শালুক আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মিলন ১০ মার্চ

আগের সংবাদ

ই-টিকেটের নামে ‘ফাঁকিবাজি’ : টিকেট দিতে অনীহা কন্ট্রাকটরের, টিকেটের বিষয়ে যাত্রীরাও উদাসীন, মনিটরিং ব্যবস্থা অপ্রতুল

পরের সংবাদ

বাঁধের কাজে অনিয়ম ও ধীরগতি : সুনামগঞ্জে হাওড়ে ফসলহানির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে

প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : ২০২২-২৩ অর্থবছরে সুনামগঞ্জে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে ধীরগতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে হাওড় বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটি সুনামগঞ্জ। গতকাল বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করার কথা। কিন্তু অনৈতিকতার আশ্রয় নেয়ায় প্রকল্প গ্রহণ ও অনুমোদনে বিলম্ব হয়। ফলে কাজ শুরু করতেও বিলম্ব হয়। এখনো জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় অর্ধেক কাজ বাকি রয়েছে। তাই এবারো ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোনো কোনো বাঁধ সম্পন্ন করা হয়নি। প্রকল্পের সময় বাড়ানো হলেও অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, হাওড়ে দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের কারণে প্রকৃত কৃষকরা কার্যকরী বাঁধের সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বানানো কৃষক দিয়ে প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কৃষক নয় এমন ব্যক্তিও নানাভাবে পেয়ে যাচ্ছেন পিআইসি।
চলতি বছর বন্যার দোহাই দিয়ে বাঁধের বরাদ্দ, প্রকল্পের পরিমাণ, পিআইসি গঠনে অনিয়ম, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প, অক্ষত ও অল্প ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্পে বিপুল বরাদ্দ দিয়ে সরকারি টাকা অপচয়ের মহোৎসব চলছে। আমার ঘুরে দেখেছি, এখনো জেলার ১২৮টি ঝুঁকিপূর্ণ ক্লোজারে মাটি ফেলা হয়নি। দূর্বাঘাস লাগানো ও কমপেকশন বাকি রয়ে গেছে। আমাদের সংগঠনের জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন নেতা ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা ১২ উপজেলার পাঁচ শতাধিক পিআইসির কাজ পরিদর্শন করেছেন। কিছু কিছু বাঁধের কাজের গতি সন্তোষজনক হলেও বেশিরভাগ বাঁধের কাজের গতি মন্থর। নীতিমালা মানা হচ্ছে না কোথাও। প্রকল্প এলাকার সাইনবোর্ডের সঙ্গে তথ্যের মিল পাওয়া যাচ্ছে না।
হাওর আন্দোলনের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ঠেকাতে ১০টি দাবি পেশ করেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- হাওড়ের নদনদী খালবিল খননের বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ, খননের চলমান প্রকল্পগুলো কঠোর নজরদারিতে নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মনিটরিং বাড়াতে হবে, প্রকল্প জলমহাল বাধ্যতামূলক খননের আইন থাকলেও ইজারাদাররা তা মানে না, তাদেরকে মানাতে বাধ্য করতে হবে, হাওড় এলাকায় বিএডিসি, মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের খনন কার্যক্রমে দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধ করতে হবে, হাওড়ে অপ্রয়োজনীয় ও প্রাণ-প্রকৃতি বিরোধী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে না অইত্রাদি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়