলে গতকাল খেই হারিয়েছে আকাশি নীলরা। এদিন আবাহনীর বিপক্ষে ৬ উইকেটে জিতেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এই জয়ে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ৪৮ বলে এই টপ অর্ডার ব্যাটার খেলেছেন অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস। এদিকে শেখ জামালের এই জয়ে আবাহনীর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথ জটিল হয়ে গেছে। তাই লিগ শিরোপা ঘরে তুলতে শেষ ম্যাচে জয়ের বিকল্পই থাকল না আকাশি নীল জার্সিধারীদের।
এদিকে ডিপিএলের সুপার লিগে এসে হারের বৃত্তে আটকে গেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। শেষ ছয়ের জমজমাট এই পর্বে একের পর এক হারে শিরোপা লড়াই থেকে এরই মধ্যে ছিটকে গেছে সাদাকালোরা।
আবাহনী, প্রাইম ব্যাংক, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের পর গতকাল গাজী গ্রুপের বিপক্ষে হেরেছে মোহামেডান। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগ পর্বে এসে জেতাই ভুলে গেছে দলটি। গতকাল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৩ উইকেটে হেরেছে মোহামেডান।
অন্যদিকে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন দাসের ৭০ ও নাইম শেখের ৪২ রানে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে আবাহনী।
শেখ জামালের হয়ে বল হাতে জিয়াউর রহমান, মিনহাজুল আবেদীন আফিদ্রী ২টি করে ও মোহাম্মদ এনামুল নিয়েছে ১টি উইকেট।
জয়ের জন্য ১৭৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ৯ রানেই সৈকত আলীকে হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ব্যক্তিগত ২ রানে সৈকতকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন আরাফাত সানি। তিনে নেমে হাল ধরতে পারেননি ইমরুল কায়েসও। মাত্র ৩ রানে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের বলে বোল্ড হন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
তবে চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ আশরাফুলের সঙ্গে দলের হাল ধরেন নাসির হোসেন। দুজনের অনবদ্য ৬৯ রানের জুটিতে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে শেখ জামাল। তবে এরপর খুব বেশি সময় ক্রিজ আঁকড়ে থাকতে পারেননি নাসির। ব্যক্তিগত ৩৬ রানে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের ঘূর্ণিতে ক্যাচ তুলে দেন তানজিম হাসান সাকিবের হাতে।
তার বিদায়ে আবাহনী শিবিরে তাৎক্ষণিক স্বস্তি ফিরলেও নুরুল হাসান সোহানের আগমনে তা উবে যায়। দাপুটে ব্যাটে আশরাফুলের সঙ্গে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৬০ রান এনে দিয়ে দলকে জয়ের সুবাস পাইয়ে দেন শেখ জামাল অধিনায়ক। তাতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যদের। এর পরেই অবশ্য সোহান পা হড়কান।
২২ বলে ৩৬ রানের মৃদু ঝড়ো ইনিংস খেলে মোসাদ্দে হোসেন সৈকতের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরেন। এরপর অবশ্য আর কোনো বিপদ নয়। জিয়াউর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ৯ বল বাকি থাকতেই স্কোর বোর্ডে ১৭৫ রান তুলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
এদিকে দিনের প্রথম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে মোহামেডান ১৬৬ রানের লক্ষ্য দেয় মাহমুদউল্লাহর দলকে। জবাবে মেহেদী হাসানের ৯২ রানে ভর করে তিন বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় গাজী গ্রুপ।
সুপার লিগে এটি তাদের প্রথম জয়। ফলে ১৫ ম্যাচ খেলে ৮ জয়, ৬ হার ও ১ ড্রতে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে ছয় দলের মধ্যে টেবিলের পাঁচে উঠেছে মাহমুদউল্লাহর দল। আর ডিপিএলের প্রথম পর্বে চতুর্থ স্থানে থাকলেও এখন মোহামেডানের অবস্থান ছয় নম্বরে।
এদিন হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন গাজী গ্রুপের দলপতি মাহমুদউল্লাহ। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই করে মোহামেডানের দুই ওপেনার আব্দুল মজিদ ও পারভেজ হোসেন ইমন। দলীয় ৪০ রানে ব্যক্তিগত ১০ রানে তুলে আউট হন মজিদ। এরপর তাড়াহুড়ো করে খেলতে গিয়ে সাজঘরে ফিরেন ইমন। তিনি ৩২ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কা হাকিয়ে ৪১ রান করেন। দলীয় ৬৯ রানে তৃতীয় উইকেট খুইয়ে বিপদে পড়ে মোহামেডান। এরপর দলের হাল ধরেন শুভাগত হোম। তিনি ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। শুভাগত ৩১ বলে ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৫৯ রান তুলে অপরাজিত ছিলেন।
গাজী গ্রুপের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন রাকিবুল আতিক, মাহেদী হাসান ও মহিউদ্দিন তারেক।
জবাবে ১৬৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও শেখ মেহেদি। ঝড়ো গতিতে ব্যাট চালিয়ে বিনা উইকেটে স্কোর বোর্ডে ৪০ রান তোলেন তারা দুজন। কিন্তু দলীয় ৪১ রানে প্রথম উইকেটের পতন দেখে দলটি। সৌম্য ২২ রানে আউট হন। তবে সৌম্য ফিরলেও মেহেদি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। তরুণ এই অলরাউন্ডার ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন। ৫৮ বলে ১১ চার ও ৩ ছক্কায় তিনি ৯২ রানের ইনিংস খেলেছেন। মেহেদির ইনিংসে ভর করেই মূলত জয়ের বন্দরে পৌঁছায় গাজী গ্রুপ। তরুণ এই অলরাউন্ডার ছাড়া দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা এদিন ছিল ব্যর্থ। টপ অর্ডারের শাহাদাৎ হোসেন ২, মুমিনুল হক ৮, মাহমুদউল্লাহ ৮, ইয়াসির আলী ১১ ও আরিফুল হক ফেরেন ৫ রানে।
মোহামেডানের হয়ে বল হাতে আসিফ হাসান ৩টি, ইয়াসিন আরাফাত মিশু ও শুভাগত হোম ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়