গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সরকার

আগের সংবাদ

ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ! জিনোম সিকুয়েন্সিং বাড়ানোর তাগিদ > সার্বিক পরিস্থিতি বুঝতে আরো দুই সপ্তাহ লাগবে : বিশেষজ্ঞদের মত

পরের সংবাদ

অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র : উন্নয়ন সহযোগীদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা চলছে, ২০২২ সাল হবে অবকাঠামো উন্নয়নের এক মাইলফলক > জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : উন্নয়নের পথে অগ্রযাত্রাকে রুখে দেয়ার জন্য বাংলাদেশবিরোধী শক্তি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দেশ-বিদেশে বসে নানা ষড়যন্ত্র করছে। মিথ্যা-বানোয়াট-কাল্পনিক তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। বিদেশে আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে- এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়ক বেয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা অনেকেরই সহ্য হচ্ছে না। আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে কোনোভাবেই ব্যাহত হতে দেয়া যাবে না। জনগণই ক্ষমতার উৎস। আমরা জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করি। তাই জনগণের সঙ্গেই আমাদের অবস্থান। গতকাল শুক্রবার বর্তমান সরকারের তৃতীয় বর্ষপূতি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতিবাজ যে দলেরই হোক আর যত শক্তিশালীই হোক, তাদের ছাড় দেয়া হচ্ছে না, হবেও না। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করছে। এই ব্যাধি দূর করতে সামাজিক সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। সরকারপ্রধান বলেন, আমরা কঠোর হস্তে জঙ্গিবাদের উত্থানকে প্রতিহত করেছি। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ পারস্পরিক সহনশীলতা বজায় রেখে বসবাস করছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন।
গত ১৩ বছরে দেশের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, মাতৃমৃত্যু-শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষার হার বাড়াসহ আর্থসামাজিক সূচকে বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোর কাতারে সামিল হবে এ আশা ব্যক্ত করেন

তিনি। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও জনগণকে পাশে থাকার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
নতুন প্রজন্মের জন্য সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ লক্ষ্য- মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, তরুণ প্রজন্মই পারে সব কূপমণ্ডুকতা এবং প্রতিবন্ধকতা দূর করে একটি প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন। তারুণ্যের শক্তিই পারবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম এগিয়ে যাবে মাথা উঁচু করে ভবিষ্যতের পানে।
১৩ বছরে কী করেছি, মূল্যায়ন করুন : গত ১৩ বছরে সরকারের কাজের মূল্যায়নের ভার জনগণের ওপর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৩ বছরে কী করেছি, মূল্যায়ন করুন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনী ওয়াদা সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। আমরাই প্রথম গ্রাম উন্নয়নকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করি। নির্বাচনী ইশতেহার ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ অনুযায়ী, পল্লী এলাকায় ৬৬ হাজার ৭৫৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, ৩ লাখ ৯৪ হাজার ব্রিজ-কালভার্ট, ১ হাজার ৭৬৭টি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন, ১ হাজার ২৫টি সাইক্লোন সেন্টার এবং ৩২৬টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ ও সম্প্রসারণ করা হয়েছে। রেলওয়েকে যুগোপযোগী এবং আধুনিক গণপরিবহন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমানে ১৩ হাজার ৩৭১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৭টি প্রকল্পের কাজ চলছে। যমুনা নদীর ওপর ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের বিমানবহরে ১২টি নতুন অত্যাধুনিক বোয়িং এবং ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ সংযোজিত হয়েছে। সংযোজিত হয়েছে ৩টি ড্যাশ-৮-৪০০ উড়োজাহাজ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দৈনিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াটে। পায়রাতে এরই মধ্যে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। রামপাল, পায়রা, বাঁশখালী, মহেষখালী এবং মাতারবাড়ীতে আরো মোট ৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট শক্তিসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। বর্তমানে দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৫৫ লাখ টন। ধান, সবজি ও পেঁয়াজ উৎপাদনে ৩র্থ স্থানে। মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয় এবং ইলিশ উৎপাদনকারী ১১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম।
বিশ্বের নবম দেশ হিসেবে ৫জিতে প্রবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করা, স্বাস্থ্য খাত, শিক্ষা খাত, ডিজিটাল বাংলাদেশ, জলবায়ু ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা, শতবর্ষী ডেল্টা পরিকল্পনা, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, মুজিববর্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৯৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতক খাস জমি বরাদ্দ দিয়ে বাড়ি নির্মাণ, জলবায়ু উদ্বাস্তদের কক্সবাজারের খুরুশকুলে ফ্ল্যাট নির্মাণ, বস্তিবাসীদের জন্য মিরপুরে ১০ হাজার ফ্লাট নির্মাণ, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য স্বল্প সুদে বিশেষ ঋণের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক নির্বাচনী ইশতেহারের মূল প্রতিপাদ্য ছিল দক্ষ, সেবামুখী ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গড়ে তুলে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ নির্মূল করে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-নিরক্ষরতামুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উচ্চ মধ্যম-আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের সমৃদ্ধশালী দেশ। রূপকল্প ২০৪১-এর কৌশলগত দলিল হিসেবে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২২ সাল হবে অবকাঠামো উন্নয়নের এক মাইলফলক বছর। জুন মাসেই উদ্বোধন হবে কাক্সিক্ষত পদ্মা সেতু। বছরের শেষ নাগাদ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার অংশে মেট্রোরেল চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী অক্টোবরে চট্টগ্রামে কর্ণফুলীর নদীর তলদেশ দিয়ে চালু হবে দেশের প্রথম টানেল। অন্য প্রকল্পগুলোর কাজও পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে। ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম ইউনিট আগামী বছরের এপ্রিল নাগাদ চালু হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ ২০২৩ সালে শেষ হবে।
উদীয়মান অর্থনীতির তালিকায় বাংলাদেশ ৯ম : প্রধানমন্ত্রী বলেন, দি ইকোনমিস্ট ২০২০ সালের প্রতিবেদনে ৬৬টি উদীয়মান সবল অর্থনীতির দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৯ম। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৪তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস মহামারি বিশ্ব অর্থনীতিতে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। অনেক দেশের অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। আমাদের অর্থনীতিও ক্ষতির মুখে পড়েছে। নেমে এসেছিল স্থবিরতা। আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে আমরা অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত আমরা ২৮টি প্যাকেজের মাধ্যমে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। এতে প্রায় ৬ কোটি ৭৪ লাখ মানুষ উপকৃত হয়েছেন এবং প্রতিষ্ঠান উপকৃত হয়েছে প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার। করোনা ভাইরাসের অভিঘাত মোকাবিলা করে গত অর্থবছরে জিডিপি বেড়েছে ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রক্ষেপণ অনুযায়ী জিডিপির প্রবৃদ্ধির হারে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। গত বছরে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলারে।
করোনা সংকট এখনো কাটেনি : করোনা সংকট এখনো কাটেনি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে এক গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে আমাদের বিগত দুই বছর পার করতে হয়েছে। এর মধ্যেই আবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আমাদের এখনই সাবধান হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যারা টিকা নেননি তাদের দ্রুত টিকা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পূর্ণোদ্যমে কোভিড-১৯ টিকাকরণের কাজ চলছে। চলতি মাস থেকে গণটিকা দেয়ার মাধ্যমে প্রতি মাসে ১ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনার কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১২ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন প্রায় ৭ কোটি ৫৮ লাখ মানুষ আর দুই ডোজ পেয়েছেন ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৮২ হাজার। গত মাস থেকে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে আমাদের হাতে সাড়ে ৯ কোটির বেশি ডোজ টিকা মজুত আছে।
২০২১ সাল উন্নয়ন অভিযাত্রার অভূতপূর্ব স্বীকৃতির বছর : ২০২১ সাল ছিল আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রার এক অভূতপূর্ব স্বীকৃতির বছর মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি। একই সঙ্গে উদযাপন করেছি মুজিববর্ষ। করোনা ভাইরাসের কারণে এই উদযাপন কিছুটা সীমিত হলেও মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার কোনো কমতি ছিল না। দেশবাসী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে নতুন করে দেশ গড়ার শপথ নিয়েছেন। গত বছর আমরা উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত যোগ্যতা অর্জন করেছি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে এই অর্জন বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের।
জাতির পিতার স্বপ্ন শোষণ-বঞ্চনামুক্ত গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করে বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই লক্ষ্য। এ সময় জাতির পিতার বৈদেশিক নীতি, ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ অনুসরণ, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে, ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে শান্তিপূর্ণভাবে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত থাকার কথা তুলে ধরেন তিনি।
ভাষণের শুরুতে জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লাখো শহীদ, ১৫ আগস্টের সব শহীদ, বিভিন্ন সময় নিহত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়