আশুলিয়ায় ফার্নিচার গুদামে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩

আগের সংবাদ

বাতাসে আগুনের হলকা!

পরের সংবাদ

এবার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কাছে ড্রোন হামলা

প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছে, এবার ইরানের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানালেও, ইরানের দাবি- ক্ষেপণাস্ত্র নয়, ড্রোন হামলা হয়েছে। এবং এ হামলার সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পৃক্ততা নিয়েও তারা নিশ্চিত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক হামলা পাল্টা-হামলায় দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলমান ছায়া যুদ্ধ প্রকাশ্যে চলে এসেছে এবং এতে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা নেমে আসতে পারে।
এই হামলার বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বার্তা প্রকাশ করেনি ইসরায়েল। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে- চাইলে তারা ইরানের অভ্যন্তরে অতর্কিতে হামলা চালাতে সক্ষম।
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ইরানের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ইস্ফাহানের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রাজধানী তেহরান থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত ইস্ফাহানে ইরানি সেনাবাহিনীর বেশ বড় একটি বিমান ঘাঁটি, বড় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কমপ্লেক্স ও বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে। তবে পারমাণবিক স্থাপনা নিরাপদে আছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি।
ইরানের নেতারা বা সামরিক বাহিনী হামলার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমেও খুব বেশি গুরুত্ব পায়নি বিষয়টি। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিতে বলা হয়, মধ্যরাতের ঠিক পরপর ইস্পাহানের আকাশে ৩টি ড্রোন দেখা যায়। আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে আকাশেই ওই ড্রোনগুলোকে ধ্বংস করে। আরো পরে জানানো হয়, ইস্ফাহানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং ভূমিতে কোনো বিস্ফোরণ ঘটেনি বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ইরানের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে বিদেশি শক্তির সম্পৃক্ততা এখনো নিশ্চিত নয়। আমরা বাইরে (বিদেশি রাষ্ট্র) থেকে কোনো হামলার শিকার হইনি। খুব সম্ভবত এটি অভ্যন্তরীণ বিষয়।
গত শনিবার রাতে ইরান থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ৩ শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ইসরায়েলে ইরানের ওই নজিরবিহীন হামলার পর বিশ্ব রাজনীতিতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইরানের হামলার জবাব দিতে ইসরায়েল যে কোনো সময় চিরশত্রæ দেশটিতে হামলা চালাতে পারে বলে ধরণা করা হচ্ছিল। যদিও যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্ররা তেল আবিবকে ইরানের বিষয়ে সংযত হতে অনুরোধ করেছে।
আকাশসীমা পুনরায় সচল : ইস্ফাহানের আকাশে ড্রোন ধ্বংস করার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী তেহরানসহ বেশ কয়েকটি নগরীর আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় ইরান। এয়ারলাইন ফ্লাইদুবাই থেকে তখন কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়, তারা ইরানগামী তাদের সব ফ্লাইট বাতিল করতে চলেছে। সেই সঙ্গে দুবাই থেকে তেহরানগামী তাদের একটি ফ্লাইট মাঝপথ থেকে দুবাইয়ে ফেরত এসেছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর ইরান জানায়, ইরানের আকাশে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল তার

অবসান হয়েছে এবং সব বিমানবন্দরের কার্যক্রম পুনরায় স্বাভাবিকভাবে চলছে। ইরানের বেসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থাও বলেছে, দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে বিমান চলাচলের উপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল তা তুলে নেয়া হয়েছে।
ইস্ফাহান শহর ‘নিরাপদ’ : ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি আইআরআইবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। সেই ভিডিওতে এই টিভির একজন সংবাদদাতাকে ইস্ফাহান শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি ভবনের শীর্ষে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তিনি বলছেন, শহরটি নিরাপদ। মানুষ তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে। কয়েক ঘণ্টা আগে আকাশে শব্দ শোনা গিয়েছিল। আমরা যা জানি, তা হলো- ইস্ফাহানের আকাশে একাধিক মিনি-ড্রোন উড়ছিল। তখন সেগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত, প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো তথ্য দেয়নি। কিছু গণমাধ্যম বলেছিল যে ইস্ফাহানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের গবেষণা বলছে, এই তথ্যটি মিথ্যা, কোনো স্থানকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি।
ইরানের হুঁশিয়ারি : ড্রোন হামলার পর ইসরায়েলকে হুমকি দিয়ে ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) বলেছে, যদি দেশটির পরমাণু স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে কোনো হামলা চালানো হয়- তাহলে পরিণতি ভয়াবহ হবে।
পারমাণবিক স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইআরজিসি টিমের প্রধান জেনারেল আহমেদ হাকতালাব এক বার্তায় বলেছেন, যদি ইসরায়েল আমাদের পরমাণু স্থাপনা ও কেন্দ্রগুলোয় কোনো প্রকার ক্ষতি সাধনের পদক্ষেপ নেয়, তাহলে নিশ্চিতভাবেই আমরা তার প্রতিক্রিয়া জানাব এবং সেই প্রতিক্রিয়া হবে ভয়াবহ। ইসরায়েল যদি সত্যিই পরমাণু স্থাপনায় হামলা করে, তাহলে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন জেনারেল হাকতালাব।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এতে ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা আইআরজিসি দুই জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহেদি এবং মোহাম্মদ হাদি হাজি রাহিমিসহ অন্তত ৭ জন নিহত হন। হামলার দায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েল স্বীকার করেনি। তবে সাক্ষ্য-প্রমাণ যা পাওয়া গেছে, তাতে হামলাটি যে আইডিএফ করেছিল- তা পরিষ্কার।
পারমাণবিক স্থাপনা অক্ষত রয়েছে : ইসরায়েলের হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ইস্ফাহান নিউক্লিয়ার টেকনোলজি সেন্টারে একটি ইউরেনিয়াম কনভারসন ফ্যাসিলিটি (ইউসিএফ) রয়েছে, যা ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড তৈরি করে। ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড নিউক্লিয়ার চুল্লির জ্বালানিতেও ব্যবহার করা যায়। আবার এটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হতে পারে।
ইউসিএফের পাশে একটি ইউরেনিয়াম অক্সাইড পাউডার প্ল্যান্ট (ইইউপিপি) আছে, যা ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইডকে ইউরেনিয়াম অক্সাইডে রূপান্তর করে ও জ্বালানি তৈরি করে। ইউরেনিয়াম অক্সাইড আবার ইউরেনিয়াম ধাতুতেও রূপান্তরিত হতে পারে। ইরান বলেছে যে তারা চুল্লির জ্বালানি তৈরিতে ইউরেনিয়াম ধাতু ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু এই ধাতু পারমাণবিক বোমার মূল তৈরিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
ইস্ফাহান পারমাণবিক প্রযুক্তি কেন্দ্র ৪টি ছোট পারমাণবিক গবেষণা চুল্লিও পরিচালনা করে। এগুলোকে সরবরাহ করেছিল চীন। ইরানের দাবি, তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে শান্তিপূর্ণ। সেই সঙ্গে, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির আগ্রহ বা আকাক্সক্ষার কথা তারা অস্বীকার করে। তবে ইসরায়েলের অভিযোগ, ইরান পারমাণবিক সক্ষমতা তৈরি করেছে, যা অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সিরিয়ায় সামরিক স্থাপনায় হামলা, ইরাকে বিস্ফোরণ : সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে একটি সামরিক স্থাপনায় গতকাল বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সোয়াইদা ও দারা প্রদেশের মধ্যবর্তী জায়গায় সিরীয় সেনাবাহিনীর একটি রাডার-ব্যবস্থাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। সিরিয়ার সরকার ও ব্রিটিশ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ কথা জানিয়েছে।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি শত্রæপক্ষ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালায়। দক্ষিণাঞ্চলে আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে এবং এতে কিছু জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইরাকের আল ইমাম এলাকাতেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইরানসমর্থিত হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এসব হামলার হার বেড়েছে।
বেড়েছে তেল ও স্বর্ণের দাম : ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরের পর আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে গেছে তেল ও স্বর্ণের দাম। আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডে তেলের দাম ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৮৮ ডলার হয়েছে। একইসঙ্গে স্বর্ণের দাম অল্প সময়ের জন্য রেকর্ড উচ্চতায় ওঠার পর আউন্স প্রতি ২ হাজার ৪০০ ডলারে ঠেকেছে।
গত ১৩ এপ্রিল ইসরাইলে ইরানের নজিরবিহীন ড্রোন হামলার পর থেকেই খুব কাছ থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিলেন বিনিয়োগকারীরা। ইরানের হামলার জবাবে ইসরায়েল কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়, সেদিকেই লক্ষ্য রাখছিলেন তারা। কারণ মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ছড়িয়ে তেলের সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
ইরানের ইস্ফাহান প্রদেশে বিস্ফোরণের খবর মিললেও পরে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, সেখানো কোনো ‘ক্ষয়ক্ষতি হয়নি’। যে কারণে শুরুর দিকে তেলের দাম ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে গেলেও পরে তা নেমে আসে। তবে স্থায়ীভাবে দীর্ঘ সময়ের জন্য তেলের দাম বেড়ে গেলে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে। জ্বালানি ও শক্তির দামই গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বব্যাপী জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়ের পেছনে প্রধান চালিকা হিসেবে কাজ করছে। অপরদিকে বিশ্ব বাজারে অনিশ্চয়তার পরিস্থিতি তৈরি হলেই নিরাপদ বিনিয়োগ হিসাবে ব্যবহৃত স্বর্ণের দাম বেড়ে যায়।
দীর্ঘদিনের ছায়াযুদ্ধ এখন প্রকাশ্যে : ড্রোন হামলার বিষয়টিকে বেশ খাটো করেই দেখাতে চাইছেন ইরানিরা। যেন এর বিশেষ তাৎপর্য নেই। তবে কয়েকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের অপেক্ষাকৃত কট্টর অংশ কি পাল্টা জবাব দেবে? ইসরায়েল কি আরো হামলার পরিকল্পনা করছে?
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এরই মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। সেটি হয়তো আর বাড়াতে চাননি নেতানিয়াহু। যে কারণে এই ধরনের হামলার পদক্ষেপটি নিয়ে থাকতে পারেন তিনি।
নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা মার্কিন গণমাধ্যমকে বলেছেন যে ইসরায়েল তাদের হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এটিকে সমর্থন করেনি।
ইরানের গত শনিবারের ড্রোন এবং মিসাইল হামলার জবাব যে দেবে এটা ইসরায়েল আগেই স্পষ্ট করেছিল। সেই জবাব তারা দিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। যদি সত্যিই এটা ইসরায়েলের জবাবের শুরু এবং এটাই শেষ হয়ে থাকে, তাহলে বলতে হবে হামলার আকার বা স্থান বিবেচনায় এই জবাব খুবই সামান্য। সপ্তাহজুড়ে ইসরায়েলে পশ্চিমা মিত্র, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন, দেশটির সরকারকে তাগিদ দিয়ে আসছিল যেন ইরানি হামলার জবাবে বড় ধরনের পাল্টা হামলা চালানো না হয়।
এখন পরিস্থিতি কোনদিকে গড়াবে তা দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে- ইসরায়েলের হামলা এখানেই শেষ কিনা এবং ইরান পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত নেয় কিনা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়