আশুলিয়ায় ফার্নিচার গুদামে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩

আগের সংবাদ

বাতাসে আগুনের হলকা!

পরের সংবাদ

বাবা-মা ও নানির পর মারা গেল শিশু লামিয়াও : গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ

প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাবা-মা ও নানির পর না ফেরার দেশে পাড়ি জমাল ৭ বছর বয়সি শিশু লামিয়াও। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মৃত্যু হয় শিশুটির। রাজধানীর ভাষানটেক কালভার্ট রোডে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দগ্ধ হয়েছিল শিশুটি।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, ভাষানটেকের ঘটনায় দগ্ধ লামিয়া আজ (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তার শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল নানি মেহেরুন্নেছা (৮০), ১৫ এপ্রিল মা সূর্য বানু (৩০) ও ১৬ এপ্রিল বাবা লিটন মারা যান। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ জনে। চিকিৎসক আরো জানান, এ ঘটনায় ৩০ শতাংশ দগ্ধ লামিয়ার বড় বোন লিজা (১৮) ও ৪৩ শতাংশ দগ্ধ ভাই সুজন (৮) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল ভোর ৪টার দিকে ভাষানটেক নতুন বাজার কালভার্ট রোডের ৪/১৩ নম্বর বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন মো. লিটন, তার স্ত্রী সূর্য বানু ও তাদের ৩ সন্তান লিজা, লামিয়া ও সুজনসহ লিটনের শাশুড়ি মেহরুন্নেছা। তাদের প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া ময়না বেগম জানান, পরিবার নিয়ে কালভার্ট রোডের ২ তলা বাড়িটির নিচ তলায় ভাড়া থাকতেন লিটন। এলাকাতেই ফার্নিচার ব্যবসা রয়েছে তার। রাতে ওই বাসায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে লিটন মশার কয়েল জালানোর জন্য দিয়াশলাই জালাতেই আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে পরিবারটির ৬ জনই দগ্ধ হন। তিনি জানান, বাসাটিতে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে রান্না করতেন তারা। সবাই ধারণা করছেন, সিলিন্ডার থেকে লিকেজের কারণে বাসায় গ্যাস জমে ছিল। মশার কয়েলের জন্য দিয়াশলাই জ¦ালাতেই সেই গ্যাস থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়