পররাষ্ট্রমন্ত্রী : সোমবার ২৮৫ বিজিপি সদস্যকে ফিরিয়ে নেবে মিয়ানমার

আগের সংবাদ

তথ্য প্রতিমন্ত্রী : সাংবাদিকতার জন্য চমৎকার পরিবেশ তৈরি করতে চাই

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সাংবাদিকতার জন্য বাংলাদেশে একটি চমৎকার পরিবেশ তৈরি ও তথ্যপ্রবাহ অবারিত করতে চান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমরা সাংবাদিকতার জন্য একটি চমৎকার পরিবেশ তৈরি করতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার মুক্ত গণমাধ্যম, সাংবাদিকতার একটি চমৎকার পরিবেশ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। এজন্য যা যা উপকরণ সেগুলো নিশ্চিত করতে চাই। এতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তি উপকৃত হবেন। যারা উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী, মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনাবিরোধী তারাই মিথ্যা অপপ্রচারের ওপর ভর করে অপরাজনীতি করে।
গতকাল শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা তথ্য প্রবাহ অবারিত করতে চাই। সঠিক তথ্য দেয়ার বিষয়গুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই। তথ্য অধিকার আইনটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেই সংসদে পাশ হয়েছে, সেই তথ্য পাওয়ার অধিকারকে বাস্তবে আমরা আরো বেশি নিশ্চিত করতে চাই। এজন্য শুধু আইন নয় কিছু সাংস্কৃতিক রূপান্তরও করতে হবে। এই আইনকে আরো সুদৃঢ় করা ও তথ্য কমিশনকে শক্তিশালী করার বিষয়টি আমরা ভাবছি।
আরাফাত বলেন, জনগণের যেসব তথ্য জানার অধিকার আছে, সেসব তথ্য দেয়ার বিষয় আমাদের জন্য বাধ্যতামূলক, এ চিন্তাটা জাগ্রত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকার তথ্য দিতে চায়, কারণ যদি তথ্য না থাকে তখনই অপপ্রচারের সুযোগ তৈরি হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা সাংবাদিকতা পেশায় থেকে অর্থনৈতিকভাবে বিভিন্ন সমস্যায় পড়েন, তাদের সরকারিভাবে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট্রের মাধ্যমে সহযোগিতার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের উদ্দেশ্য সাংবাদিকতা থাকবে, গণমাধ্যম থাকবে, মুক্তবুদ্ধির চর্চা হবে, মুক্ত সাংবাদিকতা থাকবে। সরকার ও কর্তৃপক্ষের ভুল-ভ্রান্তি থাকলে, ব্যর্থতা থাকলে তার সমালোচনাও হবে। অসত্য তথ্যের মাধ্যমে যে অপপ্রচার করা হয়, সেগুলো সরকার ও সাংবাদিকরা একসঙ্গে মিলে প্রতিরোধ করতে হবে। কারণ তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও গঠনমূলক সমালোচনা যেমন গণতন্ত্র ও একটি দেশ এগিয়ে যাওয়ার জন্য অপরিহার্য, একইভাবে তথ্যের বিপরীতে অপতথ্য সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। যে কারণে সম্মিলিতভাবে আমাদের একটি দায় আছে, কীভাবে আমরা অপতথ্য রোধ করতে পারি এবং কীভাবে তথ্যের অবাধ প্রবাহ আমরা সুনিশ্চিত করতে পারি।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপতথ্যকে আমাদের রোধ করতে হবে, কিন্তু অপতথ্য রোধ করতে গিয়ে আমরা তথ্যের অবাধ প্রবাহ বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জায়গা সংকুচিত করতে চাই না। এ জায়গার সুন্দর ভারসাম্য করাটা খুবই জরুরি, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের স্বার্থে মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জায়গা অপরিবর্তিত রেখে কীভাবে আমরা অপতথ্য রোধ করতে পারি। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন একই কথা বলে যে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতায় একধরনের শৃঙ্খলা আনা দরকার। সাংবাদিকতার মধ্যে যারা পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে অপসাংবাদিকতা করেন তারা আসল সাংবাদিকতাকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেন। এ বিষয়টি সাংবাদিকদের পক্ষ থেকেই কিন্তু আসে। কাজেই এখানেও এক ধরনের শৃঙ্খলা আনতে চাই।
গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইনটি পর্যালোচনার জন্য সবগুলো সাংবাদিক সংগঠন থেকে দুইজন প্রতিনিধি নিয়ে সেল তৈরির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ সেলের সদস্যদের আলোচনার পর তাদের বক্তব্য নিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হবে। তারপর দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে নিয়ে পরবর্তী সময় সংসদে পাশ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়