কাগজ প্রতিবেদক : ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে নতুন প্রকল্প নেবার জন্য বৈঠক হলেও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে আগামী সপ্তাহের সোমবার কমিশন সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। গতকাল মঙ্গলবার ইসির সপ্তম কমিশন সভায় নির্বাচনী ব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ‘ইভিএমের ব্যবহার বাড়ানো এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক আলোচনার পর ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ তথ্য জানান।
সূত্রমতে, কমিশন সভায় নতুন করে প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা এবং আগেরগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত প্রকল্প উপস্থাপন করে ইসি সচিবালয়। নির্বাচন ভবনে এ সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও নির্বাচন কমিশনারদের সামনে প্রস্তাবিত প্রকল্পের সার্বিক বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
বৈঠক শেষে ইসি সচিব বলেন, ইভিএমের নতুন প্রকল্পের বিষয়ে আজ (গতকাল) মঙ্গলবার বৈঠক করেছে কমিশন। কিন্তু বাজার দর যাচাইয়ে কমিটি এখনো কাজ শেষ করতে পারেনি। এ কারণে আজকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এটি আরো পর্যালোচনা করবেন। আমরা আশা করছি, আগামী সপ্তাহের সোমবার সভা বসবে, তখন কমিশন সিদ্ধান্ত

নিবে।
বর্তমানে দেড় লাখ ইভিএম রয়েছে ইসির কাছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে তৎকালীন সিইসি কে এম নূরুল হুদার কমিশন এসব ইভিএম কেনার প্রথম প্রকল্প নেন। শেষ পর্যন্ত মাত্র ছয়টি আসনে ইভিএমে ভোট নেয়া হয়েছিল।
ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেড় লাখ ইভিএম দিয়ে ৭০-৮০টি আসনে ভোট করা যেতে পারে। ফলে দেড়শ আসনের জন্য নতুন ইভিএম কেনার বিকল্প নেই। এ পরিস্থিতিতে ভোটের বছরখানেক আগেই নতুন ইভিএম সংগ্রহের কাজ শেষ করতে এখনই প্রকল্প নেয়া হচ্ছে।
ইসি সচিব জানান, ইসির সপ্তম কমিশন সভায় নির্বাচনী ব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ‘ইভিএমের ব্যবহার বাড়ানো এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা হয়। কমিশন দীর্ঘক্ষণ ধরে আলোচনা, পর্যালোচনা করেছেন এবং অনেকগুলো বিষয় দেখেছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন। সেগুলো নিয়ে কমিশন পরে সিদ্ধান্ত নেবেন। গতকালের সভাটি সিদ্ধান্ত ছাড়াই মুলতবি হলেও পরবর্তী কমিশন সভায় তা চূড়ান্ত হতে পারে।
ইসি সচিব বলেন, আজকের (মঙ্গলবার) সভাটি কমিশন স্থগিত করে পিছিয়ে দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহের সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। প্রতিটি ইভিএমের ‘বাজারদর’ যাচাই করে পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করতেও নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
তিনি বলেন, প্রতিটি ইভিএমের দাম কত হতে পারে- এ বিষয়ে বাজার দর যাচাইয়ে আগে একটি কমিটি করা হয়েছিল। ওই কমিটি বাজার দর যাচাই করবে। পরে পরবর্তী সভাতে এটি তুলে ধরবেন এবং কমিশন পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় নিয়ে আগামী সপ্তাহে সভা শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
ইসি সূত্রে জানা যায়, গতকালের সভায় গাইবান্ধা-৫ এর উপনির্বাচন ও জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়। এ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করবে ইসি।