করোনা পরিস্থিতি : শনাক্ত কমলেও প্রাণহানি কিছুটা বেড়েছে

আগের সংবাদ

আতঙ্কিত চট্টগ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা : বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর

পরের সংবাদ

সরকারের অনাগ্রহ স্পষ্ট : শাহরিয়ার কবির, সভাপতি, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : একাত্তরের ঘাতাক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারটা শুরু হয়েছিল এবং খুব দ্রুত গতিতে দুটি ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে শীর্ষ অপরাধীদের বিচারকাজ শেষে কয়েকজনের রায়ও কার্যকর হয়েছে। কিন্তু ২০১৫ সালে সরকার দুটি ট্রাইব্যুনালকে একটিতে একীভূত করে ফেলে। পরবর্তীতে আর ট্রাইব্যুনাল বাড়ানো হলো না। বর্তমানে তো বিচারই বন্ধ। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আপিল বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মামলা ঝুলছে। জামায়াতের বিচার কেন হচ্ছে না? পাকিস্তানি হাইকমান্ডের বিচার করবেন না, কেন এসব হচ্ছে সেটা আইনমন্ত্রী ভালো বলতে পারবেন। সরকারের আগ্রহ থাকলে কি আর এমন হতো। শুধু কয়েকজন ব্যক্তির বিচার করে মনে করবেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার শেষ হয়ে গেছে। বিষয়টা তো মোটেই তা নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সরকারের আগ্রহের কমতি রয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্পূর্ণ তার ওপর নির্ভর করেন। তিনি যেভাবে প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করবেন সরকার সে অনুযায়ী চলবে। একথা তিনি বহুবার আমাদের বলেছেন। তাহলে তিনি কেন বিচার করতে চাচ্ছেন না? তার সমস্যাটা কোথায়? আগের আইনমন্ত্রী (শফিক আহমেদ) থাকাকালে তো দ্রুত বিচারগুলো শেষ হয়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকে কেন বিচার ঝুলে গেল? বর্তমান আইনমন্ত্রী সেটা জবাব দেবেন। পাকিস্তানি হাইকমান্ডের বিচারের বিষয়ে তো তদন্ত শুরু করে গিয়েছিলেন শফিক আহমেদ। সেই তদন্ত শেষও হয়েছে। তারপর সেটা বিচারিক প্রক্রিয়ায় যেতে তো সরকারি অনুমোদন লাগবে। সরকার না চাইলে তো হবে না। সরকারের অনীহার কারণটা কী? পাকিস্তান প্রেমছাড়া আমরা তো কোনো কারণ দেখি না। পাকিস্তান প্রেমের জন্য আপনি বিএনপি অথবা জামায়াতের সমালোচনা করবেন, আর আপনি নিজে পাকিস্তান প্রেম দেখাবেন। এটা এ সরকারের কাছে আমরা আশা করি না। শেখ হাসিনার এত উন্নয়ন- লোকে কিছুই মনে রাখবে না, শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি ছাড়া। একটি প্রতিকুল পরিস্থিতিতে বিচারটা শুরু হয়েছিল, আমরা সেসব বাধা অতিক্রম করে এটা চালিয়ে নিলাম। আর এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বিচারটা বন্ধ হওয়ার পথে। বঙ্গবন্ধুর সময় ৭২টি ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছিলেন, অথচ তখন দেশের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক ছিল। আর এখন এত সম্পদের পাহাড়ে ভাসছি। অথচ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ৭ বিভাগে ৭টি ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারি না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়