পররাষ্ট্রমন্ত্রী : সোমবার ২৮৫ বিজিপি সদস্যকে ফিরিয়ে নেবে মিয়ানমার

আগের সংবাদ

দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : খেলাধুলা ও শরীর চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি জোগায়। তিনি বলেন, যখনই সরকারে এসেছি তখনই আমি চেষ্টা করেছি খেলাধুলার প্রতি আমাদের ছেলেমেয়েদের আরো বেশি অনুরাগী করতে। কারণ খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি জোগায়। দেশপ্রেম শেখায়, আনুগত্য শেখায়, সেই সঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধও করে। কাজেই আমি চাই আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীর চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে নিজেদের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে।
গতকাল শনিবার বিকালে আর্মি স্টেডিয়ামে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, সচিব ফরিদ আহাম্মদ, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
দেশীয় খেলায় সুযোগ বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলায় আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন আরো বেশি আগ্রহী হয়ে অংশ নেয় সেদিকে নজর দিতে হবে। আমাদের দেশীয় খেলাধুলাগুলোকেও সমানভাবে সুযোগ দিতে হবে। কারণ দেশীয় খেলাগুলোর মধ্য দিয়ে ছেলেমেয়েদের আরো মেধা বিকাশের সুযোগ হবে। তিনি বলেন, আমাদের এই খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করতে পারি। আমাদের ক্ষুদে ফুটবল খেলোয়াড়রা যারা আজকে এখান থেকে শুরু একদিন তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের জন্য আরো বেশি সম্মান বয়ে নিয়ে আসবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সত্যিই খুব আনন্দিত যে, আমাদের ছেলেরা তো বটেই, মেয়েরাও দেশের বাইরে গিয়ে পারদর্শিতা দেখাতে পারছে। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে যখন আমরা এই প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু করলাম ছেলেদের ও মেয়েদের। বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে গিয়েও আমাদের ছেলেমেয়েরা চমৎকার পারদর্শিতা দেখাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা সাফ ওমেন-২০২২ এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ অর্জন করেছে। আমাদের মেয়েরাই এই অর্জন এনে দিয়েছে।
সাফ গেমের অর্জন তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা সাফের টুর্নামেন্টে খেলেছে সেখানে বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট, যারা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে খেলা শুরু করেছিল সেই খেলোয়াড়রা সেখানে বিশেষ অবদান রেখেছে। পাঁচজন খেলোয়াড় এখান থেকেই উঠে এসেছে। কাজেই আমাদের ভবিষ্যতের জন্য একটা বিরাট সম্ভাবনা রয়ে গেছে। আমাদের যারা খুদে ফুটবলার আমি সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা সমস্ত উপজেলায় একটা করে মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি, যাতে শুধু বিদ্যালয়ের মাঠ নয়, প্রত্যেকটা উপজেলায় খেলাধুলার সুযোগ তৈরি হয়, সেই ব্যবস্থা করেছি। তিনি বলেন, যারা প্রতিবন্ধী বা অটিস্টিক তাদের জন্য কিন্তু আমরা খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। তাদের প্র্যাকটিসের জায়গা করে দেয়া, তাদের জন্য একাডেমি করে দেয়া সেই ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি।
আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই আয়োজন যারা করেছেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি সত্যি খুব চিন্তিত ছিলাম যে, এই প্রচণ্ড রোদে আমাদের ছেলেমেয়েরা খেলছে তাদের শারীরিক দিক থেকে কোনোরকম অসুবিধা না হয়।

আয়োজকরা অবশ্যই সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লালমনিরহাটের পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যকার ফাইনাল খেলার দ্বিতীয়ার্ধ উপভোগ করেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়। আলাদা ম্যাচে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে রংপুরের মিঠাপুকুর তালিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় জামালপুরের মাদারগঞ্জ চরগোলাবারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রধানমন্ত্রী দুই টুর্নামেন্টের বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়