মেয়েদের ২০২২ সালের এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) বাছাইয়ে কঠিন গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। ‘জি’ গ্রুপে বাংলাদেশের গ্রুপসঙ্গী হিসেবে আছে ইরান ও জর্ডান। গতকাল মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ দলকে আটটি গ্রুপে রেখে এএফসি জানায়, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হবে বাছাই, যা শেষ হবে ২৫ সেপ্টেম্বর।
ড্রয়ে ২৮টি দলকে আটটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে প্রথম চারটি গ্রুপে আছে চারটি করে দল। শেষের চারটি গ্রুপে রয়েছে তিনটি করে দল। ‘এ গ্রুপে চাইনিজ তাইপে, বাহরাইন, তুর্কমেনিস্তানের সঙ্গে রয়েছে লাওস। ‘বি’ গ্রুপে আছে ভিয়েতনাম, তাজিকিস্তান, আফগানিস্তান ও মালদ্বীপ। ‘সি’ গ্রুপে আছে উত্তর কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইরাক ও ইন্দোনেশিয়া। ‘ডি’ গ্রুপে আছে সংযুুক্ত আরব আমিরাত, মিয়ানমার, গুয়াম ও লেবানন। ‘ই’ গ্রুপে আছে দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও মঙ্গোলিয়া। ‘এফ’ গ্রুপে আছে ফিলিপাইনস, হংকং ও নেপাল এবং ‘এইচ’ গ্রুপে আছে থাইল্যান্ড, ফিলিস্তিন ও মালয়েশিয়া। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জাপান, গতবারের রানার্সআপ অস্ট্রেলিয়া, তৃতীয় স্থান পাওয়া চীন এবং প্রতিযোগিতার আয়োজক ভারত সরাসরি এ আসরে খেলবে।
২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি ভারতে মূল পর্বের প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। যার পর্দা নামবে ৬ ফেব্রুয়ারি। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ সর্বশেষ খেলেছিল ২০১৪ সালে। ২০১৮ সালে অংশ নেয়নি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এবার বাছাইয়ে কঠিন পরীক্ষা দিতে হতে পারে বাংলাদেশকে। কেননা গ্রুপসঙ্গী দুই দলই বাংলাদেশের তুলনায় শক্তিশালী। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে জর্ডান ৫৯তম আর ইরান আছে ৭০তম স্থানে। বাংলাদেশের মেয়েদের অবস্থান ১৩৭তম।
ড্র অনুষ্ঠিত হওয়ার পর বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারপারসন মাহফুজা আক্তার কিরণ বাছাইয়ের ম্যাচগুলো বাংলাদেশে আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটা নিশ্চিত যে, আমাদের গ্রুপের খেলা আমরা আয়োজন করব। এখন এসব খেলা সেপ্টেম্বরে হবে কিনা, তা নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর। আবার খেলা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেও হওয়া অনিশ্চিত। কারণ তখন মাঠের সংস্কার কাজ চলবে। এই স্টেডিয়ামে না হলে আমার ঢাকার বাইরে ম্যাচ আয়োজন করব।’